০৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফাঁদে কিশোর প্রেম—চ্যাটবটের সঙ্গে সম্পর্কের পর আত্মহত্যা, সতর্ক করছে বিশেষজ্ঞরা কাম্বোডিয়ার নতুন ২ বিলিয়ন ডলারের বিমানবন্দর—পর্যটন বাড়াতে আধ্যাত্মিকতা, আধুনিকতা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার মিশ্রণ মিডিয়া জগতে বড় রদবদলের সম্ভাবনা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তব আলোচনার প্রতিফলন নয়: সালাহউদ্দিন ফখরুলের অভিযোগ: জনগণ ও রাজনৈতিক দলকে প্রতারণা করেছে সমন্বয় কমিশন, অভিযোগের তীর ইউনূসের দিকেও ট্রাম্পের এশিয়া সফরের শেষ গন্তব্য দক্ষিণ কোরিয়া—চীন ও বাণিজ্য আলোচনায় সমঝোতার ইঙ্গিত শতাব্দীর ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড় ‘মেলিসা’ ধ্বংসস্তূপে জ্যামাইকা, বিপদের মুখে কিউবা আরব আমিরাতের পারফিউমশিল্প— রাতের সুবাসে আরবের ঐতিহ্যের ছোঁয়া মানসিক স্বাস্থ্য ও MAID বিতর্ক: কষ্টের অবসান কি মৃত্যুর অনুমোদন নাকি ভালো জীবনের সহায়তা? হোয়াইট হাউসের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বলরুম ও অতিথি সুইট যুক্ত হচ্ছে ট্রাম্পের ‘নতুন’ ইস্ট উইং

ট্রাম্প এর সমর্থনে দ্রুত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সেনাপ্রধান মুনীর?

রাজনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের জন্য এর চেয়ে অনুকূল সময় সম্ভবত আর ছিল না। প্রায় দুই বছর ধরে দেশে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগে তিনি সমালোচিত ছিলেন। ঋণ সংকট ও বিদ্রোহী সহিংসতায় জর্জরিত পাকিস্তান ভূরাজনীতিতে উপেক্ষিত হয়ে পড়েছিল, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও ধনী দেশগুলো ভারতের দিকে ঝুঁকেছিল। কিন্তু ১৮ জুন তিনি ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিলেন—যা ঘটল পাকিস্তান-ভারতের স্বল্পস্থায়ী সংঘর্ষের এক মাসেরও কম সময় পরে। জুলাইয়ের শেষে ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতি’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প ২৫% শুল্ক আরোপ করলেন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করলেন। ৬ আগস্ট সেই শুল্কহার ৫০% পর্যন্ত বাড়ালেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তন

২০১১ সালে পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার পর যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক অবনতি হয়। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর সম্পর্ক আরও শিথিল হয়। কিন্তু ভারতের বিরক্তির মধ্যেই এখন যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং মধ্যপ্রাচ্য নীতি বিষয়ে পরামর্শের মাধ্যমে সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র আবার পাকিস্তানকে অস্ত্র বিক্রির কথাও ভাবছে (বর্তমানে পাকিস্তানের চার-পঞ্চমাংশ অস্ত্র চীন থেকে আসে)।

অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমীকরণ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা ইমরান খান কারাবন্দি থাকলেও তার প্রতি জনসমর্থন অব্যাহত। তবে সাম্প্রতিক ভারত সংঘর্ষের পর মুনিরের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সেনাবাহিনী-সমর্থিত বর্তমান বেসামরিক সরকার সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে, যা সংবিধান পরিবর্তনের ক্ষমতা দেয়। ফলে গুজব ছড়িয়েছে—মুনির নিজেই প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, যা স্বাধীনতার পর চতুর্থবারের মতো সামরিক শাসনের দ্বার উন্মুক্ত করবে। তবে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এই গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন।

ব্যক্তিগত পটভূমি ও দৃষ্টিভঙ্গি

ইমামের সন্তান মুনির মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন এবং কোরআন হিফজ করেছেন। তিনি প্রথম সেনাপ্রধান যিনি যুক্তরাষ্ট্র বা ব্রিটেনে প্রশিক্ষণ পাননি। তবু সেনা মুখপাত্রের দাবি, তিনি পশ্চিমা জ্ঞান ও সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত এবং পাকিস্তানে জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরোধী। ধর্মীয় ব্যবসায়ীদের তিনি অপছন্দ করেন। তবে ভারত নিয়ে তার বক্তব্য কড়া—কাশ্মীরকে ভারতের ‘জীবনীশক্তির শিরা’ আখ্যা দিয়েছেন এবং হিন্দু-মুসলিম সহাবস্থানকে অস্বীকার করেছেন। পাকিস্তান কাশ্মীর হামলার দায় অস্বীকার করলেও এই বক্তব্য তার অবস্থান স্পষ্ট করে।

প্রার্থনা ও বাস্তববাদ

মুনির ব্যক্তিগতভাবে ধার্মিক হলেও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে ধর্মীয় প্রভাব কম রাখেন। তিনি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আধুনিকায়ন পরিকল্পনার প্রশংসক। ইমরান খানের প্রতি তার ক্ষোভ প্রবল, কারণ খান তাকে গোয়েন্দা প্রধানের পদ থেকে সরিয়েছিলেন। ভারতের প্রতি নরম কূটনীতির বদলে তিনি ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত—ভারতের বিমান হামলার জবাবে প্রতিশোধের সিদ্ধান্তও তারই।

ক্ষমতার ভবিষ্যৎ রূপরেখা

কেউ কেউ মনে করেন, জনপ্রিয়তা ও ট্রাম্পের সমর্থন কাজে লাগিয়ে মুনির শিগগিরই প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। এতে তার ক্ষমতা প্রাতিষ্ঠানিক হবে এবং ভবিষ্যতে কম অনুগত সরকার আসলেও তার অবস্থান সুরক্ষিত থাকবে। সমালোচকেরা তাকে প্রথম সামরিক শাসক আইয়ুব খানের সঙ্গে তুলনা করছেন। তবে বর্তমান ‘হাইব্রিড’ শাসনব্যবস্থা হয়তো তার জন্য বেশি লাভজনক—কারণ এতে তিনি সেনাপ্রধান হিসেবে অনির্দিষ্টকাল থাকতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন

মুনির ইসলামিক স্টেট-সংক্রান্ত সন্ত্রাসীদের হত্যা ও গ্রেপ্তারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা পেয়েছেন। ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানের ক্রিপ্টো ও মাইনিং খাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনা কমিয়েছে, সহায়তা কর্মসূচি পুনরায় শুরু করেছে এবং সাঁজোয়া যান ও নাইট ভিশন ডিভাইস বিক্রির বিষয় বিবেচনা করছে।

কূটনৈতিক ভারসাম্য ও ঝুঁকি

মুনির যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বহুমুখী ও টেকসই সম্পর্ক গড়তে চান, তবে পাকিস্তানের দুর্বল বিনিয়োগ পরিবেশ, পারস্পরিক অবিশ্বাস ও চীনের প্রতিক্রিয়া বড় চ্যালেঞ্জ। ভারত নিয়ে উত্তেজনাও প্রবল—মুনির চান আলোচনার টেবিলে বসাতে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি তা প্রত্যাখ্যান করছেন এবং নতুন হামলায় আরও কঠোর সামরিক জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তান সেনাপ্রধানের মুখপাত্র সতর্ক করে বলেছেন—প্রয়োজনে ভারত ভূখণ্ডের গভীরে আঘাত করা হবে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সংঘর্ষের ঝুঁকি আগের চেয়ে বেড়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফাঁদে কিশোর প্রেম—চ্যাটবটের সঙ্গে সম্পর্কের পর আত্মহত্যা, সতর্ক করছে বিশেষজ্ঞরা

ট্রাম্প এর সমর্থনে দ্রুত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সেনাপ্রধান মুনীর?

০৭:২০:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

রাজনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের জন্য এর চেয়ে অনুকূল সময় সম্ভবত আর ছিল না। প্রায় দুই বছর ধরে দেশে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগে তিনি সমালোচিত ছিলেন। ঋণ সংকট ও বিদ্রোহী সহিংসতায় জর্জরিত পাকিস্তান ভূরাজনীতিতে উপেক্ষিত হয়ে পড়েছিল, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও ধনী দেশগুলো ভারতের দিকে ঝুঁকেছিল। কিন্তু ১৮ জুন তিনি ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিলেন—যা ঘটল পাকিস্তান-ভারতের স্বল্পস্থায়ী সংঘর্ষের এক মাসেরও কম সময় পরে। জুলাইয়ের শেষে ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতি’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প ২৫% শুল্ক আরোপ করলেন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করলেন। ৬ আগস্ট সেই শুল্কহার ৫০% পর্যন্ত বাড়ালেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তন

২০১১ সালে পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার পর যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক অবনতি হয়। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর সম্পর্ক আরও শিথিল হয়। কিন্তু ভারতের বিরক্তির মধ্যেই এখন যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং মধ্যপ্রাচ্য নীতি বিষয়ে পরামর্শের মাধ্যমে সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র আবার পাকিস্তানকে অস্ত্র বিক্রির কথাও ভাবছে (বর্তমানে পাকিস্তানের চার-পঞ্চমাংশ অস্ত্র চীন থেকে আসে)।

অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমীকরণ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা ইমরান খান কারাবন্দি থাকলেও তার প্রতি জনসমর্থন অব্যাহত। তবে সাম্প্রতিক ভারত সংঘর্ষের পর মুনিরের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সেনাবাহিনী-সমর্থিত বর্তমান বেসামরিক সরকার সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে, যা সংবিধান পরিবর্তনের ক্ষমতা দেয়। ফলে গুজব ছড়িয়েছে—মুনির নিজেই প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, যা স্বাধীনতার পর চতুর্থবারের মতো সামরিক শাসনের দ্বার উন্মুক্ত করবে। তবে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এই গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন।

ব্যক্তিগত পটভূমি ও দৃষ্টিভঙ্গি

ইমামের সন্তান মুনির মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন এবং কোরআন হিফজ করেছেন। তিনি প্রথম সেনাপ্রধান যিনি যুক্তরাষ্ট্র বা ব্রিটেনে প্রশিক্ষণ পাননি। তবু সেনা মুখপাত্রের দাবি, তিনি পশ্চিমা জ্ঞান ও সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত এবং পাকিস্তানে জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরোধী। ধর্মীয় ব্যবসায়ীদের তিনি অপছন্দ করেন। তবে ভারত নিয়ে তার বক্তব্য কড়া—কাশ্মীরকে ভারতের ‘জীবনীশক্তির শিরা’ আখ্যা দিয়েছেন এবং হিন্দু-মুসলিম সহাবস্থানকে অস্বীকার করেছেন। পাকিস্তান কাশ্মীর হামলার দায় অস্বীকার করলেও এই বক্তব্য তার অবস্থান স্পষ্ট করে।

প্রার্থনা ও বাস্তববাদ

মুনির ব্যক্তিগতভাবে ধার্মিক হলেও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে ধর্মীয় প্রভাব কম রাখেন। তিনি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আধুনিকায়ন পরিকল্পনার প্রশংসক। ইমরান খানের প্রতি তার ক্ষোভ প্রবল, কারণ খান তাকে গোয়েন্দা প্রধানের পদ থেকে সরিয়েছিলেন। ভারতের প্রতি নরম কূটনীতির বদলে তিনি ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত—ভারতের বিমান হামলার জবাবে প্রতিশোধের সিদ্ধান্তও তারই।

ক্ষমতার ভবিষ্যৎ রূপরেখা

কেউ কেউ মনে করেন, জনপ্রিয়তা ও ট্রাম্পের সমর্থন কাজে লাগিয়ে মুনির শিগগিরই প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। এতে তার ক্ষমতা প্রাতিষ্ঠানিক হবে এবং ভবিষ্যতে কম অনুগত সরকার আসলেও তার অবস্থান সুরক্ষিত থাকবে। সমালোচকেরা তাকে প্রথম সামরিক শাসক আইয়ুব খানের সঙ্গে তুলনা করছেন। তবে বর্তমান ‘হাইব্রিড’ শাসনব্যবস্থা হয়তো তার জন্য বেশি লাভজনক—কারণ এতে তিনি সেনাপ্রধান হিসেবে অনির্দিষ্টকাল থাকতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন

মুনির ইসলামিক স্টেট-সংক্রান্ত সন্ত্রাসীদের হত্যা ও গ্রেপ্তারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা পেয়েছেন। ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানের ক্রিপ্টো ও মাইনিং খাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনা কমিয়েছে, সহায়তা কর্মসূচি পুনরায় শুরু করেছে এবং সাঁজোয়া যান ও নাইট ভিশন ডিভাইস বিক্রির বিষয় বিবেচনা করছে।

কূটনৈতিক ভারসাম্য ও ঝুঁকি

মুনির যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বহুমুখী ও টেকসই সম্পর্ক গড়তে চান, তবে পাকিস্তানের দুর্বল বিনিয়োগ পরিবেশ, পারস্পরিক অবিশ্বাস ও চীনের প্রতিক্রিয়া বড় চ্যালেঞ্জ। ভারত নিয়ে উত্তেজনাও প্রবল—মুনির চান আলোচনার টেবিলে বসাতে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি তা প্রত্যাখ্যান করছেন এবং নতুন হামলায় আরও কঠোর সামরিক জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তান সেনাপ্রধানের মুখপাত্র সতর্ক করে বলেছেন—প্রয়োজনে ভারত ভূখণ্ডের গভীরে আঘাত করা হবে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সংঘর্ষের ঝুঁকি আগের চেয়ে বেড়েছে।