১০:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
রিয়াদ মেট্রো বিশ্বের দীর্ঘতম চালকবিহীন ট্রেন নেটওয়ার্কের রেকর্ড গড়ল পুলিশ ও এনজিও আইন তড়িঘড়ি পাস না করার আহ্বান ফখরুলের মালয়েশিয়ার পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ভারি বর্ষণ, আকস্মিক বন্যা ও বিপজ্জনক ভ্রমণ পরিস্থিতির সতর্কতা হংকং-এর উঁচু ভবনে অগ্নিকাণ্ড: জরুরি পরিস্থিতিতে উচ্ছেদ কেন এত কঠিন দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা: ইন্দোনেশিয়া-থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়ায় মৃত্যু বাড়ছে শেখ হাসিনার রায় পরবর্তী ধৈর্যে’র রাজনীতি ইমরান খানকে ‘ডেথ সেল’-এ একঘরে আটকে রাখার অভিযোগ: গুজবের মাঝে পরিবারের গভীর উদ্বেগ বরিশাল-ভোলা সেতুর দাবিতে শাহবাগ অবরোধে ভোলাবাসী সিলেটে শাহজালালের মাজারে খেজুরগাছ কাটায় তীব্র ক্ষোভ কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা: সিলেটে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণহানি

পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা, জোরপূর্বক ধর্মান্তর

মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন

পাকিস্তান হিউম্যান রাইটস কমিশন (HRCP) বৃহস্পতিবার তাদের নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে—শিরোনাম “স্ট্রিটস অব ফিয়ার: ফ্রিডম অব রিলিজন অর বিলিফ ইন ২০২৪/২৫”। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, টার্গেট করে হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জনতার হাতে মারধর (মব সহিংসতা), বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ব্যাপক হারে ঘটেছে। কমিশন সতর্ক করেছে যে পাকিস্তানে ধর্মীয় স্বাধীনতা নজিরবিহীন হুমকির মুখে।

জোরপূর্বক ধর্মান্তরের প্রবণতা

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪/২৫ সালে সংখ্যালঘু অল্পবয়সী মেয়েদের নিখোঁজ হওয়ার পর ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করার ঘটনাগুলো অব্যাহত ছিল। সিন্ধু প্রদেশের হিন্দুরা (জনসংখ্যার ৮.৮%) এবং পাঞ্জাবের খ্রিস্টানরা (১.৯%) বারবার এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে দরিদ্র ও নিম্নবর্ণের হিন্দু পরিবারগুলোর মেয়েরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাবশালী মাওলানা মিয়ান আবদুল হক ওরফে মিয়ান মিঠুর নাম উঠে এসেছে, যিনি ঘোঠকির তার মাদ্রাসায় ধর্মান্তরকে উৎসাহ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যুক্তরাজ্য ২০২২ সালে তাকে নিষিদ্ধ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক সময় পুলিশ অপহরণকারীর পক্ষ নিয়েছে এবং বলেছে যে ধর্মান্তরের পর মেয়েকে ফেরত দেওয়া “হারাম”। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ফয়সালাবাদ পুলিশ খ্রিস্টান কিশোরী লাইবা সুহাইলকে উদ্ধার করে, যাকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অন্য অনেক মেয়ে আজও নিখোঁজ।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মীরপুরখাস আদালতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক হিন্দু মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তরিত ও বিয়ে করানোর মামলা ওঠে। একই বছরের এপ্রিল মাসে কোয়েটা থেকে ১৪ বছর বয়সী চাহাত নামের এক হিন্দু কিশোরী নিখোঁজ হয় এবং পরে ভিডিও বার্তায় ধর্মান্তরের দাবি জানায়, যদিও তার বাবা-মা বয়স প্রমাণে দলিল হাজির করেন। মে মাসে ঘোঠকি ও রোহরির হিন্দু পঞ্চায়েত কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় প্রতিবাদ জানায়। জুনে লারকানায় তিন কিশোরী ও এক কিশোরের জোরপূর্বক ধর্মান্তরের অভিযোগ ওঠে।

আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহমদিয়া সম্প্রদায় মারাত্মকভাবে টার্গেট হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে লালামুসায় দাঁতের ডাক্তার জাকারুর রহমান, ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে তৈয়্যব আহমদ, নওকোটে আমির হাসান, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে করাচিতে লঈক চিমা লিঞ্চনের শিকার, কাসুরে মুহাম্মদ আসিফ এবং মে মাসে সারগোধায় সিনিয়র ডাক্তার মাহমুদ শেখকে হত্যা করা হয়।

জাতিসংঘ এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৯টি উপাসনালয় আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ২৬টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সরাসরি ধ্বংস করে। ওকারা, খানেওয়াল, গুজরানওয়ালা, সিয়ালকোট, ভেহারি, শেখুপুরা, গুজরাট ও সারগোধায় এসব ঘটনা ঘটে। এমনকি জানুয়ারিতে সিয়ালকোটের একটি ঐতিহাসিক স্থান, যা পাকিস্তানের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাফরুল্লাহ খানের সঙ্গে যুক্ত ছিল, মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়।

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সহিংসতা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার আইন প্রায়ই ব্যক্তিগত প্রতিশোধ বা আর্থিক স্বার্থ হাসিলে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে শুধু অভিযোগই মৃত্যুদণ্ডের সমান।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পুলিশের হেফাজতে দুই ব্যক্তি নিহত হন। একজন মীরপুরখাসে কথিত পুলিশ এনকাউন্টারে গুলিবিদ্ধ হন, অন্যজন কোয়েটা থানার ভেতর এক পুলিশ কনস্টেবলের হাতে নিহত হন। ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে কোয়েটা ক্যান্টনমেন্ট থানায় কনস্টেবল সাদ খান সরহাদি জনতার চাপের মুখে অভিযুক্ত আবদুল আলিকে গুলি করে হত্যা করে। কয়েকদিন পর নিহতের পরিবার সরহাদিকে ক্ষমা করে দেয় এবং ধর্মীয় সংগঠন ও আইনজীবীরা তার আইনি সহায়তার ঘোষণা দেয়।

কিছুদিন পরই উমেরকোটের এক হাসপাতালের কর্মচারী শাহনওয়াজ কুনওয়ারকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ভিডিও বার্তায় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। দুই দিন পর পুলিশ দাবি করে এনকাউন্টারে তিনি নিহত হয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশকে বীরের মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরিবার দাফন করতে চাইলেও জনতা বাধা দেয়, লাশ বিকৃত করা হয়। পরে তদন্তে প্রকাশ পায়, ঘটনাটি ছিল ভুয়া এনকাউন্টার।

গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক চাপ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মূলধারার গণমাধ্যমে প্রায় উপেক্ষিত থাকে। এমনকি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে চার মাস ধরে চলা একটি “ব্লাসফেমি বিজনেস গ্রুপ” মামলাও পর্যাপ্ত কভারেজ পায়নি। জোরপূর্বক বিয়ে, ধর্মান্তর ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাও সংবাদে খুব একটা গুরুত্ব পায়নি।

কমিশনের মতে, পাকিস্তানে ডানপন্থী গোষ্ঠীগু

লো ক্রমবর্ধমানভাবে বিচার বিভাগ ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ওপর ভয় ও প্রচারণার মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করছে, যা দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আরও বিপজ্জনক পরিবেশ তৈরি করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রিয়াদ মেট্রো বিশ্বের দীর্ঘতম চালকবিহীন ট্রেন নেটওয়ার্কের রেকর্ড গড়ল

পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা, জোরপূর্বক ধর্মান্তর

১১:৪৪:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন

পাকিস্তান হিউম্যান রাইটস কমিশন (HRCP) বৃহস্পতিবার তাদের নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে—শিরোনাম “স্ট্রিটস অব ফিয়ার: ফ্রিডম অব রিলিজন অর বিলিফ ইন ২০২৪/২৫”। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, টার্গেট করে হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জনতার হাতে মারধর (মব সহিংসতা), বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ব্যাপক হারে ঘটেছে। কমিশন সতর্ক করেছে যে পাকিস্তানে ধর্মীয় স্বাধীনতা নজিরবিহীন হুমকির মুখে।

জোরপূর্বক ধর্মান্তরের প্রবণতা

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪/২৫ সালে সংখ্যালঘু অল্পবয়সী মেয়েদের নিখোঁজ হওয়ার পর ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করার ঘটনাগুলো অব্যাহত ছিল। সিন্ধু প্রদেশের হিন্দুরা (জনসংখ্যার ৮.৮%) এবং পাঞ্জাবের খ্রিস্টানরা (১.৯%) বারবার এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে দরিদ্র ও নিম্নবর্ণের হিন্দু পরিবারগুলোর মেয়েরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাবশালী মাওলানা মিয়ান আবদুল হক ওরফে মিয়ান মিঠুর নাম উঠে এসেছে, যিনি ঘোঠকির তার মাদ্রাসায় ধর্মান্তরকে উৎসাহ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যুক্তরাজ্য ২০২২ সালে তাকে নিষিদ্ধ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক সময় পুলিশ অপহরণকারীর পক্ষ নিয়েছে এবং বলেছে যে ধর্মান্তরের পর মেয়েকে ফেরত দেওয়া “হারাম”। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ফয়সালাবাদ পুলিশ খ্রিস্টান কিশোরী লাইবা সুহাইলকে উদ্ধার করে, যাকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অন্য অনেক মেয়ে আজও নিখোঁজ।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মীরপুরখাস আদালতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক হিন্দু মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তরিত ও বিয়ে করানোর মামলা ওঠে। একই বছরের এপ্রিল মাসে কোয়েটা থেকে ১৪ বছর বয়সী চাহাত নামের এক হিন্দু কিশোরী নিখোঁজ হয় এবং পরে ভিডিও বার্তায় ধর্মান্তরের দাবি জানায়, যদিও তার বাবা-মা বয়স প্রমাণে দলিল হাজির করেন। মে মাসে ঘোঠকি ও রোহরির হিন্দু পঞ্চায়েত কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় প্রতিবাদ জানায়। জুনে লারকানায় তিন কিশোরী ও এক কিশোরের জোরপূর্বক ধর্মান্তরের অভিযোগ ওঠে।

আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহমদিয়া সম্প্রদায় মারাত্মকভাবে টার্গেট হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে লালামুসায় দাঁতের ডাক্তার জাকারুর রহমান, ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে তৈয়্যব আহমদ, নওকোটে আমির হাসান, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে করাচিতে লঈক চিমা লিঞ্চনের শিকার, কাসুরে মুহাম্মদ আসিফ এবং মে মাসে সারগোধায় সিনিয়র ডাক্তার মাহমুদ শেখকে হত্যা করা হয়।

জাতিসংঘ এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৯টি উপাসনালয় আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ২৬টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সরাসরি ধ্বংস করে। ওকারা, খানেওয়াল, গুজরানওয়ালা, সিয়ালকোট, ভেহারি, শেখুপুরা, গুজরাট ও সারগোধায় এসব ঘটনা ঘটে। এমনকি জানুয়ারিতে সিয়ালকোটের একটি ঐতিহাসিক স্থান, যা পাকিস্তানের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাফরুল্লাহ খানের সঙ্গে যুক্ত ছিল, মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়।

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সহিংসতা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার আইন প্রায়ই ব্যক্তিগত প্রতিশোধ বা আর্থিক স্বার্থ হাসিলে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে শুধু অভিযোগই মৃত্যুদণ্ডের সমান।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পুলিশের হেফাজতে দুই ব্যক্তি নিহত হন। একজন মীরপুরখাসে কথিত পুলিশ এনকাউন্টারে গুলিবিদ্ধ হন, অন্যজন কোয়েটা থানার ভেতর এক পুলিশ কনস্টেবলের হাতে নিহত হন। ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে কোয়েটা ক্যান্টনমেন্ট থানায় কনস্টেবল সাদ খান সরহাদি জনতার চাপের মুখে অভিযুক্ত আবদুল আলিকে গুলি করে হত্যা করে। কয়েকদিন পর নিহতের পরিবার সরহাদিকে ক্ষমা করে দেয় এবং ধর্মীয় সংগঠন ও আইনজীবীরা তার আইনি সহায়তার ঘোষণা দেয়।

কিছুদিন পরই উমেরকোটের এক হাসপাতালের কর্মচারী শাহনওয়াজ কুনওয়ারকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ভিডিও বার্তায় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। দুই দিন পর পুলিশ দাবি করে এনকাউন্টারে তিনি নিহত হয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশকে বীরের মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরিবার দাফন করতে চাইলেও জনতা বাধা দেয়, লাশ বিকৃত করা হয়। পরে তদন্তে প্রকাশ পায়, ঘটনাটি ছিল ভুয়া এনকাউন্টার।

গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক চাপ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মূলধারার গণমাধ্যমে প্রায় উপেক্ষিত থাকে। এমনকি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে চার মাস ধরে চলা একটি “ব্লাসফেমি বিজনেস গ্রুপ” মামলাও পর্যাপ্ত কভারেজ পায়নি। জোরপূর্বক বিয়ে, ধর্মান্তর ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাও সংবাদে খুব একটা গুরুত্ব পায়নি।

কমিশনের মতে, পাকিস্তানে ডানপন্থী গোষ্ঠীগু

লো ক্রমবর্ধমানভাবে বিচার বিভাগ ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ওপর ভয় ও প্রচারণার মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করছে, যা দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আরও বিপজ্জনক পরিবেশ তৈরি করছে।