ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি ও জরুরি বার্তা
ব্রাজিলের বেলেঁ শহরে শুক্রবার থেকে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ৩০ শুরু হয়েছে, কিন্তু একই দিনে ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামে টাইফুন ‘কালমায়েগি’ মানুষের জীবন ও ঘরবাড়ি কেড়ে নিচ্ছে — এমন প্রেক্ষাপটে সম্মেলনের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ফিলিপাইনে অন্তত ১১৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং বহু মানুষ নিখোঁজ; ঝড়টি যখন ভিয়েতনামে ঢোকে তখন সেখানকার কর্তৃপক্ষ কয়েক লাখ মানুষকে সরে যেতে বলে। বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন, উষ্ণ সমুদ্রের কারণে এ ধরনের ঝড় অল্প সময়ে শক্তি সঞ্চয় করছে এবং আঘাত হানার পর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেশি হচ্ছে। উদ্বোধনী দিনে জাতিসংঘের জলবায়ু প্রধান সাইমন স্টিল বলেন, এ কারণেই এবারের সম্মেলনকে “ঘোষণা নয়, বাস্তবায়নের কপ” হতে হবে।
উষ্ণায়ন রোধে অর্থ ও প্রতিশ্রুতির ঘাটতি
সম্মেলনের আগে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ পেয়েছে তা আশাব্যঞ্জক নয়। ১৯৯৫ সালের তুলনায় বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন এখন ৩৪ শতাংশ বেশি এবং দেশগুলোর বর্তমান প্রতিশ্রুতি অনুসারে তাপমাত্রা বৃদ্ধির গতি ২.৩ থেকে ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে — যা ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর দাবি করা ১.৫ ডিগ্রি সীমার অনেক ওপরে। পরিষ্কার জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়লেও দরিদ্র ও দ্বীপদেশগুলো বলছে, সেই অর্থের বেশিরভাগই ধনী দেশগুলোতেই ঘুরছে; তাদের দরকার ক্ষতিপূরণ তহবিল চালু করা, জলবায়ু অভিযোজনের জন্য দ্রুত অর্থ ছাড় এবং এমন ঋণব্যবস্থা যাতে গ্রিন প্রকল্প নিলে ঋণের বোঝা না বাড়ে। আয়োজক ব্রাজিল অ্যামাজন রক্ষা ও কার্বন ক্রেডিট বাজারকে সামনে আনতে চায়, কিন্তু কালমায়েগির ক্ষয়ক্ষতি এখন আলোচনার কেন্দ্রকে আবারও “ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ”-এর দিকে টেনে আনবে। ঝড়টি দেখিয়ে দিয়েছে, জলবায়ু অভিযোজন আর ভবিষ্যতের বিষয় নয়; এটি এখনকার জরুরি শিরোনাম।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















