০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন চিপ শুল্ক নীতি ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় মস্কোয় শিল্প স্থাপনায় আগুন ইন্দোনেশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক সমঝোতা চূড়ান্তের পথে, জানুয়ারিতে স্বাক্ষরের সম্ভাবনা শিকাগোতে সেনা মোতায়েন আটকাল সুপ্রিম কোর্ট, ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতা প্রশ্নের মুখে কুয়েত-চীনের চারশ কোটি ডলারের চুক্তিতে বদলে যাচ্ছে বন্দর ভবিষ্যৎ, জোরালো হবে বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান বোমা আর বাস্তুচ্যুতির মাঝখানে গাজা, ফের ঘরছাড়া হওয়ার আতঙ্কে অবরুদ্ধ মানুষ উত্তর সীমান্তে আকাশজুড়ে আলোর স্তম্ভ বিস্ময়ে মুগ্ধ বাসিন্দারা, বিরল শীতের ইঙ্গিত বিশ্ব কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রিয়াদ: সংঘাত নিরসনে সৌদি আরবের সংজ্ঞায়িত বছর ইয়েমেনে বন্দিবিনিময়ে বড় অগ্রগতি, দুই হাজার নয়শ’ জনের মুক্তিতে সমঝোতা অর্থনীতি টিকে থাকলেও জীবনের চাপে ক্লান্ত আমেরিকা, দুশ্চিন্তায় নতুন বছর

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-৪২)

অচল সিকি

‘এই যে আমার কোনো বাচ্চাকাচ্চা হচ্ছে না, ভেতরে ভেতরে তুমি নিশ্চয়ই-

বাধা দিয়ে এনামুল বললে, ‘ব্যস্ ব্যস্ ব্যস্’

‘আমাকে তুমি আবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেও!’

‘কী আশ্চর্য! থামবে, না গুঁতো খাবে আমার?’

‘ঠাট্টা নয়, দেখতে দেখতে বছর ঘুরতে চললো, আমার কিন্তু ভারি ভয় করছে-‘

‘তুমি একটা যা-তা, ওসব কথা পরে হবে, আমি কি ভাবছি জানো?’

‘একবার যখন ঘুরে গেলে তখন এক-আধটা কবিতা না লিখে তুমি ছাড়বে না, এ আমি জানি। আমার মাথাতেও কিন্তু একটা আইডিয়া এসেছে। ভাবছি স্কুলের ম্যাগাজিনে শালবন বিহারের ওপর একটা আর্টিকেল লিখলে মন্দ হয় না’

এনামুল বললে, ‘আমাকে দিয়ে কারেকশান করিয়ে নিও, যে বিদ্যের জাহাজ!’

‘তবু তো তোমার মতো লোক ঠকানো কবিতা লিখি না?’

‘একবার চেষ্টা করেই দ্যাখো না লক্ষ্মীটি!’

‘কাজ নেই বাবা ঐসব পণ্ডশ্রমে। আমরা বোধহয় এসে গেছি। ওটা স্টেশনের সিগন্যাল না?’

এনামুল বললে, ‘তাইতো মনে হচ্ছে!’

‘যাক বাঁচা গেল। কষ্টটা মনে থাকবে অনেকদিন।’

এনামুল বললে, ‘পরে এই কষ্টটাই আনন্দ দেবে-‘

হঠাৎ জেবুন্নেসা আনন্দে চমকে উঠলো। ওর গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বললে, ‘খুব তো ভয় দেখিয়েছিলে যে ঐ আনিঘষা সিকিটা চালাতে পারবো না, বুড়ো কিন্তু টেরই পায় নি!’

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন চিপ শুল্ক নীতি

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-৪২)

১২:০০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

অচল সিকি

‘এই যে আমার কোনো বাচ্চাকাচ্চা হচ্ছে না, ভেতরে ভেতরে তুমি নিশ্চয়ই-

বাধা দিয়ে এনামুল বললে, ‘ব্যস্ ব্যস্ ব্যস্’

‘আমাকে তুমি আবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেও!’

‘কী আশ্চর্য! থামবে, না গুঁতো খাবে আমার?’

‘ঠাট্টা নয়, দেখতে দেখতে বছর ঘুরতে চললো, আমার কিন্তু ভারি ভয় করছে-‘

‘তুমি একটা যা-তা, ওসব কথা পরে হবে, আমি কি ভাবছি জানো?’

‘একবার যখন ঘুরে গেলে তখন এক-আধটা কবিতা না লিখে তুমি ছাড়বে না, এ আমি জানি। আমার মাথাতেও কিন্তু একটা আইডিয়া এসেছে। ভাবছি স্কুলের ম্যাগাজিনে শালবন বিহারের ওপর একটা আর্টিকেল লিখলে মন্দ হয় না’

এনামুল বললে, ‘আমাকে দিয়ে কারেকশান করিয়ে নিও, যে বিদ্যের জাহাজ!’

‘তবু তো তোমার মতো লোক ঠকানো কবিতা লিখি না?’

‘একবার চেষ্টা করেই দ্যাখো না লক্ষ্মীটি!’

‘কাজ নেই বাবা ঐসব পণ্ডশ্রমে। আমরা বোধহয় এসে গেছি। ওটা স্টেশনের সিগন্যাল না?’

এনামুল বললে, ‘তাইতো মনে হচ্ছে!’

‘যাক বাঁচা গেল। কষ্টটা মনে থাকবে অনেকদিন।’

এনামুল বললে, ‘পরে এই কষ্টটাই আনন্দ দেবে-‘

হঠাৎ জেবুন্নেসা আনন্দে চমকে উঠলো। ওর গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বললে, ‘খুব তো ভয় দেখিয়েছিলে যে ঐ আনিঘষা সিকিটা চালাতে পারবো না, বুড়ো কিন্তু টেরই পায় নি!’