০২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ ও রোডম্যাপ চাইল বিএনপি

সমকালের একটি শিরোনাম “তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ ও রোডম্যাপ চাইল বিএনপি”

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি। অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্য থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিন দলই রয়েছে আগের অবস্থানে। এনসিপি এবার যুক্ত করেছে শেখ হাসিনার আমলের সব নির্বাচন বাতিলের দাবি

সরকারের পদত্যাগের আলোচনায় উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা এবং গুঞ্জনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলটি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে রোডম্যাপ ঘোষণা এবং দুই ছাত্র উপদেষ্টা ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানায়। দাবির জবাবে সরকারের বক্তব্য পায়নি বিএনপি।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন, সংস্কার, বিচারসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন বিএনপি নেতারা। আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি জানান তারা।

তিন পৃষ্ঠার চিঠিতে বিএনপি দলীয় অবস্থান তুলে ধরেছে। আদালতের রায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ পাওয়া ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণের বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে এতে আশা প্রকাশ করা হয়।

শপথ না দিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার পাশে ছিলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁর উপস্থিতিতে বিএনপি লিখিত বক্তব্যে বলে, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত কয়েকজন উপদেষ্টা যাদের বক্তব্যে এবং কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে– এমন বিতর্কিত উপদেষ্টাদের সরিয়ে দেওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।’

বিএনপির চিঠিতে বলা হয়েছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। অথচ আগামীর বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তিই ঐক্য। সরকারের কিছু কাজে নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। মানবিক করিডোর এবং চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সরকারের কর্মকাণ্ডে জাতীয় স্বার্থে রক্ষিত হচ্ছে কিনা, তা বিবেচনায় নেওয়া দরকার। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার অস্থায়ী সরকারের আছে বলে জনগণ মনে করে না।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “সীমানা পুনর্নির্ধারণে কমতে পারে শহরের আসন”

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচনে বর্তমানের ৩০০ আসন ব্যবস্থাই বহাল থাকবে ধরে নিয়ে বিদ্যমান আইনমত কাজ করছেন ইসি কর্মকর্তারা। ইসির সূত্র জানিয়েছেন, সীমানা বদলানোর আবেদন, জনশুমারির ফল এবং প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বিবেচনায় নিয়ে যে রদবদল হতে যাচ্ছে, তাতে এবার শহরের আসন কিছুটা কমতে পারে। অন্যদিকে বাড়তে পারে গ্রামাঞ্চলের আসন।

সম্প্রতি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশ জারির পর জোরেশোরে কাজ শুরু করেছে ইসি। সীমানা পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত যত আবেদন জমা পড়েছে, তার প্রতিটি ধরে ধরে কাজ করছে ইসির এ-সংক্রান্ত কমিটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য যেসব আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আবেদনকারীরা বিভিন্ন যুক্তি দিয়েছেন। সেখান থেকে যেগুলো গ্রহণযোগ্য, সেগুলো আমরা গ্রহণ করব।’

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬৬টি আসন থেকে ইসিতে ৪১৭টি আবেদন জমা পড়েছে। প্রতিদিনই আসন পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আবেদন জমা পড়ছে। বেশির ভাগ আবেদনে ২০০১ সালের সীমানায় ফেরার দাবি জানানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত রোববার সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে বৈঠক করে এ-সংক্রান্ত কমিটি। সেখানে আবেদনগুলো নিষ্পত্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সীমানা রদবদলে কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, তা-ও আলোচিত হয়।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার”

পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে যদি সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে। উপদেষ্টা পরিষদের গতকাল অনির্ধারিত বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিবৃতিটি পাঠানো হয়েছে।

কয়েকদিন ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন ১৯ উপদেষ্টা। প্রায় ২ ঘণ্টার ওই বৈঠক শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যাচ্ছেন না। তিনি চলে যাবেন বলেননি। তিনি অবশ্যই থাকছেন। আমাদের অর্পিত দায়িত্ব বড় দায়িত্ব। তার ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ। এ দায়িত্ব ছেড়ে তো আমরা যেতে পারব না।’

দায়িত্ব পালনে যেসব প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে সেগুলো নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন বলে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে কী প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, কার কী প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, সেগুলো দেখা হচ্ছে। বড় পরিসরে আগামী নির্বাচন এবং একটি সুশাসিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য যে ধরনের ক্ষেত্র তৈরি করা দরকার সেই কাজেও কী কী প্রতিবন্ধকতা কোথা থেকে আসছে, সেগুলো আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি।’

বর্তমান সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি এবং সমর্থনে এসেছে উল্লেখ করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, তাদের ভিত্তিই জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। সেখানে কাউকে নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হলে সেটা সমীচীন হবে না।

গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তি ও রাষ্ট্রীয় সব সংস্থাকে লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে এ উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা তো আমাদের একার দায়িত্ব না।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আজ”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর চানখাঁরপুলে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গুলিতে শিক্ষার্থী আনাস হত্যার ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আজ। এর আগে গত ২০শে এপ্রিল এই মামলায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এই প্রতিবেদন আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে। এর মধ্যদিয়েই মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সূত্র মতে, এই ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ডিএমপি’র সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম, মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। তবে ৮ আসামির মধ্যে শেষের ৪ জন কারাগারে, বাকিরা পলাতক।

গত ৫ই আগস্ট ঢাকা মহানগরীর চানখাঁরপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি চালানো হয়। এতে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। আগ্নেয়াস্ত্র, এপিসি কার, লাখ লাখ বুলেট, হেলিকপ্টার, ড্রোন ব্যবহার করে এই আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।

তদন্তে উঠে এসেছে, চানখাঁরপুলের হত্যাকাণ্ডে পলাতক আসামি হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য আসামিরা ঘটনাস্থলে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। তারা অধীনস্থদের নির্দেশ প্রদান, সহযোগিতা ও সহায়তার মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটনে ভূমিকা রাখেন। এছাড়া তারা এসব অপরাধ সংঘটন থেকে অধীনস্থদের বিরত রাখেননি বা পরবর্তী সময়ে কোনো ব্যবস্থাও নেননি। এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ট্রাইব্যুনালে করা মামলাটির কম্প্লেইন রেজিস্ট্রার নম্বর-১৪৯। ৭ই অক্টোবর থেকে তদন্ত শুরু করে ১৯৫ দিনের তদন্ত শেষে ২০শে এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তদন্ত শেষে ৯০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে মোট ৭৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সংযুক্ত আছে ১৯টি ভিডিও, ১১টি পত্রিকার প্রতিবেদন, ২টি অডিও, ১১টি বই ও রিপোর্ট এবং ৬টি মৃত্যু সনদ। প্রতিবেদনে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশে ৬ জনকে হত্যার ঘটনা উঠে আসে।

 

তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ ও রোডম্যাপ চাইল বিএনপি

০৯:০০:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ ও রোডম্যাপ চাইল বিএনপি”

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি। অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্য থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিন দলই রয়েছে আগের অবস্থানে। এনসিপি এবার যুক্ত করেছে শেখ হাসিনার আমলের সব নির্বাচন বাতিলের দাবি

সরকারের পদত্যাগের আলোচনায় উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা এবং গুঞ্জনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলটি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে রোডম্যাপ ঘোষণা এবং দুই ছাত্র উপদেষ্টা ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানায়। দাবির জবাবে সরকারের বক্তব্য পায়নি বিএনপি।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন, সংস্কার, বিচারসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন বিএনপি নেতারা। আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি জানান তারা।

তিন পৃষ্ঠার চিঠিতে বিএনপি দলীয় অবস্থান তুলে ধরেছে। আদালতের রায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ পাওয়া ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণের বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে এতে আশা প্রকাশ করা হয়।

শপথ না দিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার পাশে ছিলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁর উপস্থিতিতে বিএনপি লিখিত বক্তব্যে বলে, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত কয়েকজন উপদেষ্টা যাদের বক্তব্যে এবং কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে– এমন বিতর্কিত উপদেষ্টাদের সরিয়ে দেওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।’

বিএনপির চিঠিতে বলা হয়েছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। অথচ আগামীর বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তিই ঐক্য। সরকারের কিছু কাজে নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। মানবিক করিডোর এবং চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সরকারের কর্মকাণ্ডে জাতীয় স্বার্থে রক্ষিত হচ্ছে কিনা, তা বিবেচনায় নেওয়া দরকার। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার অস্থায়ী সরকারের আছে বলে জনগণ মনে করে না।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “সীমানা পুনর্নির্ধারণে কমতে পারে শহরের আসন”

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচনে বর্তমানের ৩০০ আসন ব্যবস্থাই বহাল থাকবে ধরে নিয়ে বিদ্যমান আইনমত কাজ করছেন ইসি কর্মকর্তারা। ইসির সূত্র জানিয়েছেন, সীমানা বদলানোর আবেদন, জনশুমারির ফল এবং প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বিবেচনায় নিয়ে যে রদবদল হতে যাচ্ছে, তাতে এবার শহরের আসন কিছুটা কমতে পারে। অন্যদিকে বাড়তে পারে গ্রামাঞ্চলের আসন।

সম্প্রতি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশ জারির পর জোরেশোরে কাজ শুরু করেছে ইসি। সীমানা পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত যত আবেদন জমা পড়েছে, তার প্রতিটি ধরে ধরে কাজ করছে ইসির এ-সংক্রান্ত কমিটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য যেসব আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আবেদনকারীরা বিভিন্ন যুক্তি দিয়েছেন। সেখান থেকে যেগুলো গ্রহণযোগ্য, সেগুলো আমরা গ্রহণ করব।’

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬৬টি আসন থেকে ইসিতে ৪১৭টি আবেদন জমা পড়েছে। প্রতিদিনই আসন পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আবেদন জমা পড়ছে। বেশির ভাগ আবেদনে ২০০১ সালের সীমানায় ফেরার দাবি জানানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত রোববার সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে বৈঠক করে এ-সংক্রান্ত কমিটি। সেখানে আবেদনগুলো নিষ্পত্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সীমানা রদবদলে কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, তা-ও আলোচিত হয়।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার”

পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে যদি সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে। উপদেষ্টা পরিষদের গতকাল অনির্ধারিত বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিবৃতিটি পাঠানো হয়েছে।

কয়েকদিন ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন ১৯ উপদেষ্টা। প্রায় ২ ঘণ্টার ওই বৈঠক শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যাচ্ছেন না। তিনি চলে যাবেন বলেননি। তিনি অবশ্যই থাকছেন। আমাদের অর্পিত দায়িত্ব বড় দায়িত্ব। তার ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ। এ দায়িত্ব ছেড়ে তো আমরা যেতে পারব না।’

দায়িত্ব পালনে যেসব প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে সেগুলো নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন বলে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে কী প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, কার কী প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, সেগুলো দেখা হচ্ছে। বড় পরিসরে আগামী নির্বাচন এবং একটি সুশাসিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য যে ধরনের ক্ষেত্র তৈরি করা দরকার সেই কাজেও কী কী প্রতিবন্ধকতা কোথা থেকে আসছে, সেগুলো আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি।’

বর্তমান সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি এবং সমর্থনে এসেছে উল্লেখ করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, তাদের ভিত্তিই জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। সেখানে কাউকে নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হলে সেটা সমীচীন হবে না।

গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তি ও রাষ্ট্রীয় সব সংস্থাকে লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে এ উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা তো আমাদের একার দায়িত্ব না।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আজ”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর চানখাঁরপুলে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গুলিতে শিক্ষার্থী আনাস হত্যার ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আজ। এর আগে গত ২০শে এপ্রিল এই মামলায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এই প্রতিবেদন আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে। এর মধ্যদিয়েই মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সূত্র মতে, এই ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ডিএমপি’র সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম, মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। তবে ৮ আসামির মধ্যে শেষের ৪ জন কারাগারে, বাকিরা পলাতক।

গত ৫ই আগস্ট ঢাকা মহানগরীর চানখাঁরপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি চালানো হয়। এতে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। আগ্নেয়াস্ত্র, এপিসি কার, লাখ লাখ বুলেট, হেলিকপ্টার, ড্রোন ব্যবহার করে এই আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।

তদন্তে উঠে এসেছে, চানখাঁরপুলের হত্যাকাণ্ডে পলাতক আসামি হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য আসামিরা ঘটনাস্থলে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। তারা অধীনস্থদের নির্দেশ প্রদান, সহযোগিতা ও সহায়তার মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটনে ভূমিকা রাখেন। এছাড়া তারা এসব অপরাধ সংঘটন থেকে অধীনস্থদের বিরত রাখেননি বা পরবর্তী সময়ে কোনো ব্যবস্থাও নেননি। এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ট্রাইব্যুনালে করা মামলাটির কম্প্লেইন রেজিস্ট্রার নম্বর-১৪৯। ৭ই অক্টোবর থেকে তদন্ত শুরু করে ১৯৫ দিনের তদন্ত শেষে ২০শে এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তদন্ত শেষে ৯০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে মোট ৭৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সংযুক্ত আছে ১৯টি ভিডিও, ১১টি পত্রিকার প্রতিবেদন, ২টি অডিও, ১১টি বই ও রিপোর্ট এবং ৬টি মৃত্যু সনদ। প্রতিবেদনে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশে ৬ জনকে হত্যার ঘটনা উঠে আসে।