০৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
হাদির ওপর হামলা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ: মির্জা আব্বাস যাত্রাবাড়িতে বাসচাপায় বৃদ্ধার মৃত্যু গাজায় যুদ্ধের শেষ তিন মাসে নবজাতকের মৃত্যু বেড়েছে ভয়াবহভাবে নির্বাচন সহজ হবে না: তারেক রহমান শিশুদের জন্য বন্ধ হচ্ছে ডিজিটাল দরজা: সোশ্যাল মিডিয়া ও পর্ন সাইটে বয়স যাচাইয়ের বিশ্বব্যাপী ঢেউ সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তিতে ভর করে বিদেশে পালানো কর্মকর্তাকে তাড়া করছে বেইজিং বিআর শেঠি মামলা: নতুন সংযুক্ত আরব আমিরাত আইন খুলে দিল ব্যাংক অব বরোদার লেনদেন নথির দরজা হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ভারতের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহায়তা ছাড়া এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয় : নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ওপর হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত ও শাস্তির দাবি চট্টগ্রামে মাদকবিরোধী অভিযানে দুই নারী গ্রেপ্তার, বিপুল ইয়াবা উদ্ধার

থাই প্রধানমন্ত্রী গোপন অডিও ফাঁসের ঝড়

জোট ভাঙার কারণ
প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রার সরকার গঠনের এক বছরেরও কম সময়ে গভীর সংকটে পড়েছে। কেম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের সঙ্গে তাঁর একটি ফোনালাপ ফাঁস হলে ৬৯ আসনধারী ভূমজাইথাই দল বুধবার রাতে জোট ছেড়ে যায়। ফোনালাপে পেতংতার্ন হুন সেনকে ‘কাকা’ বলে সম্বোধন করে সীমান্তে বাণিজ্য পুনরায় চালুর আশ্বাস দেন এবং এক থাই সেনা কমান্ডারকে ‘বিপক্ষ’ বলে উল্লেখ করেন। দলটির বক্তব্য, এই কথোপকথনের মাধ্যমে দেশ “অবমানিত” হয়েছে এবং এর দায় প্রধানমন্ত্রীরই নিতে হবে। ফলস্বরূপ ৫০০ আসনের নিম্নকক্ষে সরকারপক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ২৬১ আসনে নেমে এসেছে, যা টিকিয়ে রাখা দুরূহ।

আরও শরিকদের ভবিষ্যৎ
২৫ আসনের ডেমোক্র্যাট দল এবং ১০ আসনের চার্টথাইপট্টনা দল জরুরি বৈঠক ডেকেছে—জোটে থাকবে নাকি ছেড়ে যাবে তা নিয়ে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, তারাও সরে গেলে সরকারের ভীত একেবারে ভেঙে পড়তে পারে। অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী পিপলস পার্টির নেতা নাত্থাপং রুয়েঙ্গ্‌পন্যাউত বৃহস্পতিবার সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান, কারণ “প্রধানমন্ত্রীর নৈতিক অধিকার ক্ষয়ে গেছে।”

সরকার ও পিউ থাই দলের প্রতিক্রিয়া
এক সংবাদ সম্মেলনে পেতংতার্ন জানান, ব্যক্তিগত আলাপ রেকর্ড করে ছড়িয়ে দেওয়ায় কেম্বোডিয়া সরকারকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে টানাপোড়েন মেটাতে আলোচনা হয়েছে এবং উভয় পক্ষই সার্বভৌমত্ব রক্ষায় একযোগে কাজ করবে। পিউ থাই দলও বিবৃতি দিয়ে শান্তিপূর্ণ কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

সরকার টিকবে কি?
রামকামহেং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্লেষক বুন্যাকিয়াত কারাভেকফান মনে করেন, পেতংতার্নের সামনে দুটি পথ—পদত্যাগ বা সংসদ বিলুপ্তি—যা-ই বেছে নিন, বর্তমান সরকারের অবসান অনিবার্য। গত আগস্টে তিনি আদালতের রায়ে অপসারিত স্রেত্থা থাভিসিনের স্থলাভিষিক্ত হন; তাঁর পিতা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাকসিন শিনাওয়াত্রা।

জনমনে প্রতিক্রিয়া ও সেনাবাহিনীর অবস্থান
বৃহস্পতিবার শত শত মানুষ ব্যাংককের সরকারি দপ্তরের সামনে সমবেত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে। একই দিন সেনাপ্রধান জেনারেল পানা ক্‌লাওপ্‌লোদথুক কোন অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা নাকচ করে বলেন, সেনাবাহিনী সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত মজবুত রাখতে বদ্ধপরিকর। একটি সেনা বিবৃতিতে জানানো হয়, বাহিনী আইনগত কাঠামোর মধ্যেই জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদির ওপর হামলা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ: মির্জা আব্বাস

থাই প্রধানমন্ত্রী গোপন অডিও ফাঁসের ঝড়

০৭:০০:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

জোট ভাঙার কারণ
প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রার সরকার গঠনের এক বছরেরও কম সময়ে গভীর সংকটে পড়েছে। কেম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের সঙ্গে তাঁর একটি ফোনালাপ ফাঁস হলে ৬৯ আসনধারী ভূমজাইথাই দল বুধবার রাতে জোট ছেড়ে যায়। ফোনালাপে পেতংতার্ন হুন সেনকে ‘কাকা’ বলে সম্বোধন করে সীমান্তে বাণিজ্য পুনরায় চালুর আশ্বাস দেন এবং এক থাই সেনা কমান্ডারকে ‘বিপক্ষ’ বলে উল্লেখ করেন। দলটির বক্তব্য, এই কথোপকথনের মাধ্যমে দেশ “অবমানিত” হয়েছে এবং এর দায় প্রধানমন্ত্রীরই নিতে হবে। ফলস্বরূপ ৫০০ আসনের নিম্নকক্ষে সরকারপক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ২৬১ আসনে নেমে এসেছে, যা টিকিয়ে রাখা দুরূহ।

আরও শরিকদের ভবিষ্যৎ
২৫ আসনের ডেমোক্র্যাট দল এবং ১০ আসনের চার্টথাইপট্টনা দল জরুরি বৈঠক ডেকেছে—জোটে থাকবে নাকি ছেড়ে যাবে তা নিয়ে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, তারাও সরে গেলে সরকারের ভীত একেবারে ভেঙে পড়তে পারে। অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী পিপলস পার্টির নেতা নাত্থাপং রুয়েঙ্গ্‌পন্যাউত বৃহস্পতিবার সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান, কারণ “প্রধানমন্ত্রীর নৈতিক অধিকার ক্ষয়ে গেছে।”

সরকার ও পিউ থাই দলের প্রতিক্রিয়া
এক সংবাদ সম্মেলনে পেতংতার্ন জানান, ব্যক্তিগত আলাপ রেকর্ড করে ছড়িয়ে দেওয়ায় কেম্বোডিয়া সরকারকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে টানাপোড়েন মেটাতে আলোচনা হয়েছে এবং উভয় পক্ষই সার্বভৌমত্ব রক্ষায় একযোগে কাজ করবে। পিউ থাই দলও বিবৃতি দিয়ে শান্তিপূর্ণ কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

সরকার টিকবে কি?
রামকামহেং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্লেষক বুন্যাকিয়াত কারাভেকফান মনে করেন, পেতংতার্নের সামনে দুটি পথ—পদত্যাগ বা সংসদ বিলুপ্তি—যা-ই বেছে নিন, বর্তমান সরকারের অবসান অনিবার্য। গত আগস্টে তিনি আদালতের রায়ে অপসারিত স্রেত্থা থাভিসিনের স্থলাভিষিক্ত হন; তাঁর পিতা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাকসিন শিনাওয়াত্রা।

জনমনে প্রতিক্রিয়া ও সেনাবাহিনীর অবস্থান
বৃহস্পতিবার শত শত মানুষ ব্যাংককের সরকারি দপ্তরের সামনে সমবেত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে। একই দিন সেনাপ্রধান জেনারেল পানা ক্‌লাওপ্‌লোদথুক কোন অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা নাকচ করে বলেন, সেনাবাহিনী সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত মজবুত রাখতে বদ্ধপরিকর। একটি সেনা বিবৃতিতে জানানো হয়, বাহিনী আইনগত কাঠামোর মধ্যেই জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করবে।