১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও লাভে এগিয়ে টয়োটা, ট্রাম্পের শুল্কের মাঝেও বিক্রিতে রেকর্ড মার্থা ওয়াশিংটন থেকে মেলানিয়া ট্রাম্প: যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডিদের পোশাকে ইতিহাস, রাজনীতি ও শক্তির প্রতিচ্ছবি চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলির ঘটনায় কী জানা যাচ্ছে; দলগুলো কেন ক্যাডার রাখে? ট্রাম্প যখন যুদ্ধ শেষের দম্ভ দেখাচ্ছেন, চীন তখন নীরবে শান্তির পথে কাজ করছে অটিজম চিকিৎসার অপ্রতিষ্ঠিত পথে প্রতিটি পরিবার সাত দশক পর ব্রিটিশ মিউজিক্যালে নতুন জীবন পেল প্রিয় ভালুক সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান শৈশবের গভীর ক্ষত থেকে লেখা এক রন্ধনশিল্পীর আত্মস্বীকারোক্তি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৪) ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৯)

  • নাঈম হক
  • ০৯:০০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
  • 76

গৃহযুদ্ধ বন্ধের স্বার্থে কুমিনটং ও কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যকার সংঘর্ষের অবসান আনার জন্য চিয়াং কাই শেকের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। 

কিন্তু সদ্য আবির্ভূত ‘সমগ্র চীনে’র বিশালতায় জাপান বেশ ভীতিমিশ্রিত অস্বস্তিতে পড়ে। জাপান তার উৎপাদন সেক্টরের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের জন্য ১৯৩১ সালে মাজুরিয়া আক্রমণ করে এবং বিজয়ী জাপান সেখানে একটি পুতুল সরকার অধিষ্ঠিত করে। চিয়াং কাই শেকের ব্যাপারটি পছন্দ হয় না। ফলস্বরূপ, ১৯৩১ থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত ব্যাপ্ত সময়কালে বিবিধ ছুতানাতা দেখিয়ে দুই পক্ষই বিচ্ছিন্ন যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

একই সময়ে চিয়াং কাই শেক তাঁর এক নম্বর রাজনৈতিক শত্রু কমিউনিস্ট পার্টিকে সমূলে নিশ্চিহ্নকরণ অভিযান অব্যাহত রাখেন। ১৯৩৪ সালে তিনি ত্রিশ হাজার কমিউনিস্টকে “শেনসি প্রদেশে’র পাবর্ত্য অঞ্চলে পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য করেন; তবে সম্পূর্ণভাবে কমিউনিস্ট নির্মূলে সমর্থ হন না। এই পশ্চাদপসরণ ‘লং মার্চ” নামে পরিচিতি পায়।

তাছাড়াও, রাং কাই শেকের নিজের পার্টির কিছু প্রভাবশালী সদস্য কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আপোষরফা করে গৃহযুদ্ধ বন্ধের পক্ষে ছিল এবং চিয়াং কাই শেককে আপোষরফায় আসতে বাধ্য করার জন্য তারা তাঁকে অপহরণ করে আটকে রাখে। একই সময়ে “চায়না ডেমোক্রেটিক লীগ” নামক তিন পার্টি নিয়ে গঠিত ‘প্রেশার গ্রুপ’-ও গৃহযুদ্ধ বন্ধের স্বার্থে কুমিনটং ও কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যকার সংঘর্ষের অবসান আনার জন্য চিয়াং কাই শেকের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করে।

চিয়াং কাই শেকের নিরাপদ মুক্তির শর্ত পালনের জন্য ‘কুমিনটং’ কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আপোষে আসতে বাধ্য হয়। ১৯৩৬ সালের ডিসেম্বর মাসের চার তারিখে চিয়াং কাই শেক যখন মুক্তি পান- আবিস্কার করেন যে আলোচনার মাধ্যমে কুমিনটং ও কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে “দ্বিতীয় ইউনাইটেড ফ্রন্টে’র সৃষ্টি প্রায় সমাপ্ত। ১৯৩৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর “দ্বিতীয় ইউনাইটেড ফ্রন্ট” সরকারিভাবে গঠিত হয়।

(চলবে)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও লাভে এগিয়ে টয়োটা, ট্রাম্পের শুল্কের মাঝেও বিক্রিতে রেকর্ড

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৯)

০৯:০০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

গৃহযুদ্ধ বন্ধের স্বার্থে কুমিনটং ও কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যকার সংঘর্ষের অবসান আনার জন্য চিয়াং কাই শেকের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। 

কিন্তু সদ্য আবির্ভূত ‘সমগ্র চীনে’র বিশালতায় জাপান বেশ ভীতিমিশ্রিত অস্বস্তিতে পড়ে। জাপান তার উৎপাদন সেক্টরের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের জন্য ১৯৩১ সালে মাজুরিয়া আক্রমণ করে এবং বিজয়ী জাপান সেখানে একটি পুতুল সরকার অধিষ্ঠিত করে। চিয়াং কাই শেকের ব্যাপারটি পছন্দ হয় না। ফলস্বরূপ, ১৯৩১ থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত ব্যাপ্ত সময়কালে বিবিধ ছুতানাতা দেখিয়ে দুই পক্ষই বিচ্ছিন্ন যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

একই সময়ে চিয়াং কাই শেক তাঁর এক নম্বর রাজনৈতিক শত্রু কমিউনিস্ট পার্টিকে সমূলে নিশ্চিহ্নকরণ অভিযান অব্যাহত রাখেন। ১৯৩৪ সালে তিনি ত্রিশ হাজার কমিউনিস্টকে “শেনসি প্রদেশে’র পাবর্ত্য অঞ্চলে পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য করেন; তবে সম্পূর্ণভাবে কমিউনিস্ট নির্মূলে সমর্থ হন না। এই পশ্চাদপসরণ ‘লং মার্চ” নামে পরিচিতি পায়।

তাছাড়াও, রাং কাই শেকের নিজের পার্টির কিছু প্রভাবশালী সদস্য কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আপোষরফা করে গৃহযুদ্ধ বন্ধের পক্ষে ছিল এবং চিয়াং কাই শেককে আপোষরফায় আসতে বাধ্য করার জন্য তারা তাঁকে অপহরণ করে আটকে রাখে। একই সময়ে “চায়না ডেমোক্রেটিক লীগ” নামক তিন পার্টি নিয়ে গঠিত ‘প্রেশার গ্রুপ’-ও গৃহযুদ্ধ বন্ধের স্বার্থে কুমিনটং ও কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যকার সংঘর্ষের অবসান আনার জন্য চিয়াং কাই শেকের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করে।

চিয়াং কাই শেকের নিরাপদ মুক্তির শর্ত পালনের জন্য ‘কুমিনটং’ কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আপোষে আসতে বাধ্য হয়। ১৯৩৬ সালের ডিসেম্বর মাসের চার তারিখে চিয়াং কাই শেক যখন মুক্তি পান- আবিস্কার করেন যে আলোচনার মাধ্যমে কুমিনটং ও কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে “দ্বিতীয় ইউনাইটেড ফ্রন্টে’র সৃষ্টি প্রায় সমাপ্ত। ১৯৩৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর “দ্বিতীয় ইউনাইটেড ফ্রন্ট” সরকারিভাবে গঠিত হয়।

(চলবে)