১২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫

কুয়েতি দম্পতির হাতে গৃহকর্মী নিহত: মৃত্যুদণ্ডের রায়

আদালতের রায়

কুয়েতের একটি ফৌজদারি আদালত বিচারক আব্দুলওয়াহাব আল‑মুয়ালির নেতৃত্বে স্বামী‑স্ত্রীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। অভিযোগ প্রমাণে দেখা গেছে, তারা গৃহকর্মীকে অবৈধভাবে আটকে রেখে লাঠি দিয়ে বারবার মারধর ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত রাখার মতো নির্মম নির্যাতন চালায়, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ডেকে আনে।

কীভাবে ঘটেছিল

আদালতের নথি অনুযায়ী, অজ্ঞাতজাতির ওই গৃহকর্মীকে বাড়ির ভেতরে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি সত্ত্বেও তাকে চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি। বরং তাকে কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। অব্যাহত প্রহারের পর গুরুতর আঘাতে তার মৃত্যু হয়।

অভিযোগ ও সর্বোচ্চ শাস্তি

প্রথমে হত্যার সন্দেহে দম্পতিকে ২১ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। পরে ‘পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক মারধর করে হত্যা’ অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ, যা আদালত মঞ্জুর করে। কুয়েতি আইনে এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড।

পটভূমি: অভিবাসী গৃহকর্মীদের সংকট

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সালমিয়ায় এক ফিলিপিনা গৃহকর্মীকে ধর্ষণ, হত্যা ও আগুনে পুড়িয়ে লাশ গোপন করার নৃশংস ঘটনার পর থেকে কুয়েতে অভিবাসী গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। ওই ঘটনায় কুয়েতি কিশোর অভিযুক্ত হয় এবং ফিলিপাইন সাময়িকভাবে গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করে দেয়। বর্তমান মামলাটি সেই উদ্বেগকে আবার শীর্ষে তুলেছে।

কেন গুরুত্বপূর্ণ

  • একের পর এক মর্মান্তিক ঘটনা কুয়েতে গৃহকর্মীদের মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
  • মৃত্যুদণ্ডের এই রায় অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কুয়েতি বিচারব্যবস্থার কঠোর অবস্থান তুলে ধরে।
  • শ্রমবাজারে ফিলিপিনোসহ বিভিন্ন দেশের গৃহকর্মী পাঠানোর নীতি পুনর্বিবেচনার চাপ বাড়তে পারে।

পরিকল্পিত নির্যাতন ও চিকিৎসাবঞ্চনার এই মামলার কঠোর রায় কুয়েতে গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা উসকে দিয়েছে। পাশাপাশি অন্য উপসাগরীয় দেশগুলোকেও শ্রমিক সুরক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করতে পারে।

কুয়েতি দম্পতির হাতে গৃহকর্মী নিহত: মৃত্যুদণ্ডের রায়

০২:০০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

আদালতের রায়

কুয়েতের একটি ফৌজদারি আদালত বিচারক আব্দুলওয়াহাব আল‑মুয়ালির নেতৃত্বে স্বামী‑স্ত্রীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। অভিযোগ প্রমাণে দেখা গেছে, তারা গৃহকর্মীকে অবৈধভাবে আটকে রেখে লাঠি দিয়ে বারবার মারধর ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত রাখার মতো নির্মম নির্যাতন চালায়, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ডেকে আনে।

কীভাবে ঘটেছিল

আদালতের নথি অনুযায়ী, অজ্ঞাতজাতির ওই গৃহকর্মীকে বাড়ির ভেতরে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি সত্ত্বেও তাকে চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি। বরং তাকে কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। অব্যাহত প্রহারের পর গুরুতর আঘাতে তার মৃত্যু হয়।

অভিযোগ ও সর্বোচ্চ শাস্তি

প্রথমে হত্যার সন্দেহে দম্পতিকে ২১ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। পরে ‘পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক মারধর করে হত্যা’ অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ, যা আদালত মঞ্জুর করে। কুয়েতি আইনে এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড।

পটভূমি: অভিবাসী গৃহকর্মীদের সংকট

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সালমিয়ায় এক ফিলিপিনা গৃহকর্মীকে ধর্ষণ, হত্যা ও আগুনে পুড়িয়ে লাশ গোপন করার নৃশংস ঘটনার পর থেকে কুয়েতে অভিবাসী গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। ওই ঘটনায় কুয়েতি কিশোর অভিযুক্ত হয় এবং ফিলিপাইন সাময়িকভাবে গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করে দেয়। বর্তমান মামলাটি সেই উদ্বেগকে আবার শীর্ষে তুলেছে।

কেন গুরুত্বপূর্ণ

  • একের পর এক মর্মান্তিক ঘটনা কুয়েতে গৃহকর্মীদের মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
  • মৃত্যুদণ্ডের এই রায় অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কুয়েতি বিচারব্যবস্থার কঠোর অবস্থান তুলে ধরে।
  • শ্রমবাজারে ফিলিপিনোসহ বিভিন্ন দেশের গৃহকর্মী পাঠানোর নীতি পুনর্বিবেচনার চাপ বাড়তে পারে।

পরিকল্পিত নির্যাতন ও চিকিৎসাবঞ্চনার এই মামলার কঠোর রায় কুয়েতে গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা উসকে দিয়েছে। পাশাপাশি অন্য উপসাগরীয় দেশগুলোকেও শ্রমিক সুরক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করতে পারে।