এই নরকের দক্ষিণে একটা স্তূপ ছিল। এটার এখন ভগ্নদশা, কিন্তু চূড়াটা এখনো ছিল। অশোক রাজা যে চুরাশী হাজারটি স্তূপ নির্মাণ করেন এটা তার প্রথম। নরকটা ভূমিসাৎ করবার পরে রাজা ভিক্ষু উপগুপ্তের সাক্ষাৎ পান ও বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত হন।
পুরাতন নগরের দক্ষিণ-পূর্বে কুক্কুটারাম সঙ্ঘারামের ভগ্নাবশেষ ছিল। অশোক রাজা এটা তৈরি করে এক হাজার ভিক্ষুর সভা আহ্বান করেছিলেন। পাটলিপুত্র থেকে বুদ্ধগয়ার পথে যেতে হিউএনচাঙ যে কী রকম ভাবে বিভোর হয়ে ছিলেন, তা তাঁর বিবরণ পড়লেই বোঝা যায়।
বোধিদ্রুম আর বজ্রাসন দেখে তিনি বোধিসত্ত্বের বুদ্ধত্ব প্রাপ্তির সমস্ত বিষয় চিন্তা করলেন। সেই অশ্বত্থের কাছেই বোধিসত্ত্ব অবলোকিতেশ্বরের দুটি মূর্তি ছিল। কিম্বদন্তী ছিল যে, এই দুটি মূর্তি যখন মাটির মধ্যে চলে যাবে, বুদ্ধের ধর্মও তখন ভারতবর্ষ থেকে লুপ্ত হবে।
(চলবে)