০৯:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে ধীরে চলছে জেলা কমিটি

সমকালের একটি শিরোনাম “রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে ধীরে চলছে জেলা কমিটি”

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার কার্যক্রমে ধীরে চলছিল জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বাধীন কমিটি। অনেক জেলায় সাড়ে ৯ মাস ধরে মামলার যাচাই-বাছাই চলছিল। এ অবস্থায় নতুন নিয়োগ পাওয়া জেলা ও মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরদের (পিপি) সরাসরি মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখন পিপির মাধ্যমে আবেদন পেয়ে মামলা প্রত্যাহারের সরকারি আদেশ (জিও) জারি করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে জেলা কমিটির অজান্তে অনেক মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে।

আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ডিসি ও পিপিরা গত সাড়ে ৯ মাসে ১৬ হাজার ৯৪০টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন পাঠিয়েছিলেন। পরে আইন মন্ত্রণালয় ২১টি সভা করে ১৫ হাজার ৬০০টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করে। এর মধ্যে ডিসিদের পাঠানো মামলার সংখ্যা প্রায় এক হাজার। বাকি ১৪ হাজার ৬০০টি মামলা পিপি ও রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করা হয়। এসব মামলার মধ্যে ১৭তম সভা পর্যন্ত জিও জারি করা হয়েছে ১১ হাজার ১৫৫টির।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে গত ২২ সেপ্টেম্বর দুটি কমিটি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এর একটি জেলা পর্যায়ের, অন্যটি মন্ত্রণালয়ের কমিটি। জেলা কমিটির সভাপতি ডিসি বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সদস্য পুলিশ সুপার (মহানগরের জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটর। হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য জেলা কমিটির সভাপতির কাছে আবেদনের শেষ সময় ছিল গত ৩১ ডিসেম্বর।

জেলা কমিটির কাছ থেকে সুপারিশপ্রাপ্তির পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত ও মামলা প্রত্যাহার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল মন্ত্রণালয়ের কমিটির। সেই কমিটির সভাপতি আইন উপদেষ্টা। তবে আবেদনের শেষ সময় পর্যন্ত জেলা কমিটি থেকে মামলা প্রত্যাহারের কোনো তালিকা পায়নি মন্ত্রণালয়। সময় শেষ হওয়ার পর কয়েকজন জেলা প্রশাসক তালিকা পাঠাতে শুরু করেন। এ পরিস্থিতিতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়ানো হয়। হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য এখন প্রতি সপ্তাহে আইন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসছেন।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “এনসিপির নিবন্ধন: ২০০ ভোটারের শর্ত পূরণ হয়নি ২৫ উপজেলায়”

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করা নতুন ১৪৪টি দলের সবগুলোই প্রাথমিক বাছাইয়ে ফেল করেছে। নিবন্ধন পাওয়ার জন্য যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, কোনো দলই তার শতভাগ পূরণ করতে পারেনি। গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) রয়েছে এই তালিকায়। দলটি ২৫ উপজেলায় ২০০ জন ভোটারের স্বাক্ষর নিতে পারেনি। আবেদনেও রয়েছে কিছু ত্রুটি। এসব ত্রুটি সারিয়ে তুলতে দলটিকে ১৫ দিন সময় দিয়েছে কমিশন।

নতুন দলের নিবন্ধন আবেদনের বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নিবন্ধন দেওয়ার জন্য আইন অনুযায়ী যেসব শর্ত পূরণের তথ্য দিতে হয়, সব দলেরই সেই তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। ওই সব ঘাটতি পূরণে সব দলকেই ১৫ দিন সময় দিয়ে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।

এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামকে দেওয়া ইসির এক চিঠিতে নিবন্ধন আবেদনে বেশ কিছু ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ত্রুটিগুলোর মধ্যে আছে—ঠিকানাসহ দলের সব কার্যকর জেলা দপ্তরের তালিকা দেওয়া হয়নি; ঢাকা ও সিলেট জেলা দপ্তরের ভাড়া চুক্তিপত্রে দলের নাম উল্লেখ নেই; ঠিকানাসহ সব উপজেলা, থানা দপ্তরের তালিকা দেওয়া হয়নি; ২৫টি উপজেলা/থানায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটার (ন্যূনতম ২০০ জন) সদস্যের অন্তর্ভুক্তি পাওয়া যায়নি; ইটনা উপজেলার ভাড়ার চুক্তিপত্রে দলের নাম উল্লেখ নেই; হালুয়াঘাট উপজেলার ভাড়া চুক্তিপত্রে দলের নাম ও অফিসের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি; আবেদন ফরম-১-এর ফিল্ড নম্বর-৯-এ তহবিলের পরিমাণ উল্লেখ নেই, আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত তহবিলের উৎসের বিবরণীতেও তহবিলের পরিমাণ উল্লেখ নেই; নিবন্ধনের বিষয়ে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তের অনুলিপির শেষ পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর নেই।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সারা দেশ থেকে জড়ো হচ্ছেন নেতা-কর্মীরা, কানায় কানায় পূর্ণ উদ্যান”

সমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশ থেকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। শনিবার সকাল ৯টার দিকে সরজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দলটির নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা যায়। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যেতে দেখা যায় তাদের। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে উদ্যান। দলটির নেতাকর্মীদের ভিড় রয়েছে মেট্রোরেলেও।

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ করছে জামায়াত। এর আগে জামায়াত কখনো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলীয়ভাবে সমাবেশ করেনি। সোহরাওয়ার্দীর এই সমাবেশে স্মরণীয় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাইছে দলটি। দলটি মনে করছে, এটিই সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে।

হাতে ব্যানার, ফেস্টুন, দলীয় পতাকা নিয়ে আসছেন তারা। মিছিলে ‘সমাবেশ সফল’ হোক বলে স্লোগান দিচ্ছেন।

এর আগে সরা দেশ থেকে লঞ্চ, ট্রেন ও বাসে করে রাজধানীতে আসেন নেতাকর্মীরা। গতকাল রাত থেকেই সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন তারা।

এদিকে আগারগাঁও, ষাটফিট রোড, শেওড়াপাড়া ও শিশুমেলাসহ আশপাশ এলাকায় রাস্তার দু ধারে ঢাকার বাইরে থেকে আসা যানবাহন পার্ক করে রাখতে দেখা গেছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বিতর্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির দিকেই এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার”

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মহলে নানা উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির দিকেই এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর সেটি এমন সময় হচ্ছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন আগের তুলনায় বাণিজ্যে কঠোর শুল্কনীতি অনুসরণ করছে, বিশেষত এশীয় দেশগুলোর ওপর। দরকষাকষির ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম তুলনামূলক কম শুল্ক সুবিধা পেতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানিপণ্য পড়ছে ৩৫ শতাংশ শুল্কের মুখে। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, বাণিজ্য চুক্তিটি দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ এবং ভবিষ্যৎ রফতানি প্রবৃদ্ধির জন্য এক কৌশলগত পদক্ষেপ।

রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ এগ্রিমেন্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় দফা আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্টের কারণে চুক্তির শর্তগুলোর বিষয়ে যদিও কেউ উন্মুক্তভাবে কোনো কথা বলছেন না। তবে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, চুক্তিতে শুল্কের বিষয় ছাড়াও অনেক উপকরণ রয়েছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেগুলো নিয়ে তর্ক-বিতর্কের সুযোগ রয়েছে।

চুক্তির বিষয়বস্তু সম্পূর্ণভাবে আলোচনা না করলেও খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একান্ত আলোচনায় সরকার জানিয়েছে, যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে তার ৮০-৮৫ শতাংশের বিষয়ে সম্মত হয়েছে তারা। বাকি ১৫-২০ শতাংশ নিয়ে আলোচনা চলছে। সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, অমীমাংসিত বিষয় সবগুলো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছা যাবে কিনা এখনো নিশ্চিত না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করবে বাংলাদেশ।

বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ এগ্রিমেন্টে আসতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ খুব আকর্ষণীয় কোনো দেশ না। তারা দেখছেন, বাণিজ্য ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব বড় না হলেও তা কমিয়ে আনতে বাংলাদেশের সামগ্রিক ক্রয় সক্ষমতায় ঘাটতি রয়েছে।

রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে ধীরে চলছে জেলা কমিটি

০৩:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে ধীরে চলছে জেলা কমিটি”

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার কার্যক্রমে ধীরে চলছিল জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বাধীন কমিটি। অনেক জেলায় সাড়ে ৯ মাস ধরে মামলার যাচাই-বাছাই চলছিল। এ অবস্থায় নতুন নিয়োগ পাওয়া জেলা ও মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরদের (পিপি) সরাসরি মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখন পিপির মাধ্যমে আবেদন পেয়ে মামলা প্রত্যাহারের সরকারি আদেশ (জিও) জারি করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে জেলা কমিটির অজান্তে অনেক মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে।

আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ডিসি ও পিপিরা গত সাড়ে ৯ মাসে ১৬ হাজার ৯৪০টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন পাঠিয়েছিলেন। পরে আইন মন্ত্রণালয় ২১টি সভা করে ১৫ হাজার ৬০০টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করে। এর মধ্যে ডিসিদের পাঠানো মামলার সংখ্যা প্রায় এক হাজার। বাকি ১৪ হাজার ৬০০টি মামলা পিপি ও রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করা হয়। এসব মামলার মধ্যে ১৭তম সভা পর্যন্ত জিও জারি করা হয়েছে ১১ হাজার ১৫৫টির।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে গত ২২ সেপ্টেম্বর দুটি কমিটি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এর একটি জেলা পর্যায়ের, অন্যটি মন্ত্রণালয়ের কমিটি। জেলা কমিটির সভাপতি ডিসি বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সদস্য পুলিশ সুপার (মহানগরের জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটর। হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য জেলা কমিটির সভাপতির কাছে আবেদনের শেষ সময় ছিল গত ৩১ ডিসেম্বর।

জেলা কমিটির কাছ থেকে সুপারিশপ্রাপ্তির পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত ও মামলা প্রত্যাহার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল মন্ত্রণালয়ের কমিটির। সেই কমিটির সভাপতি আইন উপদেষ্টা। তবে আবেদনের শেষ সময় পর্যন্ত জেলা কমিটি থেকে মামলা প্রত্যাহারের কোনো তালিকা পায়নি মন্ত্রণালয়। সময় শেষ হওয়ার পর কয়েকজন জেলা প্রশাসক তালিকা পাঠাতে শুরু করেন। এ পরিস্থিতিতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়ানো হয়। হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য এখন প্রতি সপ্তাহে আইন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসছেন।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “এনসিপির নিবন্ধন: ২০০ ভোটারের শর্ত পূরণ হয়নি ২৫ উপজেলায়”

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করা নতুন ১৪৪টি দলের সবগুলোই প্রাথমিক বাছাইয়ে ফেল করেছে। নিবন্ধন পাওয়ার জন্য যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, কোনো দলই তার শতভাগ পূরণ করতে পারেনি। গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) রয়েছে এই তালিকায়। দলটি ২৫ উপজেলায় ২০০ জন ভোটারের স্বাক্ষর নিতে পারেনি। আবেদনেও রয়েছে কিছু ত্রুটি। এসব ত্রুটি সারিয়ে তুলতে দলটিকে ১৫ দিন সময় দিয়েছে কমিশন।

নতুন দলের নিবন্ধন আবেদনের বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নিবন্ধন দেওয়ার জন্য আইন অনুযায়ী যেসব শর্ত পূরণের তথ্য দিতে হয়, সব দলেরই সেই তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। ওই সব ঘাটতি পূরণে সব দলকেই ১৫ দিন সময় দিয়ে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।

এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামকে দেওয়া ইসির এক চিঠিতে নিবন্ধন আবেদনে বেশ কিছু ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ত্রুটিগুলোর মধ্যে আছে—ঠিকানাসহ দলের সব কার্যকর জেলা দপ্তরের তালিকা দেওয়া হয়নি; ঢাকা ও সিলেট জেলা দপ্তরের ভাড়া চুক্তিপত্রে দলের নাম উল্লেখ নেই; ঠিকানাসহ সব উপজেলা, থানা দপ্তরের তালিকা দেওয়া হয়নি; ২৫টি উপজেলা/থানায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটার (ন্যূনতম ২০০ জন) সদস্যের অন্তর্ভুক্তি পাওয়া যায়নি; ইটনা উপজেলার ভাড়ার চুক্তিপত্রে দলের নাম উল্লেখ নেই; হালুয়াঘাট উপজেলার ভাড়া চুক্তিপত্রে দলের নাম ও অফিসের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি; আবেদন ফরম-১-এর ফিল্ড নম্বর-৯-এ তহবিলের পরিমাণ উল্লেখ নেই, আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত তহবিলের উৎসের বিবরণীতেও তহবিলের পরিমাণ উল্লেখ নেই; নিবন্ধনের বিষয়ে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তের অনুলিপির শেষ পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর নেই।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সারা দেশ থেকে জড়ো হচ্ছেন নেতা-কর্মীরা, কানায় কানায় পূর্ণ উদ্যান”

সমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশ থেকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। শনিবার সকাল ৯টার দিকে সরজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দলটির নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা যায়। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যেতে দেখা যায় তাদের। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে উদ্যান। দলটির নেতাকর্মীদের ভিড় রয়েছে মেট্রোরেলেও।

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ করছে জামায়াত। এর আগে জামায়াত কখনো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলীয়ভাবে সমাবেশ করেনি। সোহরাওয়ার্দীর এই সমাবেশে স্মরণীয় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাইছে দলটি। দলটি মনে করছে, এটিই সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে।

হাতে ব্যানার, ফেস্টুন, দলীয় পতাকা নিয়ে আসছেন তারা। মিছিলে ‘সমাবেশ সফল’ হোক বলে স্লোগান দিচ্ছেন।

এর আগে সরা দেশ থেকে লঞ্চ, ট্রেন ও বাসে করে রাজধানীতে আসেন নেতাকর্মীরা। গতকাল রাত থেকেই সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন তারা।

এদিকে আগারগাঁও, ষাটফিট রোড, শেওড়াপাড়া ও শিশুমেলাসহ আশপাশ এলাকায় রাস্তার দু ধারে ঢাকার বাইরে থেকে আসা যানবাহন পার্ক করে রাখতে দেখা গেছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বিতর্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির দিকেই এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার”

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মহলে নানা উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির দিকেই এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর সেটি এমন সময় হচ্ছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন আগের তুলনায় বাণিজ্যে কঠোর শুল্কনীতি অনুসরণ করছে, বিশেষত এশীয় দেশগুলোর ওপর। দরকষাকষির ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম তুলনামূলক কম শুল্ক সুবিধা পেতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানিপণ্য পড়ছে ৩৫ শতাংশ শুল্কের মুখে। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, বাণিজ্য চুক্তিটি দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ এবং ভবিষ্যৎ রফতানি প্রবৃদ্ধির জন্য এক কৌশলগত পদক্ষেপ।

রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ এগ্রিমেন্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় দফা আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্টের কারণে চুক্তির শর্তগুলোর বিষয়ে যদিও কেউ উন্মুক্তভাবে কোনো কথা বলছেন না। তবে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, চুক্তিতে শুল্কের বিষয় ছাড়াও অনেক উপকরণ রয়েছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেগুলো নিয়ে তর্ক-বিতর্কের সুযোগ রয়েছে।

চুক্তির বিষয়বস্তু সম্পূর্ণভাবে আলোচনা না করলেও খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একান্ত আলোচনায় সরকার জানিয়েছে, যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে তার ৮০-৮৫ শতাংশের বিষয়ে সম্মত হয়েছে তারা। বাকি ১৫-২০ শতাংশ নিয়ে আলোচনা চলছে। সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, অমীমাংসিত বিষয় সবগুলো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছা যাবে কিনা এখনো নিশ্চিত না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করবে বাংলাদেশ।

বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ এগ্রিমেন্টে আসতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ খুব আকর্ষণীয় কোনো দেশ না। তারা দেখছেন, বাণিজ্য ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব বড় না হলেও তা কমিয়ে আনতে বাংলাদেশের সামগ্রিক ক্রয় সক্ষমতায় ঘাটতি রয়েছে।