০৬:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতি নিয়ে পুতিনের কড়া সতর্কবার্তা বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে জাপানি সিনেমার ঝলক প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৯৭) দুবাইয়ে ১৫ কেজি স্বর্ণ আত্মসাত: দুই অংশীদারকে ক্ষতিপূরণের রায় টাকা সাফল্যের নিশ্চয়তা নয়, তবে সুযোগের দুয়ার খুলে দেয় সৌরশক্তিনির্ভর কৃষি পাকিস্তানকে জলসংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে প্রিন্স উইলিয়াম ঘোষণা দিলেন: রাজা হলে রাজতন্ত্রে আসবে বড় পরিবর্তন ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যে নতুন অধ্যায় — কৃষিপণ্য ও ওষুধে বাড়ছে রপ্তানি-আমদানির পরিকল্পনা মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৪৯) যুক্তরাজ্যে ইয়ম কিপুর হামলায় কাঁপন: নিহত ২, দেশজুড়ে ইহুদি উপাসনালয়ে কঠোর নিরাপত্তা

জনগণের সেবা এবং সন্ত্রাস দমন করুন: পুলিশের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

  • Sarakhon Report
  • ০৩:২৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 81

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতি দমনে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের সেবা অব্যাহত রাখার এবং এজন্য সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরকে বলবো আপনারা দেশের মানুষের সেবা করেন। দুষ্টের দমন শিস্টের পালন পালন, এটা হচ্ছে পুলিশের মূল মন্ত্র। কাজেই পুলিশ বাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করবে-এটাই সব সময় আমাদের কাম্য।’

প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ছয় দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪’ এর উদ্বোধনকালে দেওয়া প্রধান অতিথি’র ভাষণে একথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে দেশের মানুষ পুলিশের প্রতি সে আস্থা রাখতে পারছে।  কাজেই আপনারা আন্তরিকতার সাথে মানুষের সেবা করবেন, সেটাই আমরা চাই।

সরকার প্রধান বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আর এই ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হলে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা একান্তভাবে অপরিহার্য।’

তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখনই কোন বিপদে পড়ে তখনই আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। কাজেই পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সব সময় চলে আসছে এবং এটাকেই প্রতিষ্ঠা করা একান্তভাবে দরকার। সে কারণেই আমি মনে করি আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের সততা,পেশাদরিত্ব,নিষ্ঠা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা, ত্যাগ, বীরত্ব ও দেশপ্রেম ও মানবীয় মূল্যবোধ নিয়েই জনগণের সেবা করবেন। পুলিশ বাহিনীকে আমরা সেভাবেই গড়ে তুলছি।

১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম পুলিশ সপ্তাহে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে জাতির পিতা প্রদত্ত ভাষণের উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী তাদের জনগণের প্রতি ভালবাসা নিয়ে আরও একনিষ্ঠ হয়ে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।

জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘তোমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ। তোমরা ইংরেজের পুলিশ নও। তোমরা পাকিস্তানি শোষকদের পুলিশ নও। তোমরা জনগণের পুলিশ। তোমাদের কর্তব্য জনগণকে সেবা করা। বাংলার মানুষ চায় তারা শান্তিতে ঘুমাক। তোমাদের কাছ থেকে আশা করে যে, চোর, বদমাশ, গুন্ডা, দুর্নীতিবাজ তাদের ওপর অত্যাচার না করে। তোমাদের কর্তব্য অনেক বেশি।’

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার ভাষণের এই মর্মবাণী ধারণ করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য গভীর দেশপ্রেম ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যাবে, এই আমার প্রত্যাশা।

প্রধানমন্ত্রী খোলা জিপে চড়ে বাংলাদেশ পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন পুলিশ বাহিনী বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী সাহসী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩৫ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-বীরত্ব) এবং ৬০ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম-বীরত্ব) প্রদান করেন।

এছাড়া ৯৫ জন পুলিশ সদস্য বিপিএম সেবা পদক এবং ২১০ জন পিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন তাঁকে স্বাগত জানান।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

 

বাসস

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতি নিয়ে পুতিনের কড়া সতর্কবার্তা

জনগণের সেবা এবং সন্ত্রাস দমন করুন: পুলিশের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

০৩:২৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতি দমনে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের সেবা অব্যাহত রাখার এবং এজন্য সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরকে বলবো আপনারা দেশের মানুষের সেবা করেন। দুষ্টের দমন শিস্টের পালন পালন, এটা হচ্ছে পুলিশের মূল মন্ত্র। কাজেই পুলিশ বাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করবে-এটাই সব সময় আমাদের কাম্য।’

প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ছয় দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪’ এর উদ্বোধনকালে দেওয়া প্রধান অতিথি’র ভাষণে একথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে দেশের মানুষ পুলিশের প্রতি সে আস্থা রাখতে পারছে।  কাজেই আপনারা আন্তরিকতার সাথে মানুষের সেবা করবেন, সেটাই আমরা চাই।

সরকার প্রধান বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আর এই ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হলে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা একান্তভাবে অপরিহার্য।’

তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখনই কোন বিপদে পড়ে তখনই আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। কাজেই পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সব সময় চলে আসছে এবং এটাকেই প্রতিষ্ঠা করা একান্তভাবে দরকার। সে কারণেই আমি মনে করি আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের সততা,পেশাদরিত্ব,নিষ্ঠা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা, ত্যাগ, বীরত্ব ও দেশপ্রেম ও মানবীয় মূল্যবোধ নিয়েই জনগণের সেবা করবেন। পুলিশ বাহিনীকে আমরা সেভাবেই গড়ে তুলছি।

১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম পুলিশ সপ্তাহে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে জাতির পিতা প্রদত্ত ভাষণের উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী তাদের জনগণের প্রতি ভালবাসা নিয়ে আরও একনিষ্ঠ হয়ে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।

জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘তোমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ। তোমরা ইংরেজের পুলিশ নও। তোমরা পাকিস্তানি শোষকদের পুলিশ নও। তোমরা জনগণের পুলিশ। তোমাদের কর্তব্য জনগণকে সেবা করা। বাংলার মানুষ চায় তারা শান্তিতে ঘুমাক। তোমাদের কাছ থেকে আশা করে যে, চোর, বদমাশ, গুন্ডা, দুর্নীতিবাজ তাদের ওপর অত্যাচার না করে। তোমাদের কর্তব্য অনেক বেশি।’

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার ভাষণের এই মর্মবাণী ধারণ করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য গভীর দেশপ্রেম ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যাবে, এই আমার প্রত্যাশা।

প্রধানমন্ত্রী খোলা জিপে চড়ে বাংলাদেশ পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন পুলিশ বাহিনী বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী সাহসী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩৫ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-বীরত্ব) এবং ৬০ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম-বীরত্ব) প্রদান করেন।

এছাড়া ৯৫ জন পুলিশ সদস্য বিপিএম সেবা পদক এবং ২১০ জন পিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন তাঁকে স্বাগত জানান।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

 

বাসস