১১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
আরব লিগের কড়া বার্তা, সোমালিল্যান্ড স্বীকৃতি মানে আন্তর্জাতিক আইন ভাঙা জাপানের পারমাণবিক বিদ্যুৎ নীতিতে বড় মোড়, ফুকুশিমার পর ফের চালু হচ্ছে বৃহত্তম রিঅ্যাক্টর পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল ও ইউরোপের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ের ঘোষণা ইসরায়েলের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে আরব ইসলামি আফ্রিকান ঐক্য, সোমালিল্যান্ড প্রশ্নে তীব্র নিন্দা সোনার দামে নতুন ইতিহাস, টানা অষ্টম দফা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ চূড়া কাঁপছে গোমতী সেতু, যান চলাচল সাময়িক বন্ধ কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধনে হামলা, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-সংঘর্ষ খালেদা জিয়ার তিন আসনে বিকল্প প্রার্থী প্রস্তুত, শেষ মুহূর্তে বড় রদবদলে বিএনপি নির্বাচনের আগে সীমান্তপথে অস্ত্র পাচারের চেষ্টা বেড়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খুলনা–৫ আসনে জামায়াতের মনোনয়ন জমা দিলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার

উত্তরাঞ্চলের নদীর পানি বৃদ্ধি: তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারে বন্যা আশঙ্কা

উত্তর বাংলাদেশের নদীগুলো — বিশেষ করে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র (যমুনা) ও দুধকুমার নদী — এই অঞ্চলের জীবন ও অর্থনীতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে এসব নদীর পানির মাত্রা ও প্রবাহের পরিবর্তন বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। বর্তমান পানির স্তর, নদীর আচরণ এবং নিম্নাঞ্চলে সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি এই প্রতিবেদনে বিশ্লেষণ করা হলো।

নদীর পানি ও প্রবাহের বর্তমান অবস্থা

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (BWDB) ও ফ্লাড ফরকাস্টিং অ্যান্ড ওয়ার্নিং সেন্টারের তথ্যমতে, তিস্তা নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও রংপুরের নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও তা এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। সামগ্রিকভাবে নদীগুলোর পানির স্তর ঊর্ধ্বমুখী, যা নিম্নভূমিতে দ্রুত বন্যার সম্ভাবনা তৈরি করছে।

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, বন্যার আশ...

নদীতীরবর্তী নিম্নভূমির ঝুঁকি ও অতীতের বন্যা

ধরলা নদী কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট সীমান্ত অতিক্রম করার সময় মারাত্মক ক্ষয়প্রবণ হয়ে ওঠে। ২০০৭ সালে এই নদী প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বাঁধ ভেঙে দেয়, ফলে হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়।

কুড়িগ্রাম জেলার ভূপ্রকৃতিতে তিস্তা, ধরলা, যমুনা ছাড়াও দুধকুমার, ফুলকুয়াড়, গঙ্গাধর ও জিনজিরামসহ অসংখ্য নদী রয়েছে, যেগুলো প্রতি বর্ষায় নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলকে নিয়মিতভাবে প্লাবিত করে।

সতর্কতা ও সম্ভাব্য পরিস্থিতি

আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলে চারপাশের চরাঞ্চল ও নিম্নভূমি দ্রুত প্লাবিত হতে পারে। ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আপাতত বিপদসীমার নিচে থাকলেও, অব্যাহত পানি বৃদ্ধি পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে।

বিপৎসীমা অতিক্রম করছে তিস্তার পানি, চার জেলায় প্লাবনের শঙ্কা

ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত প্রস্তুতি গ্রহণ, নিরাপদ আশ্রয়স্থল চিহ্নিতকরণ এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ মজুত রাখা জরুরি।

দিকনির্দেশনা

বর্তমান পরিস্থিতিতে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদী তীরবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা প্রয়োজন। তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা বেশি, যা নিম্নাঞ্চল, চর ও কৃষিজমি প্লাবিত করতে পারে।

স্থানীয় প্রশাসন ও জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে এবং জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আরব লিগের কড়া বার্তা, সোমালিল্যান্ড স্বীকৃতি মানে আন্তর্জাতিক আইন ভাঙা

উত্তরাঞ্চলের নদীর পানি বৃদ্ধি: তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারে বন্যা আশঙ্কা

০৫:০২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

উত্তর বাংলাদেশের নদীগুলো — বিশেষ করে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র (যমুনা) ও দুধকুমার নদী — এই অঞ্চলের জীবন ও অর্থনীতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে এসব নদীর পানির মাত্রা ও প্রবাহের পরিবর্তন বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। বর্তমান পানির স্তর, নদীর আচরণ এবং নিম্নাঞ্চলে সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি এই প্রতিবেদনে বিশ্লেষণ করা হলো।

নদীর পানি ও প্রবাহের বর্তমান অবস্থা

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (BWDB) ও ফ্লাড ফরকাস্টিং অ্যান্ড ওয়ার্নিং সেন্টারের তথ্যমতে, তিস্তা নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও রংপুরের নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও তা এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। সামগ্রিকভাবে নদীগুলোর পানির স্তর ঊর্ধ্বমুখী, যা নিম্নভূমিতে দ্রুত বন্যার সম্ভাবনা তৈরি করছে।

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, বন্যার আশ...

নদীতীরবর্তী নিম্নভূমির ঝুঁকি ও অতীতের বন্যা

ধরলা নদী কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট সীমান্ত অতিক্রম করার সময় মারাত্মক ক্ষয়প্রবণ হয়ে ওঠে। ২০০৭ সালে এই নদী প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বাঁধ ভেঙে দেয়, ফলে হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়।

কুড়িগ্রাম জেলার ভূপ্রকৃতিতে তিস্তা, ধরলা, যমুনা ছাড়াও দুধকুমার, ফুলকুয়াড়, গঙ্গাধর ও জিনজিরামসহ অসংখ্য নদী রয়েছে, যেগুলো প্রতি বর্ষায় নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলকে নিয়মিতভাবে প্লাবিত করে।

সতর্কতা ও সম্ভাব্য পরিস্থিতি

আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলে চারপাশের চরাঞ্চল ও নিম্নভূমি দ্রুত প্লাবিত হতে পারে। ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আপাতত বিপদসীমার নিচে থাকলেও, অব্যাহত পানি বৃদ্ধি পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে।

বিপৎসীমা অতিক্রম করছে তিস্তার পানি, চার জেলায় প্লাবনের শঙ্কা

ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত প্রস্তুতি গ্রহণ, নিরাপদ আশ্রয়স্থল চিহ্নিতকরণ এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ মজুত রাখা জরুরি।

দিকনির্দেশনা

বর্তমান পরিস্থিতিতে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদী তীরবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা প্রয়োজন। তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা বেশি, যা নিম্নাঞ্চল, চর ও কৃষিজমি প্লাবিত করতে পারে।

স্থানীয় প্রশাসন ও জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে এবং জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।