১১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে এশিয়ার বড় ক্ষতির আশঙ্কা

হরমুজ প্রণালীর ওপর এশিয়ার নির্ভরতা

মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও গ্যাসের ওপর এশিয়ার ব্যাপক নির্ভরতা রয়েছে। ফলে ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়তবে এশীয় দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ জলপথ দিয়েই বিশ্বে ব্যবহৃত প্রায় ২০ শতাংশ তেল ও গ্যাস পরিবহন হয়।

সম্প্রতি ইরানের সংসদ একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছেযেখানে বলা হয়েছে — যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালালে তারা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের হাতে রয়েছে।

এই আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ শতাংশ বেড়ে ৮১ ডলারে পৌঁছায়যদিও পরে তা কমে ৮০ ডলারের নিচে চলে আসে।

শেল কর্পোরেশনের সিইও ওয়েল সাওয়ান বলেন, “এই প্রণালী বিশ্ব জ্বালানির প্রধান শিরা। যদি তা কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায়তাহলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বিশাল নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্ষতি

বিশ্লেষকরা বলছেনপ্রতিদিন প্রায় ১৫ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল হরমুজ দিয়ে পরিবাহিত হয়যার ৮০ শতাংশ এশিয়ায় আসে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যায় চীন ও ভারতে।

রিস্ট্যাড এনার্জির মতেআগে এই ঘাটতি রাশিয়ানাইজেরিয়াভেনেজুয়েলাঅ্যাঙ্গোলা ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পূরণ করা যেত। কিন্তু বর্তমানে এসব উৎস থেকে তেল সংগ্রহ করা জটিল হয়ে পড়েছে।

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করে। এই দুই দেশই প্রণালী দিয়ে পাঠানো মোট তেলের ২৪ শতাংশের গন্তব্য। এছাড়া সিঙ্গাপুরতাইওয়ানথাইল্যান্ডমালয়েশিয়াপাকিস্তান ও ভিয়েতনামও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তেল ও জ্বালানি আমদানি করে থাকে।

গ্যাস সরবরাহেও বিশাল নির্ভরতা

প্রতিদিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ব্যারেল পেট্রোলিয়াম পণ্যযেমন গ্যাসোলিন ও ডিজেলএই প্রণালী দিয়ে যায়যার ৬০ শতাংশই যায় এশিয়ায়। একইভাবেএই পথ দিয়ে পরিবাহিত তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (LNG) ৮০ শতাংশেরও বেশি যায় এশিয়াবিশেষ করে চীন ও ভারতে।

কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতযারা বিশ্বের অন্যতম বড় LNG রপ্তানিকারকহরমুজ প্রণালীর ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। দক্ষিণ কোরিয়াজাপানপাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশও এখান থেকে গ্যাস আমদানি করে।

সম্পূর্ণ বন্ধের ঝুঁকি এখনো কম

ইরান আগেও বহুবার হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি দিয়েছেএমনকি ১৯৮০ এর দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময়ও। তবে কখনোই পুরোপুরি এই জলপথ বন্ধ করেনি।

ইউরেশিয়া গ্রুপের বিশ্লেষকরা বলছেনপুরো প্রণালী বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি এখনো কমমাত্র ২০ শতাংশ। তাদের মতেইরান এখনই শক্তভাবে জ্বালানি স্থাপনায় আঘাত হানবে নাকারণ তাদের নিজস্ব রপ্তানি সুবিধাও তখন হুমকির মুখে পড়বে।

তবে তারা সতর্ক করেছেন যেইরান ট্যাংকার চলাচলে বাড়তি হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

চীনের প্রতিক্রিয়া: একটি বড় হিসাব

বিশ্লেষক তাকাহিদে কিউচি মনে করেনইরানের হরমুজ বন্ধের পরিকল্পনা চীনকে ক্ষুব্ধ করতে পারে। কারণ চীন ইরানের সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা এবং জাতিসংঘে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ইরানকে সহায়তা করে থাকে। তাই ইরানের জন্য চীনকে বিরক্ত করা একটি বড় ঝুঁকি।

তার ভাষায়, “চীন এই পথে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেতাই হুমকি থাকা সত্ত্বেও হরমুজ বন্ধ করা ইরানের জন্য কঠিন একটি সিদ্ধান্ত।

মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা: আবার ১০০ ডলারের উপরে তেল?

বিশ্লেষকরা বলছেনযদি হরমুজ প্রণালীতে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটেতবে তেলের দাম ১০০ ডলারেরও বেশি হয়ে যেতে পারে। ইউরোপ ও এশিয়া যখন সীমিত এলএনজি নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামবেতখন গ্যাসের দামও দ্রুত বাড়বে।

গোল্ডম্যান স্যাচসের মতেযদি এক মাসে হরমুজ দিয়ে তেল পরিবহন ৫০ শতাংশ কমে যায় এবং এরপর ১১ মাস ধরে তা ১০ শতাংশ কম থাকেতাহলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম সাময়িকভাবে ১১০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। ইউরোপীয় গ্যাসের দাম ২০২২ সালের জ্বালানি সংকটের সময়কার স্তরে উঠে যেতে পারেতখন উচ্চমূল্যের কারণে চাহিদা অনেকটাই কমে গিয়েছিল।

মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনীতি: সবচেয়ে ঝুঁকিতে জাপানকোরিয়াতাইওয়ান

মুডিজ অ্যানালাইটিক্সের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ স্টেফান অ্যাংরিক বলেনজ্বালানি ও পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে এশিয়ার মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি আরও বাড়বে। তার মতেজাপানদক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের মতো উচ্চ আয়ের দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেকারণ তারা খাদ্য ও জ্বালানির আমদানির ওপর নির্ভরশীল।

তিনি বলেন, “এতে তাদের বাণিজ্য ঘাটতি বাড়বেমুদ্রার মান কমবে এবং মুদ্রাস্ফীতিও বাড়বে। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা স্থগিত করতে পারে বা আবার বাড়াতে পারে।

হরমুজ প্রণালী মধ্যপ্রাচ্যের তেল-গ্যাস প্রবাহের মূল পথ। ইরান যদি রাজনৈতিক উত্তেজনায় এই প্রণালী বন্ধ করে দেয়তাহলে এশিয়ার দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও পূর্ণাঙ্গ বন্ধের আশঙ্কা কমতবুও যে কোনো ধরনের বিঘ্নতা জ্বালানি বাজারে মারাত্মক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারেযার প্রভাব পড়বে মুদ্রাস্ফীতিবাণিজ্য ভারসাম্য ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণে।

হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে এশিয়ার বড় ক্ষতির আশঙ্কা

০৬:০৭:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

হরমুজ প্রণালীর ওপর এশিয়ার নির্ভরতা

মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও গ্যাসের ওপর এশিয়ার ব্যাপক নির্ভরতা রয়েছে। ফলে ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়তবে এশীয় দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ জলপথ দিয়েই বিশ্বে ব্যবহৃত প্রায় ২০ শতাংশ তেল ও গ্যাস পরিবহন হয়।

সম্প্রতি ইরানের সংসদ একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছেযেখানে বলা হয়েছে — যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালালে তারা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের হাতে রয়েছে।

এই আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ শতাংশ বেড়ে ৮১ ডলারে পৌঁছায়যদিও পরে তা কমে ৮০ ডলারের নিচে চলে আসে।

শেল কর্পোরেশনের সিইও ওয়েল সাওয়ান বলেন, “এই প্রণালী বিশ্ব জ্বালানির প্রধান শিরা। যদি তা কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায়তাহলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বিশাল নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্ষতি

বিশ্লেষকরা বলছেনপ্রতিদিন প্রায় ১৫ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল হরমুজ দিয়ে পরিবাহিত হয়যার ৮০ শতাংশ এশিয়ায় আসে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যায় চীন ও ভারতে।

রিস্ট্যাড এনার্জির মতেআগে এই ঘাটতি রাশিয়ানাইজেরিয়াভেনেজুয়েলাঅ্যাঙ্গোলা ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পূরণ করা যেত। কিন্তু বর্তমানে এসব উৎস থেকে তেল সংগ্রহ করা জটিল হয়ে পড়েছে।

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করে। এই দুই দেশই প্রণালী দিয়ে পাঠানো মোট তেলের ২৪ শতাংশের গন্তব্য। এছাড়া সিঙ্গাপুরতাইওয়ানথাইল্যান্ডমালয়েশিয়াপাকিস্তান ও ভিয়েতনামও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তেল ও জ্বালানি আমদানি করে থাকে।

গ্যাস সরবরাহেও বিশাল নির্ভরতা

প্রতিদিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ব্যারেল পেট্রোলিয়াম পণ্যযেমন গ্যাসোলিন ও ডিজেলএই প্রণালী দিয়ে যায়যার ৬০ শতাংশই যায় এশিয়ায়। একইভাবেএই পথ দিয়ে পরিবাহিত তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (LNG) ৮০ শতাংশেরও বেশি যায় এশিয়াবিশেষ করে চীন ও ভারতে।

কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতযারা বিশ্বের অন্যতম বড় LNG রপ্তানিকারকহরমুজ প্রণালীর ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। দক্ষিণ কোরিয়াজাপানপাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশও এখান থেকে গ্যাস আমদানি করে।

সম্পূর্ণ বন্ধের ঝুঁকি এখনো কম

ইরান আগেও বহুবার হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি দিয়েছেএমনকি ১৯৮০ এর দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময়ও। তবে কখনোই পুরোপুরি এই জলপথ বন্ধ করেনি।

ইউরেশিয়া গ্রুপের বিশ্লেষকরা বলছেনপুরো প্রণালী বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি এখনো কমমাত্র ২০ শতাংশ। তাদের মতেইরান এখনই শক্তভাবে জ্বালানি স্থাপনায় আঘাত হানবে নাকারণ তাদের নিজস্ব রপ্তানি সুবিধাও তখন হুমকির মুখে পড়বে।

তবে তারা সতর্ক করেছেন যেইরান ট্যাংকার চলাচলে বাড়তি হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

চীনের প্রতিক্রিয়া: একটি বড় হিসাব

বিশ্লেষক তাকাহিদে কিউচি মনে করেনইরানের হরমুজ বন্ধের পরিকল্পনা চীনকে ক্ষুব্ধ করতে পারে। কারণ চীন ইরানের সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা এবং জাতিসংঘে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ইরানকে সহায়তা করে থাকে। তাই ইরানের জন্য চীনকে বিরক্ত করা একটি বড় ঝুঁকি।

তার ভাষায়, “চীন এই পথে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেতাই হুমকি থাকা সত্ত্বেও হরমুজ বন্ধ করা ইরানের জন্য কঠিন একটি সিদ্ধান্ত।

মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা: আবার ১০০ ডলারের উপরে তেল?

বিশ্লেষকরা বলছেনযদি হরমুজ প্রণালীতে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটেতবে তেলের দাম ১০০ ডলারেরও বেশি হয়ে যেতে পারে। ইউরোপ ও এশিয়া যখন সীমিত এলএনজি নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামবেতখন গ্যাসের দামও দ্রুত বাড়বে।

গোল্ডম্যান স্যাচসের মতেযদি এক মাসে হরমুজ দিয়ে তেল পরিবহন ৫০ শতাংশ কমে যায় এবং এরপর ১১ মাস ধরে তা ১০ শতাংশ কম থাকেতাহলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম সাময়িকভাবে ১১০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। ইউরোপীয় গ্যাসের দাম ২০২২ সালের জ্বালানি সংকটের সময়কার স্তরে উঠে যেতে পারেতখন উচ্চমূল্যের কারণে চাহিদা অনেকটাই কমে গিয়েছিল।

মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনীতি: সবচেয়ে ঝুঁকিতে জাপানকোরিয়াতাইওয়ান

মুডিজ অ্যানালাইটিক্সের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ স্টেফান অ্যাংরিক বলেনজ্বালানি ও পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে এশিয়ার মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি আরও বাড়বে। তার মতেজাপানদক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের মতো উচ্চ আয়ের দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেকারণ তারা খাদ্য ও জ্বালানির আমদানির ওপর নির্ভরশীল।

তিনি বলেন, “এতে তাদের বাণিজ্য ঘাটতি বাড়বেমুদ্রার মান কমবে এবং মুদ্রাস্ফীতিও বাড়বে। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা স্থগিত করতে পারে বা আবার বাড়াতে পারে।

হরমুজ প্রণালী মধ্যপ্রাচ্যের তেল-গ্যাস প্রবাহের মূল পথ। ইরান যদি রাজনৈতিক উত্তেজনায় এই প্রণালী বন্ধ করে দেয়তাহলে এশিয়ার দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও পূর্ণাঙ্গ বন্ধের আশঙ্কা কমতবুও যে কোনো ধরনের বিঘ্নতা জ্বালানি বাজারে মারাত্মক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারেযার প্রভাব পড়বে মুদ্রাস্ফীতিবাণিজ্য ভারসাম্য ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণে।