০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
নগরজীবনে মানিয়ে নিচ্ছে বন্যপ্রাণী গ্লোবাল কনটেন্টে ঝুঁকছে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম তীব্র তাপে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপ বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার

রেয়ার আর্থে চীনের একচেটিয়া দখল, পশ্চিমা বিশ্ব কিভাবে প্রতিরোধ করবে

চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গানঝৌ শহরে JL MAG নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানাকে বাইরে থেকে দেখে মনে হবে না যে এটি বৈশ্বিক ভূরাজনীতির কেন্দ্র। কিন্তু এখান থেকেই উৎপাদিত বিরল খনিজ চুম্বক পৌঁছে যায় চীনের বিওয়াইডি এবং আমেরিকার টেসলার মতো বড় বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতাদের কাছে। সম্প্রতি চীন এই খনিজ ও এর পণ্যের রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে, যার ফলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া, ঘাটতি তৈরি হওয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

বিরল খনিজের রেয়ার আর্থ  গুরুত্ব

বিরল খনিজ বলতে বোঝায় ১৭ ধরনের উপাদান, যেগুলোর অনন্য বৈদ্যুতিক, আলোক ও চৌম্বক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো মোবাইল ফোন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, স্পিকার থেকে শুরু করে ডেটা সেন্টার, বায়ুকল, বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং রোবট তৈরিতে অপরিহার্য। প্রতিরক্ষা শিল্পেও (যেমন জেট ইঞ্জিন, ক্ষেপণাস্ত্র ও নাইট ভিশন ডিভাইস) এবং চিকিৎসায় (লেজার, স্ক্যানার) এগুলোর ব্যবহার রয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যাডামাস ইন্টেলিজেন্সের পূর্বাভাস, ২০৩৫ সালের মধ্যে এ খনিজের চাহিদা দ্বিগুণ হবে।

চীনের আধিপত্য কিভাবে তৈরি হলো

বিরল খনিজ খুব একটা দুর্লভ নয়, কিন্তু এর ঘনত্ব কম এবং উত্তোলন ও বিশুদ্ধকরণ কঠিন। উৎপাদন প্রক্রিয়া মূলত চীন নিয়ন্ত্রণ করে—খনিজ উত্তোলনের ৬৯%, পরিশোধনের ৯০% এর বেশি এবং প্রায় সব চুম্বক তৈরিই চীনে হয়।

চীন ১৯৫০-এর দশকে খনন শুরু করে। ১৯৮০-এর দশকে বিদেশি বিনিয়োগ স্বাগত জানানো ও রপ্তানি বাড়ানোর ফলে শিল্প দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পরে খনিজের দাম পড়ে গেলে আমেরিকার প্রধান খনি মাউন্টেন পাস বন্ধ হয়ে যায়, আর চীনের হাতেই নিয়ন্ত্রণ থেকে যায়।

২০০০ সালের পর চীন গবেষণা, শিল্প একীভূতকরণ ও বড় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি গঠনের মাধ্যমে খাতকে শক্তিশালী করে। উত্তরাঞ্চলের মঙ্গোলিয়ায় “লাইট” বিরল খনিজ এবং গানঝৌ-ভিত্তিক “হেভি” খনিজ উত্তোলন করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকেও সস্তায় আকরিক আনা হয়। জটিল প্রক্রিয়া, বহু ধাপ, বিশেষ প্রযুক্তি ও স্থানীয় ভূতাত্ত্বিক বাস্তবতায় চীনের দক্ষতা অন্যদের পক্ষে সহজে নকল করা সম্ভব নয়।

ভূরাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার

প্রথমদিকে চীনের উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক সুযোগ কাজে লাগানো। কিন্তু বর্তমানে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর নেতৃত্বে বিরল খনিজকে চাপ সৃষ্টির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। খনিজ রপ্তানি বন্ধ করলে সামান্য অর্থনৈতিক ক্ষতিতে বিদেশি শিল্প খাত বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়ে।

২০২৫ সালের এপ্রিলে চীন সাত ধরনের বিরল খনিজ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করলে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়ে। ফোর্ড ও সুজুকির মতো গাড়ি নির্মাতাদের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। রপ্তানি অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, লাইসেন্সের সীমিত মেয়াদ এবং হঠাৎ পরিবর্তন—সব মিলিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে অস্থির করে তুলেছে।

পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিরোধের চেষ্টা

আমেরিকা, ইউরোপ ও জাপান বিকল্প খাত তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে। মাউন্টেন পাস খনি আবার চালু হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার লাইন্যাস মালয়েশিয়ায় হেভি বিরল খনিজ উৎপাদন করছে, ইউরোপ আফ্রিকার দেশগুলোতে প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। তবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে বছর লেগে যাবে এবং চীনের দক্ষতার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কঠিন।

আরেকটি পথ হলো পুনর্ব্যবহার। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০৩০ সালের মধ্যে চাহিদার ২৫% পুনর্ব্যবহার থেকে মেটানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। ফ্রান্সের ক্যারেম্যাগ এবং কানাডার সাইক্লিক ম্যাটেরিয়ালসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো পুরনো মোটর, হার্ডড্রাইভ ও গাড়ির যন্ত্রাংশ থেকে বিরল খনিজ পুনঃউৎপাদনে কাজ করছে।

প্রযুক্তিগত বিকল্প

গাড়ি শিল্পে নতুন মোটর প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। স্থায়ী চুম্বকের বদলে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বা এক্সটারনালি এক্সাইটেড মোটর ব্যবহার করে বিরল খনিজ ছাড়াই কার্যকর ইঞ্জিন তৈরি সম্ভব হচ্ছে। বিএমডব্লিউ, রেনল্ট ও জার্মান প্রতিষ্ঠান জেডএফ ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তিতে সাফল্য পেয়েছে।

ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ

মূল প্রশ্ন হলো—চীন কতদিন এ নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখবে এবং কতটা আগ্রাসীভাবে এটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে। ২০১০ সালে জাপানের সঙ্গে সামুদ্রিক বিরোধে চীন রপ্তানি বন্ধ করেছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে জাপান এখন তুলনামূলকভাবে কম নির্ভরশীল।

বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমা বিশ্ব যদি চীনের ওপর নির্ভরশীলতা ৬০-৭০ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারে, তবে ঝুঁকি অনেকটা কমবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে পুনর্ব্যবহার, সাশ্রয়ী ব্যবহার এবং নতুন উদ্ভাবন। শেষ পর্যন্ত চীনের জন্য একচেটিয়া অবস্থান বজায় রাখার একমাত্র উপায় হলো খনিজকে সস্তা ও পর্যাপ্ত রাখা।

সারাংশ হলো, বিরল খনিজ এখন কেবল শিল্প নয়, বৈশ্বিক কৌশলগত শক্তির কেন্দ্রবিন্দু। চীনের দখল শক্তিশালী হলেও পশ্চিমা বিশ্ব বিকল্প পথ খুঁজছে, যার ফলাফল আগামী দশকগুলোতে নির্ধারণ করবে বৈশ্বিক অর্থনীতি ও রাজনীতির ভারসাম্য।

জনপ্রিয় সংবাদ

নগরজীবনে মানিয়ে নিচ্ছে বন্যপ্রাণী

রেয়ার আর্থে চীনের একচেটিয়া দখল, পশ্চিমা বিশ্ব কিভাবে প্রতিরোধ করবে

১০:০০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গানঝৌ শহরে JL MAG নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানাকে বাইরে থেকে দেখে মনে হবে না যে এটি বৈশ্বিক ভূরাজনীতির কেন্দ্র। কিন্তু এখান থেকেই উৎপাদিত বিরল খনিজ চুম্বক পৌঁছে যায় চীনের বিওয়াইডি এবং আমেরিকার টেসলার মতো বড় বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতাদের কাছে। সম্প্রতি চীন এই খনিজ ও এর পণ্যের রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে, যার ফলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া, ঘাটতি তৈরি হওয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

বিরল খনিজের রেয়ার আর্থ  গুরুত্ব

বিরল খনিজ বলতে বোঝায় ১৭ ধরনের উপাদান, যেগুলোর অনন্য বৈদ্যুতিক, আলোক ও চৌম্বক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো মোবাইল ফোন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, স্পিকার থেকে শুরু করে ডেটা সেন্টার, বায়ুকল, বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং রোবট তৈরিতে অপরিহার্য। প্রতিরক্ষা শিল্পেও (যেমন জেট ইঞ্জিন, ক্ষেপণাস্ত্র ও নাইট ভিশন ডিভাইস) এবং চিকিৎসায় (লেজার, স্ক্যানার) এগুলোর ব্যবহার রয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যাডামাস ইন্টেলিজেন্সের পূর্বাভাস, ২০৩৫ সালের মধ্যে এ খনিজের চাহিদা দ্বিগুণ হবে।

চীনের আধিপত্য কিভাবে তৈরি হলো

বিরল খনিজ খুব একটা দুর্লভ নয়, কিন্তু এর ঘনত্ব কম এবং উত্তোলন ও বিশুদ্ধকরণ কঠিন। উৎপাদন প্রক্রিয়া মূলত চীন নিয়ন্ত্রণ করে—খনিজ উত্তোলনের ৬৯%, পরিশোধনের ৯০% এর বেশি এবং প্রায় সব চুম্বক তৈরিই চীনে হয়।

চীন ১৯৫০-এর দশকে খনন শুরু করে। ১৯৮০-এর দশকে বিদেশি বিনিয়োগ স্বাগত জানানো ও রপ্তানি বাড়ানোর ফলে শিল্প দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পরে খনিজের দাম পড়ে গেলে আমেরিকার প্রধান খনি মাউন্টেন পাস বন্ধ হয়ে যায়, আর চীনের হাতেই নিয়ন্ত্রণ থেকে যায়।

২০০০ সালের পর চীন গবেষণা, শিল্প একীভূতকরণ ও বড় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি গঠনের মাধ্যমে খাতকে শক্তিশালী করে। উত্তরাঞ্চলের মঙ্গোলিয়ায় “লাইট” বিরল খনিজ এবং গানঝৌ-ভিত্তিক “হেভি” খনিজ উত্তোলন করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকেও সস্তায় আকরিক আনা হয়। জটিল প্রক্রিয়া, বহু ধাপ, বিশেষ প্রযুক্তি ও স্থানীয় ভূতাত্ত্বিক বাস্তবতায় চীনের দক্ষতা অন্যদের পক্ষে সহজে নকল করা সম্ভব নয়।

ভূরাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার

প্রথমদিকে চীনের উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক সুযোগ কাজে লাগানো। কিন্তু বর্তমানে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর নেতৃত্বে বিরল খনিজকে চাপ সৃষ্টির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। খনিজ রপ্তানি বন্ধ করলে সামান্য অর্থনৈতিক ক্ষতিতে বিদেশি শিল্প খাত বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়ে।

২০২৫ সালের এপ্রিলে চীন সাত ধরনের বিরল খনিজ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করলে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়ে। ফোর্ড ও সুজুকির মতো গাড়ি নির্মাতাদের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। রপ্তানি অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, লাইসেন্সের সীমিত মেয়াদ এবং হঠাৎ পরিবর্তন—সব মিলিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে অস্থির করে তুলেছে।

পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিরোধের চেষ্টা

আমেরিকা, ইউরোপ ও জাপান বিকল্প খাত তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে। মাউন্টেন পাস খনি আবার চালু হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার লাইন্যাস মালয়েশিয়ায় হেভি বিরল খনিজ উৎপাদন করছে, ইউরোপ আফ্রিকার দেশগুলোতে প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। তবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে বছর লেগে যাবে এবং চীনের দক্ষতার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কঠিন।

আরেকটি পথ হলো পুনর্ব্যবহার। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০৩০ সালের মধ্যে চাহিদার ২৫% পুনর্ব্যবহার থেকে মেটানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। ফ্রান্সের ক্যারেম্যাগ এবং কানাডার সাইক্লিক ম্যাটেরিয়ালসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো পুরনো মোটর, হার্ডড্রাইভ ও গাড়ির যন্ত্রাংশ থেকে বিরল খনিজ পুনঃউৎপাদনে কাজ করছে।

প্রযুক্তিগত বিকল্প

গাড়ি শিল্পে নতুন মোটর প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। স্থায়ী চুম্বকের বদলে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বা এক্সটারনালি এক্সাইটেড মোটর ব্যবহার করে বিরল খনিজ ছাড়াই কার্যকর ইঞ্জিন তৈরি সম্ভব হচ্ছে। বিএমডব্লিউ, রেনল্ট ও জার্মান প্রতিষ্ঠান জেডএফ ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তিতে সাফল্য পেয়েছে।

ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ

মূল প্রশ্ন হলো—চীন কতদিন এ নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখবে এবং কতটা আগ্রাসীভাবে এটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে। ২০১০ সালে জাপানের সঙ্গে সামুদ্রিক বিরোধে চীন রপ্তানি বন্ধ করেছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে জাপান এখন তুলনামূলকভাবে কম নির্ভরশীল।

বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমা বিশ্ব যদি চীনের ওপর নির্ভরশীলতা ৬০-৭০ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারে, তবে ঝুঁকি অনেকটা কমবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে পুনর্ব্যবহার, সাশ্রয়ী ব্যবহার এবং নতুন উদ্ভাবন। শেষ পর্যন্ত চীনের জন্য একচেটিয়া অবস্থান বজায় রাখার একমাত্র উপায় হলো খনিজকে সস্তা ও পর্যাপ্ত রাখা।

সারাংশ হলো, বিরল খনিজ এখন কেবল শিল্প নয়, বৈশ্বিক কৌশলগত শক্তির কেন্দ্রবিন্দু। চীনের দখল শক্তিশালী হলেও পশ্চিমা বিশ্ব বিকল্প পথ খুঁজছে, যার ফলাফল আগামী দশকগুলোতে নির্ধারণ করবে বৈশ্বিক অর্থনীতি ও রাজনীতির ভারসাম্য।