০৯:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৮৩৪ জন পাকিস্তানের দুর্ভিক্ষের বছর? প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রত্যাশীদের আমরণ অনশন ৬৫ ঘণ্টা অতিক্রম, সরকারের নীরবতা অব্যাহত গণভোটের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই: বিএনপি নেতা আমীর খসরু শাহবাগে শিক্ষকদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গে পুলিশের পদক্ষেপের পক্ষে ডিএমপি গণভোটের জন্যে সাত দিনের আলটিমেটাম অগ্রহণযোগ্য: সরকারের সমালোচনায় সালাহউদ্দিন শাহবাগে শিক্ষক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১২০ জন প্রবল বৃষ্টিতে গাবা ম্যাচ বাতিল, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি২০ সিরিজ জিতল ভারত চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে পাকিস্তানি নৌযান ‘পিএনএস সাইফ’

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৬)

মেসোপটেমিয়ার ৪৯ সংখ্যক বেঙ্গলি রেজিমেন্টের ভারতীয় অফিসারগণের একাংশ। বামদিক হতে-জমাদার যশোদাকিঙ্কর ঘোষ, জমাদার শচীন্দ্রনাথ রায়, জমাদার নবাব বাহাদুর ঢাকা, সুবেদার অনাদিনাথ চাটার্জি, জমাদার প্রকৃতিকুমার ঘোষ। মাঝখানে উপবিষ্ট বামদিক হতে-সুবেদার হীরেন্দ্রনাথ সরকার, সুবেদার কুমার অধিক্রম মজুমদার, সুবেদার মনবাহাদুর সিংহ, সুবেদার ফণভূিষণ দত্ত। সামনে উপবিষ্ট বামদিক হতে-সুবেদার ভুপেন্দ্রনাথ ঘোষাল, জমাদার ভূমেন রায়।

খাজা মমতাজ বখত

ঢাকার নবাব পরিবারের সদস্য ও কবি। তাঁর বড় ভাই ফার্সি-উর্দু কবি খাজা বেদার বখত। প্রথম দিকে ব্যবসা করলেও পরে সুফিদের মতো থাকতেন, করাচির ‘খিবরা’ মসজিদে ইমামতি করতেন, তার গানের দুটি লাইন অনুবাদ
করেছিলেন কানিজ-ই বাতুল-

তোমার অভিনয় হত্যাকারী তোমার দৃষ্টি হত্যাকারী।
অথচ আমাকে
ওগুলোর মধ্যেই উঠাবসা করতে হচ্ছে।

খাজা হাবিবুল্লাহ (১৮৯৫-১৯৫৮

ঢাকার নবাব পরিবারের উত্তরাধিকারী। নবাব সলিমুল্লাহর বড় ছেলে। পিতার মৃত্যুর পর নবাব এস্টেটের ভারগ্রহণ করেন এবং তাঁকে নবাব উপাধি দেওয়া হয়। ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বাঙালি পল্টনে যোগ দেন। জমাদার পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

হাবিবুল্লাহ সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন ১৯১৮-১৯ সালে। বঙ্গীয় প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভার সভ্য ছিলেন ১৯২৪-১৯৩২ সাল পর্যন্ত। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত ব্যবস্থাপক সভার সভ্য ছিলেন। মুসলিম লীগে যোগদান করলেও ১৯৪১ সালে লীগ ত্যাগ করেন।

গত শতকের ষাটের দশকে আহসান মঞ্জিল ত্যাগ করে পরীবাগে বসবাস শুরু করেন। বাড়ির নাম ছিল গ্রিন হাউজ। এ বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার নাম রাখা হয়েছে হাবিবুল্লাহ রোড।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৫)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৫)

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৬)

০৭:০০:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

মেসোপটেমিয়ার ৪৯ সংখ্যক বেঙ্গলি রেজিমেন্টের ভারতীয় অফিসারগণের একাংশ। বামদিক হতে-জমাদার যশোদাকিঙ্কর ঘোষ, জমাদার শচীন্দ্রনাথ রায়, জমাদার নবাব বাহাদুর ঢাকা, সুবেদার অনাদিনাথ চাটার্জি, জমাদার প্রকৃতিকুমার ঘোষ। মাঝখানে উপবিষ্ট বামদিক হতে-সুবেদার হীরেন্দ্রনাথ সরকার, সুবেদার কুমার অধিক্রম মজুমদার, সুবেদার মনবাহাদুর সিংহ, সুবেদার ফণভূিষণ দত্ত। সামনে উপবিষ্ট বামদিক হতে-সুবেদার ভুপেন্দ্রনাথ ঘোষাল, জমাদার ভূমেন রায়।

খাজা মমতাজ বখত

ঢাকার নবাব পরিবারের সদস্য ও কবি। তাঁর বড় ভাই ফার্সি-উর্দু কবি খাজা বেদার বখত। প্রথম দিকে ব্যবসা করলেও পরে সুফিদের মতো থাকতেন, করাচির ‘খিবরা’ মসজিদে ইমামতি করতেন, তার গানের দুটি লাইন অনুবাদ
করেছিলেন কানিজ-ই বাতুল-

তোমার অভিনয় হত্যাকারী তোমার দৃষ্টি হত্যাকারী।
অথচ আমাকে
ওগুলোর মধ্যেই উঠাবসা করতে হচ্ছে।

খাজা হাবিবুল্লাহ (১৮৯৫-১৯৫৮

ঢাকার নবাব পরিবারের উত্তরাধিকারী। নবাব সলিমুল্লাহর বড় ছেলে। পিতার মৃত্যুর পর নবাব এস্টেটের ভারগ্রহণ করেন এবং তাঁকে নবাব উপাধি দেওয়া হয়। ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বাঙালি পল্টনে যোগ দেন। জমাদার পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

হাবিবুল্লাহ সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন ১৯১৮-১৯ সালে। বঙ্গীয় প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভার সভ্য ছিলেন ১৯২৪-১৯৩২ সাল পর্যন্ত। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত ব্যবস্থাপক সভার সভ্য ছিলেন। মুসলিম লীগে যোগদান করলেও ১৯৪১ সালে লীগ ত্যাগ করেন।

গত শতকের ষাটের দশকে আহসান মঞ্জিল ত্যাগ করে পরীবাগে বসবাস শুরু করেন। বাড়ির নাম ছিল গ্রিন হাউজ। এ বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার নাম রাখা হয়েছে হাবিবুল্লাহ রোড।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৫)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৫)