০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

হিউএনচাঙ (পর্ব-১২১)

বাংলা ও কামরূপ

নালন্দা থেকে বাংলাদেশের দিকে বেরিয়ে প্রথমে হিউএনচাঙ দিনকতক ‘কপোত’ নামক এক মঠে ছিলেন। ‘এই মঠের মাইলখানেক দূরে একটি চমৎকার নির্জন পাহাড় আছে। তাতে পরিষ্কার জলের ঝরনা, সুগন্ধী ফুল প্রচুর আছে।

সেইজন্যে ঐ পাহাড়ের উপর অনেকগুলি দেবমন্দির আছে আর সেসব দেবমন্দিরে নানারকম অলৌকিক ব্যাপার প্রায়ই দেখা যায়। এই অধিত্যকার মধ্যস্থলে অবলোকিতেশ্বরের একটি চন্দনকাঠে নির্মিত মূর্তি আছে আর কাছাকাছি অনেক জায়গা থেকে এখানে পূজা দিতে লোক আসে।’

এই মূর্তির চারদিকে একটা রেলিঙ ছিল। রেলিঙের বাইরে থেকে ভক্ত যদি ফুলের মালা ছুড়ে এই মূর্তির হাতে পরিয়ে দিতে পারতো তা হলে বুঝতো যে দেবতা তার প্রার্থনা গ্রাহ্য করলেন।

হিউএনচাঙ তিনটি প্রার্থনা করলেন- ‘প্রথম, আমার ইচ্ছা ভারতবর্ষে আমার শিক্ষা সমাপ্ত করে আমি যেন স্বদেশে ফিরতে পারি। এতে যদি সফলতার আশা থাকে তাহলে ফুলগুলি যেন আপনার পূজনীয় হাতে গৃহীত হয়।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১২১)

০৯:০০:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

বাংলা ও কামরূপ

নালন্দা থেকে বাংলাদেশের দিকে বেরিয়ে প্রথমে হিউএনচাঙ দিনকতক ‘কপোত’ নামক এক মঠে ছিলেন। ‘এই মঠের মাইলখানেক দূরে একটি চমৎকার নির্জন পাহাড় আছে। তাতে পরিষ্কার জলের ঝরনা, সুগন্ধী ফুল প্রচুর আছে।

সেইজন্যে ঐ পাহাড়ের উপর অনেকগুলি দেবমন্দির আছে আর সেসব দেবমন্দিরে নানারকম অলৌকিক ব্যাপার প্রায়ই দেখা যায়। এই অধিত্যকার মধ্যস্থলে অবলোকিতেশ্বরের একটি চন্দনকাঠে নির্মিত মূর্তি আছে আর কাছাকাছি অনেক জায়গা থেকে এখানে পূজা দিতে লোক আসে।’

এই মূর্তির চারদিকে একটা রেলিঙ ছিল। রেলিঙের বাইরে থেকে ভক্ত যদি ফুলের মালা ছুড়ে এই মূর্তির হাতে পরিয়ে দিতে পারতো তা হলে বুঝতো যে দেবতা তার প্রার্থনা গ্রাহ্য করলেন।

হিউএনচাঙ তিনটি প্রার্থনা করলেন- ‘প্রথম, আমার ইচ্ছা ভারতবর্ষে আমার শিক্ষা সমাপ্ত করে আমি যেন স্বদেশে ফিরতে পারি। এতে যদি সফলতার আশা থাকে তাহলে ফুলগুলি যেন আপনার পূজনীয় হাতে গৃহীত হয়।

(চলবে)