গাজা ও পশ্চিম তীরের সর্বশেষ পরিস্থিতি
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সোমবার নেয়ম প্রাসাদে জর্দানের রাজা আবদুল্লাহ দ্বিতীয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় গাজা ও পশ্চিম তীরের সর্বশেষ পরিস্থিতি, আঞ্চলিক অবস্থা এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে মতবিনিময় হয়। আলোচনায় দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক ও আরব স্বার্থে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়েও কথা হয়। বৈঠকে জর্দানের যুবরাজ আল হুসেইন বিন আবদুল্লাহ দ্বিতীয়ও উপস্থিত ছিলেন।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ
একই দিনে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তারা গাজা উপত্যকার নিরাপত্তা ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। যুবরাজ ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের নিন্দা জানান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবিক সংকট মোকাবিলা ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
সৌদির সমর্থনের প্রশংসা
মাহমুদ আব্বাস সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে প্রশংসা করেন, বিশেষ করে ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের পূর্বের সীমারেখা এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী ধরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় সৌদির অবদানের জন্য। তারা আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা করেন। ওই সম্মেলনে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ একাধিক দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অগ্রগতি
জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রায় ১৪৫টি দেশ ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। সোমবার অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা করেছে, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। নিউজিল্যান্ডও একই বিষয়ে বিবেচনা করছে।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্ত এবং নিউজিল্যান্ডের সম্ভাব্য স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মতে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া একটি ন্যায়সঙ্গত ও সার্বিক শান্তির পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং কয়েক দশকের সংঘাতের অবসানে সহায়ক হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















