শ্রমণ তাই দেখে করুণায় পূর্ণ হয়ে সংসারের অনিত্যতার জ্ঞানলাভ করলেন, আর তৎক্ষণাৎ অর্হৎ পদ লাভ করলেন। তার ফলে তিনি জীবন-মৃত্যুর পারে গেলেন- ফুটন্ত কড়াইটা তাঁর পক্ষে শীতল পুষ্করিণীর মত হয়ে গেল, আর তার উপর একটি প্রস্ফুটিত পদ্মের উপর তিনি বসলেন।
নরকের রক্ষী ঐ কথা রাজাকে বললে রাজা নিজেই এই অদ্ভুত ব্যাপার দেখতে এলেন।তখন রক্ষী রাজাকে বলল, ‘মহারাজ এখন আপনারও মরতে হবে।’ ‘কেন?’ ‘আপনার হুকুমে এই নরকের মধ্যে যে আসবে, তারই মৃত্যুদণ্ড হবে। মহারাজ যে নিষ্কৃতি পাবেন, এমন কথা তো ছিল না।’
রাজা বললেন, ‘তা ঠিক। কিন্তু তুমি নিজেই যে অব্যাহতি পাবে, সে কথা ছিল কি? অনেকদিন তুমি নরহত্যা করেছ। এখন আর এসব হবে না।’ তখন রাজাজ্ঞায় রক্ষী নিজেই ফুটন্ত কড়াইয়ে নিক্ষিপ্ত হল। তার পর রাজা ঐ জায়গাটি ভূমিসাৎ করে ঐ বীভৎস ব্যাপার বন্ধ করলেন। এখানে এখন একটা স্মারক স্তম্ভ ছিল।
(চলবে)