রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা সংকটে বৈশ্বিক ক্রেতারা একের পর এক কারখানা ভিজিট বাতিল করছেন। তাদের আস্থা কমে যাওয়ায় আগামী গ্রীষ্ম ও বসন্ত মৌসুমের অর্ডার ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দ্রুত বাড়ছে।
ক্রেতাদের আস্থা সংকটে পোশাক খাত
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে ঘিরে বিদেশি ক্রেতাদের উদ্বেগ বাড়ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা ও নীতিগত বিভ্রান্তির কারণে নির্ধারিত কারখানা সফর ব্যাহত হচ্ছে—যা সরাসরি অর্ডার চূড়ান্তকরণকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

কারখানা ভিজিট বাতিল—অর্ডার সরিয়ে নেওয়ার শঙ্কা
পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের নেতারা জানান, বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিনিধি এখন আর কারখানায় যেতে নিরাপদ বোধ করছেন না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতারা ভিজিট বাতিল করে হোটেল-কেন্দ্রিক বৈঠকে সীমাবদ্ধ থাকছেন। এতে প্রতিযোগী দেশে অর্ডার স্থানান্তরের ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
গুরুত্বপূর্ণ দুই মৌসুম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
নভেম্বর–ডিসেম্বর সময়টি গ্রীষ্মকালীন অর্ডার চূড়ান্ত ও বসন্ত মৌসুমের সোর্সিংয়ের জন্য সিদ্ধান্তমূলক। এই সময়ে ভিজিট বাতিল হওয়ায় আগামী দুই মৌসুমের রপ্তানিতে বড় ধাক্কা লাগার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

খাতের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে আরও কয়েকটি সংকট
শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলেন,
• এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতির ঘাটতি
• শ্রম পরিবেশ নিয়ে বিতর্ক
• ২৫৮টির বেশি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া
এসব কারণে সামগ্রিক চাপ গার্মেন্টস খাতে দ্রুত বাড়ছে।
স্থিতিশীল পরিবেশ ছাড়া পুনরুদ্ধার কঠিন
নেতাদের মতে, নীতিগত সহায়তা, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত না হলে ক্রেতাদের আস্থা ফিরবে না। ফলে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও আরও নেমে যেতে পারে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















