চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই দেশের করপোরেট খাতে বড় ধস দেখা গেছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রায় অর্ধেক লোকসানে বা মুনাফা কমে যাওয়ার চাপের মধ্যে পড়েছে—চাহিদা হ্রাস, ব্যয় বৃদ্ধি ও উচ্চ সুদের চাপেই এই সংকট তৈরি হয়েছে।
প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক বিবরণীতে দেখা গেছে—১১০টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে ৫৪টির শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে, ৫১টির বেড়েছে এবং ৫টি অপরিবর্তিত রয়েছে। ৩১টি কোম্পানি এখনো লোকসানে চলছে। বিশ্লেষকদের মতে, ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া, কাঁচামাল ও পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি, উচ্চ সুদের চাপ এবং ডলার–ভাড়া–কর বৃদ্ধি মিলেই মুনাফা সংকোচন ঘটেছে।
লোকসানি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৩টির ক্ষতি আরও বেড়েছে। এসকোয়ার নিট, প্রবৃদ্ধি ও মেঘনা সিমেন্ট সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে। মেঘনা সিমেন্টের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ২১ টাকা ১৯ পয়সা—যা তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বড় লোকসান।
লোকসান কিছুটা কমেছে এমন ৭টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে সাফকো স্পিনিং, জিকিউ বলপেন, অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ ও ডেলটা স্পিনার্স। তবে তারা এখনো মুনাফায় ফিরতে পারেনি।
অন্যদিকে ৫১টি কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে। এভিন্স টেক্সটাইল, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, খুলনা পাওয়ার, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ও রহিম টেক্সটাইল প্রবৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে। মুনাফা কমেছে এমন ৫৪ কোম্পানির মধ্যে বিডি থাই ফুড, ন্যাশনাল টিউবস ও মেঘনা সিমেন্টের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, কোম্পানিগুলোকে খরচ নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে। মুদ্রাবাজার ও সুদের হার স্থিতিশীল না হলে আগামী প্রান্তিকেও একই চাপ চলতে পারে।
#করপোরেট_লোকসান #প্রথম_প্রান্তিক #পুঁজিবাজার #ব্যবসার_চাপ #মুনাফা_বিশ্লেষণ #সারাক্ষণ_রিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















