০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪০) শেক্‌সপিয়ারের নীরব স্ত্রীকে কেন্দ্র করে হ্যামনেট: শোকের গল্পে নতুন ভাষা ইভি আমদানি বাড়ায় মানদণ্ড কঠোর করছে ভিয়েতনাম মুদ্রাস্ফীতি কমলেও সুদহার নিয়ে সতর্ক শ্রীলঙ্কা মরুভূমিতে হঠাৎ বন্যা: ওমানে প্রাণঘাতী বৃষ্টির নতুন বাস্তবতা চীনের বিনিয়োগে ঐতিহাসিক মোড়, তিন দশকের ধারাবাহিকতা ভাঙার মুখে অর্থনীতি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী মামলা প্রত্যাহারের দাবি সম্পাদক পরিষদের সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীর পাঁচ দিনের রিমান্ডে সমালোচনা করা যাবে না- এই বার্তাই কি দেওয়া হলো আনিস আলমগীরের ঘটনায়

হোলি আর্টিজানের আইএস সন্ত্রাসী রিপন স্বীকার করে তার ৩.৯ মিলিয়ন অর্থ জোগাড় করে

২০১৬ সালের ১–২ জুলাই ঢাকার গুলশান‑২‑এর ‘হোলি আর্টিজান বেকারি’তে সশস্ত্র হামলা চালায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ ‘নিও জেএমবি’ সন্ত্রাসীরা। তারা বোমা, ম্যাচেট ও পিস্তল ব্যবহার করে প্রায় ১২ ঘণ্টা জঙ্গি দাপট চালায়, যার মধ্যে বিদেশি নাগরিকসহ ২৯ জন নিহত হন।

গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তি: রিপনের মামলা

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) অভিযানে গ্রেপ্তার হন মো. মামুনুর রশিদ রিপন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ভারতে অবস্থান করে টাকা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করেছিলেন এবং ৩.৯ মিলিয়ন টাকা উত্তোলন করেন। তিনি হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার বিষয়টি স্বীকার করেন।

আদালতে অগ্রগতি

  • প্রথম চার্জশিট ও অভিযোগ
    ২০১৮ সালের নভেম্বরে দাখিল করা অভিযোগপত্রে রিপনসহ মোট আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
  • স্বীকারোক্তি
    হাদিসুর রহমান সাগর নামে আরেক অভিযুক্ত ওই বছরের আগেই অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহের দায় স্বীকার করেন।
  • সাজা পরিবর্তন
    ২০১৯ সালের নভেম্বরে সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের জুনে আপিল আদালত সেই রায় পরিবর্তন করে আজীবন কারাদণ্ড দেয়।

সাম্প্রতিক আপডেট

  • ২০২৫ সালের জুলাইয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার জানান, সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে এবং ‘হোলি আর্টিজান’ মামলার বিচার আইনি পথে দ্রুত এগোচ্ছে।
  • ‘নিও জেএমবি’ সদস্যদের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে চলতি বছরের মধ্যেই প্রক্রিয়া শেষ করার চেষ্টা চলছে।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া

টাইম ও নিউ ইয়র্কার‑এর বিশ্লেষণে দেখা যায়, মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত তরুণদের একটি অংশ র‍্যাডিক্যাল সন্ত্রাসবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে। এতে জনমনে আতঙ্ক বাড়েছে এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা আরও জোরদার হয়েছে।

প্রথম কালো অধ্যায়
‘হোলি আর্টিজান বেকারি’ হামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। হামলার পরিকল্পনা ও অস্ত্র সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের সবাই গ্রেপ্তার হয়ে বিচারাধীন। তাদের মধ্যে রিপনের স্বীকারোক্তি বিচার‑প্রক্রিয়াকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সহায়ক হয়েছে। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে প্রাথমিক মৃত্যুদণ্ড আজীবন কারাদণ্ডে রূপ নিলেও বিচার এখনো চলমান। সন্ত্রাসবাদ দমনে কঠোর আইনগত ও সামাজিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে—এটি আমাদের জন্য এক অনিঃশেষ সতর্কবার্তা।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪০)

হোলি আর্টিজানের আইএস সন্ত্রাসী রিপন স্বীকার করে তার ৩.৯ মিলিয়ন অর্থ জোগাড় করে

০৩:৪৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

২০১৬ সালের ১–২ জুলাই ঢাকার গুলশান‑২‑এর ‘হোলি আর্টিজান বেকারি’তে সশস্ত্র হামলা চালায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ ‘নিও জেএমবি’ সন্ত্রাসীরা। তারা বোমা, ম্যাচেট ও পিস্তল ব্যবহার করে প্রায় ১২ ঘণ্টা জঙ্গি দাপট চালায়, যার মধ্যে বিদেশি নাগরিকসহ ২৯ জন নিহত হন।

গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তি: রিপনের মামলা

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) অভিযানে গ্রেপ্তার হন মো. মামুনুর রশিদ রিপন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ভারতে অবস্থান করে টাকা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করেছিলেন এবং ৩.৯ মিলিয়ন টাকা উত্তোলন করেন। তিনি হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার বিষয়টি স্বীকার করেন।

আদালতে অগ্রগতি

  • প্রথম চার্জশিট ও অভিযোগ
    ২০১৮ সালের নভেম্বরে দাখিল করা অভিযোগপত্রে রিপনসহ মোট আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
  • স্বীকারোক্তি
    হাদিসুর রহমান সাগর নামে আরেক অভিযুক্ত ওই বছরের আগেই অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহের দায় স্বীকার করেন।
  • সাজা পরিবর্তন
    ২০১৯ সালের নভেম্বরে সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের জুনে আপিল আদালত সেই রায় পরিবর্তন করে আজীবন কারাদণ্ড দেয়।

সাম্প্রতিক আপডেট

  • ২০২৫ সালের জুলাইয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার জানান, সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে এবং ‘হোলি আর্টিজান’ মামলার বিচার আইনি পথে দ্রুত এগোচ্ছে।
  • ‘নিও জেএমবি’ সদস্যদের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে চলতি বছরের মধ্যেই প্রক্রিয়া শেষ করার চেষ্টা চলছে।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া

টাইম ও নিউ ইয়র্কার‑এর বিশ্লেষণে দেখা যায়, মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত তরুণদের একটি অংশ র‍্যাডিক্যাল সন্ত্রাসবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে। এতে জনমনে আতঙ্ক বাড়েছে এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা আরও জোরদার হয়েছে।

প্রথম কালো অধ্যায়
‘হোলি আর্টিজান বেকারি’ হামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। হামলার পরিকল্পনা ও অস্ত্র সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের সবাই গ্রেপ্তার হয়ে বিচারাধীন। তাদের মধ্যে রিপনের স্বীকারোক্তি বিচার‑প্রক্রিয়াকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সহায়ক হয়েছে। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে প্রাথমিক মৃত্যুদণ্ড আজীবন কারাদণ্ডে রূপ নিলেও বিচার এখনো চলমান। সন্ত্রাসবাদ দমনে কঠোর আইনগত ও সামাজিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে—এটি আমাদের জন্য এক অনিঃশেষ সতর্কবার্তা।