লিভারপুলকে স্লট যুগের শুরুর পর দল শক্তিশালী করতে হয়েছে, ম্যানচেস্টার সিটিকে গত মৌসুমের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে হয়েছে, আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে আবারও ‘রিসেট’ বোতাম টিপতে হয়েছে।
লিভারপুলের বড় বিনিয়োগ
এ মৌসুমে লিভারপুল ১৯৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে হুগো একিতিকে ও ফ্লোরিয়ান ভার্টজকে দলে নিয়েছে। চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর গত মৌসুমে কম খরচ করলেও এবার দলে নতুনত্ব আনার প্রয়োজন ছিল। একজন প্রবীণ খেলোয়াড়ের বিদায়, কয়েকজনের প্রস্থান এবং আগামী মৌসুমগুলোতে শীর্ষে থাকার লক্ষ্য তাদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।
ফ্লোরিয়ান ভার্টজ, জার্মান উইঙ্গার, ১১৬ মিলিয়ন পাউন্ডে এসেছেন বায়ার লেভারকুসেন থেকে। তিনি সৃজনশীল, দ্রুত ও কৌশলী, এবং স্লট তাকে আক্রমণভাগে সৃজনশীল ভূমিকায় রাখার পরিকল্পনা করছেন। পূর্বে দমিনিক সোবোস্লাই এই দায়িত্ব পালন করলেও তার ভূমিকা ছিল বেশি প্রেসিং ও দৌড়ের উপর নির্ভরশীল, সৃষ্টিশীলতায় কম। ভার্টজ সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারেন।
ম্যানচেস্টার সিটির পুনর্গঠন
কেভিন ডি ব্রুইনের বিদায় ও রদ্রির মৌসুমের শুরুতে অনুপস্থিতি ম্যানচেস্টার সিটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন যোগ হওয়া টিজিয়ানি রেইজেন্ডার্স মাঝমাঠের ভিত্তি শক্ত করবেন। তার পাসিং রেঞ্জ, গতি ও শারীরিক উপস্থিতি দলের জন্য বাড়তি সুবিধা হবে। নতুন খেলোয়াড় রায়ান চেরকি প্রস্তুতি ম্যাচে নম্বর ১০ ভূমিকায় চমক দেখিয়েছেন।
আর্সেনালের শিরোপা লক্ষ্য
আর্সেনাল দলে এনেছে ফরোয়ার্ড ভিক্টর গিয়োকারেসকে, যার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগলেও তিনি ধারালো আক্রমণ যোগ করবেন। মিডফিল্ডে মার্টিন জুবিমেন্ডি এসে ডেক্লান রাইসকে আরও আক্রমণাত্মক ভূমিকায় খেলতে স্বাধীনতা দেবেন। রাইস, জুবিমেন্ডি ও মিকেল মেরিনোর ত্রয়ী একসাথে খেললে দর্শকরা দারুণ কিছু দেখতে পাবেন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন ত্রয়ী
২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিয়োগে গড়া মাতেউস কুনহা–বেনজামিন সেস্কো–ব্রায়ান এমবুয়েমোর আক্রমণভাগ ইউনাইটেডে নতুন মাত্রা যোগ করবে। সেস্কো কেন্দ্র ফরোয়ার্ড হিসেবে শক্তি, গতি ও হেডিং দক্ষতায় রাসমুস হইলুন্ডের তুলনায় উন্নত বিকল্প।
চেলসির তরুণ ঝলক
চেলসির আক্রমণভাগে জোয়াও পেদ্রো, কোল পামার, জেমি গিটেনস ও ১৮ বছরের ব্রাজিলিয়ান প্রতিভা এস্তেভাও নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকলেও নতুন মুখগুলোতে অজানার আকর্ষণ আছে।
টটেনহ্যাম হটস্পারের নতুন অধ্যায়
থমাস ফ্রাঙ্ক দায়িত্ব নিয়েছেন আঞ্জে পোস্টেকোগলুর স্থলাভিষিক্ত হয়ে। তিনি নিয়ন্ত্রিত ও কৌশলগত ফুটবলে বিশ্বাসী। হ্যারি কেইন ও সন হিউং-মিনের বিদায়ের পর মোহাম্মদ কুদুস দলের নতুন ভরসা হতে পারেন।
মৌসুমের আকর্ষণ
ইপিএলের এই গ্রীষ্মের বিপুল খরচ দেখনদারি নয়, বরং প্রয়োজন ও কৌশলের ফল। তবে এত বিনিয়োগ সফলতার নিশ্চয়তা দেয় না। আর এই অনিশ্চয়তাই মৌসুমকে করবে আরও রোমাঞ্চকর।