১১:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কোডাক বন্ধ হওয়ার গুজব অস্বীকার করল

কোডাক ১৩৩ বছরের কার্যক্রম শেষে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে—এমন ভাইরাল পোস্টের বিরুদ্ধে কোম্পানি অবস্থান নিয়েছে। তাদের মতে, এসইসি নথির “গোয়িং কনসার্ন” শব্দবন্ধটি আসলে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা নিয়ে সতর্কতা, দেউলিয়া ঘোষণার ইঙ্গিত নয়। কোম্পানি বলছে, তারা সামনে আসা দায়সমূহ সময়মতো পরিশোধ, মেয়াদ বাড়ানো বা পুনঃঅর্থায়নের মাধ্যমে সামলাতে চায় এবং পরিকল্পিত লেনদেন সম্পন্ন হলে ব্যালান্স শিট আরও মজবুত হবে, নিট ঋণ প্রায় শূন্যে নেমে আসবে।

গুজবের সূত্রপাত কীভাবে

কোডাকের জমা দেওয়া নথিতে থাকা “substantial doubt” বাক্যাংশটি কিছু শিরোনাম ও সামাজিক মাধ্যম পোস্ট বেছে নিয়ে আসন্ন পতনের ইঙ্গিত দিয়েছে। বাস্তবে, ১২ মাসের মধ্যে পরিশোধযোগ্য ঋণের জন্য অর্থায়ন এখনো পুরোপুরি চূড়ান্ত না থাকলে—যদিও পরিকল্পনা চলমান—এ ধরনের ভাষা প্রথাগতভাবেই ব্যবহার করা হয়। কোম্পানি ব্যাখ্যা দেওয়ার আগে প্রাথমিক শিরোনামের প্রভাবে শেয়ারদর কিছুটা নেমে যায়।

কোডাক এখন কী বলছে

কোডাক জানিয়েছে, তারা বন্ধ হচ্ছে না এবং দেউলিয়া হতে যাচ্ছে না। ব্যবস্থাপনার ভাষ্য, নিকট-মেয়াদি দায় সামলাতে পরিশোধ, মেয়াদ বৃদ্ধি ও পুনঃঅর্থায়নের সমন্বয় করা হবে এবং লেনদেনগুলো শেষ হলে ব্যালান্স শিট আরও সুস্থ হবে।

আসন্ন ঋণ মোকাবিলায়, কোডাক ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পেনশন পরিকল্পনা বন্ধ করে প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার পাওয়ার আশা করছে—এর মধ্যে প্রায় ৩০ কোটি ডলার নগদ এবং প্রায় ২০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ-সম্পদ নগদে রূপান্তরিত হবে। কোম্পানি বলছে, এই অর্থ দৈনন্দিন পরিচালনায় নয়; ঋণ পরিশোধ বা পুনঃঅর্থায়নে ব্যবহৃত হবে।

প্রিন্টিং, প্যাকেজিং ক্রেতা ও ফিল্ম ল্যাবের জন্য গুরুত্ব

প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং ক্রেতা—এবং ফিল্ম ল্যাবগুলোর—জন্য সরবরাহের ধারাবাহিকতাই মূল প্রশ্ন। পুনঃঅর্থায়ন ও পেনশন লেনদেন সময়সূচি অনুযায়ী এগোলে বিঘ্নের ঝুঁকি কমবে। সময়সূচি পিছিয়ে গেলে জরুরি কনজ্যুমেবল ও স্পেয়ার পার্টসের বিকল্প উৎস আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা উচিত।

বাংলাদেশে কোডাকের উপস্থিতি

কোডাকের বাংলাদেশে উপস্থিতি মূলত বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক খাতে। ১৯৯০-এর দশক থেকেই কোম্পানি বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশন অংশীদারির মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতা ও ল্যাবগুলোর কাছে কনজিউমার ও পেশাদার–উপযোগী ফিল্ম সরবরাহ করে আসছে। ফলে বিয়ে, পোর্ট্রেট ও শৌখিন এনালগ বাজারে চাহিদা মেটাতে স্থানীয় বিক্রেতাদের মাধ্যমে এখনো কোডাক ফিল্ম পাওয়া যায়।

 

কোডাক বন্ধ হওয়ার গুজব অস্বীকার করল

০৫:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

কোডাক ১৩৩ বছরের কার্যক্রম শেষে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে—এমন ভাইরাল পোস্টের বিরুদ্ধে কোম্পানি অবস্থান নিয়েছে। তাদের মতে, এসইসি নথির “গোয়িং কনসার্ন” শব্দবন্ধটি আসলে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা নিয়ে সতর্কতা, দেউলিয়া ঘোষণার ইঙ্গিত নয়। কোম্পানি বলছে, তারা সামনে আসা দায়সমূহ সময়মতো পরিশোধ, মেয়াদ বাড়ানো বা পুনঃঅর্থায়নের মাধ্যমে সামলাতে চায় এবং পরিকল্পিত লেনদেন সম্পন্ন হলে ব্যালান্স শিট আরও মজবুত হবে, নিট ঋণ প্রায় শূন্যে নেমে আসবে।

গুজবের সূত্রপাত কীভাবে

কোডাকের জমা দেওয়া নথিতে থাকা “substantial doubt” বাক্যাংশটি কিছু শিরোনাম ও সামাজিক মাধ্যম পোস্ট বেছে নিয়ে আসন্ন পতনের ইঙ্গিত দিয়েছে। বাস্তবে, ১২ মাসের মধ্যে পরিশোধযোগ্য ঋণের জন্য অর্থায়ন এখনো পুরোপুরি চূড়ান্ত না থাকলে—যদিও পরিকল্পনা চলমান—এ ধরনের ভাষা প্রথাগতভাবেই ব্যবহার করা হয়। কোম্পানি ব্যাখ্যা দেওয়ার আগে প্রাথমিক শিরোনামের প্রভাবে শেয়ারদর কিছুটা নেমে যায়।

কোডাক এখন কী বলছে

কোডাক জানিয়েছে, তারা বন্ধ হচ্ছে না এবং দেউলিয়া হতে যাচ্ছে না। ব্যবস্থাপনার ভাষ্য, নিকট-মেয়াদি দায় সামলাতে পরিশোধ, মেয়াদ বৃদ্ধি ও পুনঃঅর্থায়নের সমন্বয় করা হবে এবং লেনদেনগুলো শেষ হলে ব্যালান্স শিট আরও সুস্থ হবে।

আসন্ন ঋণ মোকাবিলায়, কোডাক ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পেনশন পরিকল্পনা বন্ধ করে প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার পাওয়ার আশা করছে—এর মধ্যে প্রায় ৩০ কোটি ডলার নগদ এবং প্রায় ২০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ-সম্পদ নগদে রূপান্তরিত হবে। কোম্পানি বলছে, এই অর্থ দৈনন্দিন পরিচালনায় নয়; ঋণ পরিশোধ বা পুনঃঅর্থায়নে ব্যবহৃত হবে।

প্রিন্টিং, প্যাকেজিং ক্রেতা ও ফিল্ম ল্যাবের জন্য গুরুত্ব

প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং ক্রেতা—এবং ফিল্ম ল্যাবগুলোর—জন্য সরবরাহের ধারাবাহিকতাই মূল প্রশ্ন। পুনঃঅর্থায়ন ও পেনশন লেনদেন সময়সূচি অনুযায়ী এগোলে বিঘ্নের ঝুঁকি কমবে। সময়সূচি পিছিয়ে গেলে জরুরি কনজ্যুমেবল ও স্পেয়ার পার্টসের বিকল্প উৎস আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা উচিত।

বাংলাদেশে কোডাকের উপস্থিতি

কোডাকের বাংলাদেশে উপস্থিতি মূলত বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক খাতে। ১৯৯০-এর দশক থেকেই কোম্পানি বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশন অংশীদারির মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতা ও ল্যাবগুলোর কাছে কনজিউমার ও পেশাদার–উপযোগী ফিল্ম সরবরাহ করে আসছে। ফলে বিয়ে, পোর্ট্রেট ও শৌখিন এনালগ বাজারে চাহিদা মেটাতে স্থানীয় বিক্রেতাদের মাধ্যমে এখনো কোডাক ফিল্ম পাওয়া যায়।