কোভিড শনাক্তে বাংলাদেশকে দুই বারে ১৫ হাজার ৫০০’র অধিক কিট দিয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস। মঙ্গলবার সকালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে এ উপকরণ হস্তান্তর করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিডিসির লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা: মো. হালিমুর রশীদের কাছে এ কিট তুলে দেন চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর মি.লি শাওফেং। এ সময় দু’ দেশের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে লি শাও ফেং বলেন, চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক হাজার বছরের।
দুই দেশের বন্ধুত্বের ধারাবাহিকতায় জরুরিভাবে চীনা দূতাবাস ১৫ হাজার ৫০০ কোভিড ১৯ শনাক্তে কিট দিয়েছে। এই জরুরি সহায়তা চীনা জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি জনগণের প্রতি গভীর সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ এবং মহামারির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ে চীনের অকুণ্ঠ সমর্থনের প্রতীক। তিনি আরও বলেন, আমাদের হাজার বছরের পুরনো বন্ধুত্ব আজও অটুট এবং তা বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলা ও আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তি রক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের মহামারী সময়ে সব সময় পাশে আছে চীন বলেও জানান তিনি ।
অনুষ্ঠানে চীনা দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে হালিমুর রশীদ বলেন, চীনা দুতাবাস আমাদের অনুরোধে দ্রুত সাড়া দিয়েছেন, অতীতেও দিয়েছেন, ভবিষতেও দিবেন। আমাদের এ-ই বন্ধুত্ব বছর বছর আরও বাড়বে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, গেল মে মাস থেকেই বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের হার বাড়ছিল। কিন্তু আমাদের কাছে কোভিড টেস্ট করার মতো পর্যাপ্ত কিট ছিল না। সরকারিভাবে কেনাটাও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল। তাই তাৎক্ষণিকভাবে চীনা দূতাবাসকে অনুরোধ করি আমাদের ইমারজেন্সি পিরিয়ডটা কভার করার জন্য। উনারা সাথে সাথেই রেসপন্স করেছেন।
তারা আমাদের কয়েকদিন আগে ৭ হাজার ৭০০ এবং আজকে ৭ হাজার ৭০০ কিট দিয়েছেন। পাশাপাশি সামনে আরও বেশি পরিমাণে টেস্ট কিট উনারা দিবেন। কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তা চুইয়ং এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।