বুদ্ধের মৃত্যুর পর তাঁর কথিত উপদেশগুলি যথাযথ রক্ষণ করবার জন্যে রাজগৃহেই তাঁর শিষ্যদের প্রথম সভা হয়। এই সব, আর বৌদ্ধ পুরাণে বর্ণিত অন্য অনেক স্থান হিউএনচাঙের বিবরণ থেকে এখন সনাক্ত হচ্ছে।
হিউএনচাঙ নালন্দায় অন্ততঃ এক বৎসর তিনমাস থেকে শীলভদ্রের নিকট যোগাচার শিক্ষা করেন। হিন্দু দার্শনিকতত্ত্ব ও সংস্কৃত ভাষাও এখানে ভালো করে শেখেন।
চীনের লিপি ভাবাঙ্কনমূলক (ideograph)।
এর প্রত্যেক অক্ষরই এক একটি সম্পূর্ণ বাক্য (word)। তা ছাড়া বিভক্তি আর ধাতুরূপ বদলে বদলে এক একটা বাক্যের নানা রূপ দেওয়া চীন ভাষায় সম্ভব নয়। সেই জন্যে চীনভাষায় প্রায় পঁয়তাল্লিশ হাজার অক্ষর প্রয়োজন হয়।
হিউএনচাঙ ভারতবর্ষে এসে দেখলেন মাত্র কয়েকটা অক্ষরের সাহায্যে কি চমৎকারভাবে সমস্ত কথা লেখা সম্ভব হয়। আর পাণিনির ব্যাকরণ তো আধুনিক ইয়ুরোপীয় ভাষাতত্ত্বেরও আদর্শস্থানীয়।
তাই সংস্কৃত ভাষা ও ব্যাকরণ পড়ে হিউএনচাঙ চমৎকৃত হন আর এগুলি খুব আগ্রহ সহকারে অধ্যয়ন করেন। তাঁর ভ্রমণকাহিনীতে এর অনেক বিবরণ তিনি দিয়েছেন।
(চলবে)