০৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
টিকটকে ব্যর্থ প্রচারণা ও জাপানে রাজনীতির রূপান্তরকাল বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ভবনে বাচ্চাদের ক্লাস চলছিল দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ময়নাতদন্ত ছাড়া দাহ হলে ফরেনসিক পদ্ধতি কিছুটা কাজ করতে পারে পুনর্ভবা নদী: ইতিহাস, সভ্যতা ও দুই বাংলার জলস্রোতের আত্মকথা মঙ্গলবার বাংলাদেশে জাতীয় শোক ঘোষণা উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলটসহ নিহত ১৯, আহত ১৬৪: আইএসপিআর বক্স অফিস মাতাচ্ছে ‘সুপারম্যান’ ও ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এলাকায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত চীনের ধনীদের জন্য বিলাসবহুল ভ্রমণের নতুন সংজ্ঞা দিচ্ছে শাংরি-লার নতুন হোটেল ব্র্যান্ড

হোলি আর্টিজানের আইএস সন্ত্রাসী রিপন স্বীকার করে তার ৩.৯ মিলিয়ন অর্থ জোগাড় করে

২০১৬ সালের ১–২ জুলাই ঢাকার গুলশান‑২‑এর ‘হোলি আর্টিজান বেকারি’তে সশস্ত্র হামলা চালায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ ‘নিও জেএমবি’ সন্ত্রাসীরা। তারা বোমা, ম্যাচেট ও পিস্তল ব্যবহার করে প্রায় ১২ ঘণ্টা জঙ্গি দাপট চালায়, যার মধ্যে বিদেশি নাগরিকসহ ২৯ জন নিহত হন।

গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তি: রিপনের মামলা

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) অভিযানে গ্রেপ্তার হন মো. মামুনুর রশিদ রিপন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ভারতে অবস্থান করে টাকা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করেছিলেন এবং ৩.৯ মিলিয়ন টাকা উত্তোলন করেন। তিনি হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার বিষয়টি স্বীকার করেন।

আদালতে অগ্রগতি

  • প্রথম চার্জশিট ও অভিযোগ
    ২০১৮ সালের নভেম্বরে দাখিল করা অভিযোগপত্রে রিপনসহ মোট আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
  • স্বীকারোক্তি
    হাদিসুর রহমান সাগর নামে আরেক অভিযুক্ত ওই বছরের আগেই অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহের দায় স্বীকার করেন।
  • সাজা পরিবর্তন
    ২০১৯ সালের নভেম্বরে সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের জুনে আপিল আদালত সেই রায় পরিবর্তন করে আজীবন কারাদণ্ড দেয়।

সাম্প্রতিক আপডেট

  • ২০২৫ সালের জুলাইয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার জানান, সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে এবং ‘হোলি আর্টিজান’ মামলার বিচার আইনি পথে দ্রুত এগোচ্ছে।
  • ‘নিও জেএমবি’ সদস্যদের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে চলতি বছরের মধ্যেই প্রক্রিয়া শেষ করার চেষ্টা চলছে।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া

টাইম ও নিউ ইয়র্কার‑এর বিশ্লেষণে দেখা যায়, মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত তরুণদের একটি অংশ র‍্যাডিক্যাল সন্ত্রাসবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে। এতে জনমনে আতঙ্ক বাড়েছে এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা আরও জোরদার হয়েছে।

প্রথম কালো অধ্যায়
‘হোলি আর্টিজান বেকারি’ হামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। হামলার পরিকল্পনা ও অস্ত্র সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের সবাই গ্রেপ্তার হয়ে বিচারাধীন। তাদের মধ্যে রিপনের স্বীকারোক্তি বিচার‑প্রক্রিয়াকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সহায়ক হয়েছে। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে প্রাথমিক মৃত্যুদণ্ড আজীবন কারাদণ্ডে রূপ নিলেও বিচার এখনো চলমান। সন্ত্রাসবাদ দমনে কঠোর আইনগত ও সামাজিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে—এটি আমাদের জন্য এক অনিঃশেষ সতর্কবার্তা।

টিকটকে ব্যর্থ প্রচারণা ও জাপানে রাজনীতির রূপান্তরকাল

হোলি আর্টিজানের আইএস সন্ত্রাসী রিপন স্বীকার করে তার ৩.৯ মিলিয়ন অর্থ জোগাড় করে

০৩:৪৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

২০১৬ সালের ১–২ জুলাই ঢাকার গুলশান‑২‑এর ‘হোলি আর্টিজান বেকারি’তে সশস্ত্র হামলা চালায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ ‘নিও জেএমবি’ সন্ত্রাসীরা। তারা বোমা, ম্যাচেট ও পিস্তল ব্যবহার করে প্রায় ১২ ঘণ্টা জঙ্গি দাপট চালায়, যার মধ্যে বিদেশি নাগরিকসহ ২৯ জন নিহত হন।

গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তি: রিপনের মামলা

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) অভিযানে গ্রেপ্তার হন মো. মামুনুর রশিদ রিপন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ভারতে অবস্থান করে টাকা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করেছিলেন এবং ৩.৯ মিলিয়ন টাকা উত্তোলন করেন। তিনি হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার বিষয়টি স্বীকার করেন।

আদালতে অগ্রগতি

  • প্রথম চার্জশিট ও অভিযোগ
    ২০১৮ সালের নভেম্বরে দাখিল করা অভিযোগপত্রে রিপনসহ মোট আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
  • স্বীকারোক্তি
    হাদিসুর রহমান সাগর নামে আরেক অভিযুক্ত ওই বছরের আগেই অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহের দায় স্বীকার করেন।
  • সাজা পরিবর্তন
    ২০১৯ সালের নভেম্বরে সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের জুনে আপিল আদালত সেই রায় পরিবর্তন করে আজীবন কারাদণ্ড দেয়।

সাম্প্রতিক আপডেট

  • ২০২৫ সালের জুলাইয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার জানান, সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে এবং ‘হোলি আর্টিজান’ মামলার বিচার আইনি পথে দ্রুত এগোচ্ছে।
  • ‘নিও জেএমবি’ সদস্যদের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে চলতি বছরের মধ্যেই প্রক্রিয়া শেষ করার চেষ্টা চলছে।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া

টাইম ও নিউ ইয়র্কার‑এর বিশ্লেষণে দেখা যায়, মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত তরুণদের একটি অংশ র‍্যাডিক্যাল সন্ত্রাসবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে। এতে জনমনে আতঙ্ক বাড়েছে এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা আরও জোরদার হয়েছে।

প্রথম কালো অধ্যায়
‘হোলি আর্টিজান বেকারি’ হামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। হামলার পরিকল্পনা ও অস্ত্র সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের সবাই গ্রেপ্তার হয়ে বিচারাধীন। তাদের মধ্যে রিপনের স্বীকারোক্তি বিচার‑প্রক্রিয়াকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সহায়ক হয়েছে। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে প্রাথমিক মৃত্যুদণ্ড আজীবন কারাদণ্ডে রূপ নিলেও বিচার এখনো চলমান। সন্ত্রাসবাদ দমনে কঠোর আইনগত ও সামাজিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে—এটি আমাদের জন্য এক অনিঃশেষ সতর্কবার্তা।