“এই পুস্তক ব্রাহ্মস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী অনাথ বন্ধু মৌলিক, দীননাথ সিংহ এবং শ্রী কৈলাশচন্দ্র মহাশয়গণের পুস্তকালয়ে বিক্রীত হয়।”
প্রতিটি দোকানের নিশ্চয় নাম ছিল: কিন্তু দোকানের নাম থেকে দোকানের মালিক ছিলেন বেশি পরিচিত বা তাঁকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হতো। কারণ, এই ছোট শহরে তাঁরা ছিলেন এলিট শ্রেণির অংশ এবং পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ কয়েকটি বিজ্ঞাপন উদ্ধৃত করছি-

ড: দূর্গাদাস করের বিখ্যাত নাটক স্বর্ণশৃঙ্খল নাটক-এর নামপত্র, ১৮৬৩
১৮৬৮ সালে কৈলাসচন্দ্র দে প্রণীত ‘গীতাচ্চুর’-এর শেষ প্রচ্ছদের বিজ্ঞাপন- “মৎ প্রণীত ‘ঘটকাল সন্দর্ভ’ ঢাকার স্কুল ইনস্পেক্টর সাহেবের কেরানী শ্রীযুক্ত দীননাথ সিংহ মহাশয়ের পুস্তকালয়ে বিক্রয়ার্থ প্রস্তুত আছে। শ্রী কৈলাশ চন্দ্র দে।”
১৮৬৯ সালে প্রকাশিত দীননাথ সেনের “বঙ্গদেশের বিবরণ”-এর শেষ প্রচ্ছদে উল্লেখ করা হয়েছে-
“এই পুস্তক ব্রাহ্মস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী অনাথ বন্ধু মৌলিক, দীননাথ সিংহ এবং শ্রী কৈলাশচন্দ্র মহাশয়গণের পুস্তকালয়ে বিক্রীত হয়।” এখানে উল্লেখ্য যে এরা সবাই জড়িত ছিলেন ব্রাহ্ম আন্দোলনের সঙ্গে।
পাটুয়াটুলির দুটি দোকানের নাম পেয়েছি-ন্যাশনাল ডিপজিটরী (১৮৭৬), কাব্য প্রকাশ লাইব্রেরি (১৮৭৭) এবং ২৬-২৭ নং পুস্তকালয় (১৮৯৩)। ১৮৭৬ সালে প্রকাশিত ‘১৮৭৬ সালের ৭ আইন’ বইয়ের শেষ প্রচ্ছদের বিজ্ঞাপন- “১৮৭৬ সালের ৭ আইন অর্থাৎ নাম জারির নূতন আইন সাধারণের অবশ্য জ্ঞাতব্য ও প্রয়োজনীয়।
১লা নভেম্বর হইতে ৬ মাসের মধ্যে সকলকেই প্রত্যেক মহালে আপন আপন নাম জারি করিতে হইবে। এই আইন ঢাকা সুতারনগর শ্রীযুক্ত আনন্দচন্দ্র সেনের বাসা, কালেক্টরী, কাছারীতে এবং পাটুয়াটুলি ন্যাসনেল ডিপজিটরীতে নগদ মূল্যে বিক্রি হয়।”
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 



















