বাজারে বিভিন্ন সবজির দাম বাড়ার ফলে নিম্নআয়ের মানুষদের রুটিন খাদ্য বদলে যাচ্ছে। তারা এখন বেশি করে সস্তা ও সহজলভ্য আলুর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে—কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি পুষ্টিকাহানি ও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।
বর্তমানে প্রতিদিনের রান্নাবান্দায় ব্যবহৃত বেগুন, পটল, টমেটোসহ নানা সবজির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সংগ্রামী পরিবারের পক্ষে নিয়মিত সবজি কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে। বাজারে গিয়ে ক্রেতারা এখন আরও হিসাব করে কেনাকাটা করছেন; অনেকের ঝুঁকি-ভিত্তিক রেসিপি বদলে গেছে।
আলু তুলনামূলকভাবে সস্তা থাকায় অনেক গরিব পরিবার আলুকে প্রধান খাদ্য হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। আলু কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে, কিন্তু প্রোটিন, লোহা ও ভিটামিনের ঘাটতি ঢাকাতে পারে না। তাই আলু একাই পুষ্টি সমাধান নয়।

মানিকগঞ্জের হাটে সবজি কেনতে আসা দিনমজুর রহিম মিয়া জানান, আগে পরিবারে বেগুন-টমেটো-পটল থাকত; এখন দুই সন্তান নিয়ে আলু ভাজি আর ভাত দিয়েই দিন চলে। তার মতো হাজারো পরিবারই এখন আলু নির্ভরতার দিকে ঝুঁকছে।
দীর্ঘমেয়াদে আলু নির্ভর খাদ্যশৈলী শিশুর বৃদ্ধি, রক্তাল্পতা ও অন্যান্য পুষ্টিহীনতার ঝুঁকি বাড়ায়। জাতীয়ভাবে দেখলে ন্যূনমাত্রার পুষ্টি সুরক্ষা না থাকলে স্বাস্থ্যভ care ব্যয় ও কর্মক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
মৌসুমি সস্তা শাক-সবজি, সুলভ ডাল ও ডিম বিকল্প পুষ্টির উৎস হিসেবে প্রচার করা দরকার। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে সুলভ মূল্যে পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ, বাজার পর্যবেক্ষণ ও দর নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি সম্প্রদায়ভিত্তিক ভ্রাম্যমাণ হাট বা কৃষক-গ্রাহক সরাসরি বিপণন বাড়ালে মধ্যস্বত্বভোগী কমে দরও নেমে আসবে।
 
																			 সারাক্ষণ রিপোর্ট
																সারাক্ষণ রিপোর্ট								 


















