আদ্দিস আবাবায় জাতিসংঘের ফুড সিস্টেম সামিট স্টকটেক চলাকালে রাজধানীর উপকণ্ঠে একটি যুব-নেতৃত্বাধীন মুরগির খামার প্রকল্প স্থানীয়ভাবে খাদ্যদ্রব্যের দাম কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। ২০২৪ সালের জুনে শুরু হওয়া এই উদ্যোগটি ইথিওপিয়ার ফিউরি এলাকায় বেকার তরুণদের সংগঠিত করে ছোট পরিসরে খামার গড়ে তুলেছে, যেখানে ডিম ও মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রচলিত বাজার দরের চেয়ে অনেক কম দামে।
সাশ্রয়ী খাদ্য, স্থানীয় প্রভাব
২০টিরও বেশি যুব সংগঠন এই প্রকল্পে অংশ নিয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তারা মুরগি পালন করছে এবং আশপাশের এলাকায় স্বল্পমূল্যে ডিম ও মুরগি সরবরাহ করছে। যেখানে আগে একটি মুরগি বিক্রি হতো ৪,৪২২.৬০ টাকা (প্রায় ৩৬ ডলার), এখন সেটিই বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২,২১১.৩০ টাকায় (প্রায় ১৮ ডলার), আকারভেদে দামের পার্থক্য হচ্ছে। বিশেষ করে উৎসবকালীন প্রদর্শনী ও মেলায় এই সাশ্রয়ী মূল্য আরও সহজলভ্য হয়। স্থানীয় চাকরি সৃষ্টির কর্মকর্তা সানবাত লুমি জানান, “আমরা বেকার তরুণদের সংগঠিত করে ব্যাপক হারে ডিম ও মুরগির উৎপাদন করতে পেরেছি। এই এলাকার সাধারণ জনগণ বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন এবং পাশাপাশি তরুণদের আয়ের একটি টেকসই উৎস তৈরি হয়েছে।”
জাতিসংঘের লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করছে স্থানীয় উদ্যোগ
যদিও এই ‘শেগা’ খামারগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সামিটের অংশ নয়, তবুও এটি সেই ধরণের তৃণমূল উদ্ভাবনেরই উদাহরণ যা সামিট তুলে ধরতে চায়। প্রকল্পটি যেমন একদিকে ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী খাদ্য সরবরাহ করছে, তেমনি অন্যদিকে তরুণদের জন্য একটি অর্থনৈতিক টিকে থাকার পথ তৈরি করছে। ইথিওপিয়ায় যখন খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েই চলেছে, তখন এই মডেলটি একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে—যা ভবিষ্যতে অন্যান্য অঞ্চলেও অনুসরণযোগ্য উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে।