কাম্বোডিয়ার আগ্রাসনে সীমান্ত সংঘাত পুরোদমে যুদ্ধের রূপ নিচ্ছে
দ্য গার্ডিয়ান / রয়টার্স / এপি,
থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ ২৫ জুলাই চরমে পৌঁছেছে, যা গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাতে পরিণত হয়েছে। কাম্বোডিয়ান বাহিনী অন্তত ১২টি সীমান্তস্থলে ভারী গোলাবর্ষণ ও BM-21 রকেট হামলা চালিয়েছে। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই শিশু ও বেসামরিক নাগরিক। আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে। সুরিন, সি সা কেট এবং উবন রাতচাথানি প্রদেশ থেকে ১,২০,০০০ জনেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, কাম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ ওডার মিনচেই প্রদেশে একজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে এবং ৪,০০০ জনের বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই সংঘাত দীর্ঘদিনের বিতর্কিত এলাকা তা মুয়েন থম এবং প্রেহা ভিহেয়ার মন্দির কেন্দ্র করে ঘটেছে।
কাম্বোডিয়া দাবি করেছে, থাইল্যান্ড তাদের প্রতিশোধমূলক বিমান হামলায় ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে। থাইল্যান্ড এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সংঘর্ষ শুরু হয়েছে কাম্বোডিয়ার বিনা উস্কানিতে বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণের মাধ্যমে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এক জরুরি বৈঠকে বসেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আসিয়ানের বর্তমান চেয়ার মালয়েশিয়া উভয় দেশকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। তবে থাইল্যান্ড তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে, কেবল দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সংকটের সমাধান সম্ভব।
জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতের রায়: জীবাশ্ম জ্বালানির নির্গমন নিয়ন্ত্রণে বাধ্য রাষ্ট্রসমূহ
ইকো-বিজনেস,
২৫ জুলাই, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এক যুগান্তকারী রায়ে ঘোষণা করেছে যে, সমস্ত দেশ আইনগতভাবে বাধ্য জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন থেকে নির্গমন নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসে।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, যারা এই পরিবেশগত দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হবে, তারা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্ষতির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে দায়ী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
এই রায়ের ফলে জলবায়ু ন্যায়বিচার বিষয়ক মামলা বিশ্বজুড়ে বাড়তে পারে এবং যেসব দেশ অন্যদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা ক্ষতিপূরণের দাবি জানাতে পারে। পরিবেশবাদীরা এই সিদ্ধান্তকে বৈশ্বিক জলবায়ু ন্যায়বিচারে এক বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন।
ইইউ–চীন শীর্ষ সম্মেলনের পর যৌথ জলবায়ু উদ্যোগের ঘোষণা
ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রেস রিলিজ,
২৪ জুলাই বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ২৫তম ইইউ–চীন শীর্ষ সম্মেলনে উভয় পক্ষ জলবায়ু সহযোগিতা বৃদ্ধির অঙ্গীকার করেছে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইয়েন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠকে অংশ নেন।
সম্মেলনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি রপ্তানি এবং কম-কার্বন অবকাঠামো প্রকল্পে যৌথ বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
উভয় পক্ষ প্যারিস চুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে এবং বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানায়। এই যৌথ ঘোষণার আওতায় জলবায়ু অর্থায়ন ও পরিবেশবান্ধব পণ্যের বাণিজ্য জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংস্কারে ইতিবাচক অগ্রগতি: আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF),
শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক আইএমএফ মিশনের পর সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশটির অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে শ্রীলঙ্কার প্রকৃত জিডিপি ৪.৮% হারে বেড়েছে এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়ে -১.১%-এ নেমে এসেছে, যা দৃঢ় ডিফ্লেশনারি নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত দেয়।
২০২৫ সালের জুন মাসে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬.০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। রাজস্ব সংগ্রহে ভ্যাট ও গাড়ি কর পুনর্গঠন, ভর্তুকি সংস্কারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে আর্থিক স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে।
আইএমএফ বলেছে, এই সংস্কারগুলো শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে আরও কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে।