এই বিশাল নগরী এখন মহাস্থানগড় নামক এক প্রকাণ্ড মাটির ঢিবিতে পর্যবসিত।পুণ্ড্রবর্ধন থেকে আবার গঙ্গায় ফিরে এসে, হিউএনচাঙ ভাগীরথী-তীরে বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলায়, শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ (আধুনিক রাঙামাটি) এলেন।
এর সম্বন্ধে হিউএনচাঙ বলেছেন, ‘এ রাজ্যের পরিধি আন্দাজ দুই শ মাইল। রাজধানীর পরিধি আন্দাজ চার মাইল। এখানকার অধিবাসীরা খুব ধনী আর সংখ্যায় বহু। জমি নীচু আর উর্বরা। খুব ভালো ফুল হয় আর নানা মূল্যবান শস্য হয়। আবহাওয়া সুখদ।
লোকগুলির ব্যবহার সাধু ও প্রীতিজনক। এরা অত্যন্ত বিদ্যানুরাগী আর খুব যত্নসহকারে বিদ্যাচর্চা করে। (বৌদ্ধ) ধর্মে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী দুইই আছে। গোটা দশেক সঙ্ঘারাম আর দুই হাজার ভিক্ষু আছেন। পঞ্চাশটি দেবমন্দির আছে। বিধর্মীরা সংখ্যায় অনেক।
রাজধানীর নিকটে ‘রক্তমৃত্তিকা’ নামক একটা প্রকাণ্ড অনেকতলা উঁচু সঙ্ঘারাম আছে। সেখানে রাজ্যের সমস্ত বিখ্যাত পণ্ডিত আর বিশিষ্ট ব্যক্তিরা একত্র হন আর আত্মোন্নতির চেষ্টা করেন।
কাছেই অশোক রাজা নির্মিত একটি স্তূপ আছে।’
(চলবে)
সত্যেন্দ্রকুমার বসু 



















