
মেসোপটেমিয়ার ৪৯ সংখ্যক বেঙ্গলি রেজিমেন্টের ভারতীয় অফিসারগণের একাংশ। বামদিক হতে-জমাদার যশোদাকিঙ্কর ঘোষ, জমাদার শচীন্দ্রনাথ রায়, জমাদার নবাব বাহাদুর ঢাকা, সুবেদার অনাদিনাথ চাটার্জি, জমাদার প্রকৃতিকুমার ঘোষ। মাঝখানে উপবিষ্ট বামদিক হতে-সুবেদার হীরেন্দ্রনাথ সরকার, সুবেদার কুমার অধিক্রম মজুমদার, সুবেদার মনবাহাদুর সিংহ, সুবেদার ফণভূিষণ দত্ত। সামনে উপবিষ্ট বামদিক হতে-সুবেদার ভুপেন্দ্রনাথ ঘোষাল, জমাদার ভূমেন রায়।
খাজা মমতাজ বখত
ঢাকার নবাব পরিবারের সদস্য ও কবি। তাঁর বড় ভাই ফার্সি-উর্দু কবি খাজা বেদার বখত। প্রথম দিকে ব্যবসা করলেও পরে সুফিদের মতো থাকতেন, করাচির ‘খিবরা’ মসজিদে ইমামতি করতেন, তার গানের দুটি লাইন অনুবাদ
করেছিলেন কানিজ-ই বাতুল-
তোমার অভিনয় হত্যাকারী তোমার দৃষ্টি হত্যাকারী।
অথচ আমাকে
ওগুলোর মধ্যেই উঠাবসা করতে হচ্ছে।
খাজা হাবিবুল্লাহ (১৮৯৫-১৯৫৮
ঢাকার নবাব পরিবারের উত্তরাধিকারী। নবাব সলিমুল্লাহর বড় ছেলে। পিতার মৃত্যুর পর নবাব এস্টেটের ভারগ্রহণ করেন এবং তাঁকে নবাব উপাধি দেওয়া হয়। ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বাঙালি পল্টনে যোগ দেন। জমাদার পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
হাবিবুল্লাহ সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন ১৯১৮-১৯ সালে। বঙ্গীয় প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভার সভ্য ছিলেন ১৯২৪-১৯৩২ সাল পর্যন্ত। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত ব্যবস্থাপক সভার সভ্য ছিলেন। মুসলিম লীগে যোগদান করলেও ১৯৪১ সালে লীগ ত্যাগ করেন।
গত শতকের ষাটের দশকে আহসান মঞ্জিল ত্যাগ করে পরীবাগে বসবাস শুরু করেন। বাড়ির নাম ছিল গ্রিন হাউজ। এ বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার নাম রাখা হয়েছে হাবিবুল্লাহ রোড।
(চলবে)
পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৫)
মুনতাসীর মামুন 



















