ইসরায়েলি হামলা আবারও তীব্র হওয়ায় গাজার দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে বাস্তুচ্যুত হওয়ার ভয় ছড়িয়ে পড়েছে। খান ইউনুস ও আশপাশের এলাকায় থাকা বাসিন্দারা বলছেন, যুদ্ধবিরতি কার্যত ভঙ্গ হয়ে যাওয়ায় তারা এখন বোমাবর্ষণ আর গৃহহীনতার মাঝখানে আটকে পড়েছেন।
যুদ্ধবিরতির ভেতরেই ফের হামলার অভিযোগ
খান ইউনুস শহরের কাছে বানি সুহেইলা ও খুজা এলাকার মানুষ জানাচ্ছেন, সাম্প্রতিক ড্রোন ও গোলাবর্ষণে যুদ্ধবিরতিতে যে সামান্য স্বস্তি মিলেছিল, তা ভেঙে পড়েছে। তথাকথিত হলুদ রেখার পূর্বের পাড়া-মহল্লাগুলোতে হামলা বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ইসরায়েলি বাহিনী অবশ্য বলছে, তাদের অবস্থান যুদ্ধবিরতির কাঠামোর মধ্যেই এবং হামাস যোদ্ধারা রেখা অতিক্রম করায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
ঘর নেই, যাওয়ার জায়গাও নেই
চল্লিশ বছর বয়সী উম্মে আহমেদের ঘর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের পাশে তাঁবু টানিয়ে সন্তানদের নিয়ে থাকছেন তিনি। বিস্ফোরণের শব্দে শিশুদের কাঁপতে কাঁপতে প্রশ্ন, কোথায় যাবে তারা। আল-মাওয়াসি এলাকায় যাওয়ার কথা ভাবলেও সেখানে জায়গা নেই, খাবার আর পানিরও তীব্র সংকট।
হলুদ রেখা নিয়ে উদ্বেগ
ইসরায়েলি সামরিক নেতৃত্ব হলুদ রেখাকে নতুন প্রতিরক্ষা সীমা হিসেবে দেখালেও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, এই রেখা স্থায়ীভাবে মানুষ উচ্ছেদের হাতিয়ার। খান ইউনুসের মেয়র আলা আল-বাত্তা বলছেন, মানুষকে ভয় দেখিয়ে পশ্চিমে ঠেলে দেওয়াই হামলার উদ্দেশ্য।

দুই বছরের যুদ্ধ, শেষ নেই দুর্ভোগের
হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধে গাজায় প্রাণ গেছে সত্তর হাজারের বেশি মানুষের। দুই মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দা একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অনেকেই এখনও তাঁবু কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ছাড়তে নারাজ বৃদ্ধরা
সত্তর বছর বয়সী আবদেল হামিদ এখনও খান ইউনুসের উত্তরে নিজের ভিটা ছাড়তে রাজি নন। তাঁর কথায়, এই জমি ছেড়ে যাওয়া সমাধান নয়, বরং আরেকটি ট্র্যাজেডি।

পশ্চিম তীরেও উত্তেজনা
এদিকে পশ্চিম তীরে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে গুলি করে কিশোরটিকে হত্যা করতে দেখা যায়।
![]()

সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















