মালয়েশিয়ার সরকার আবাসন খাতে “বিল্ড-দেন-সেল” মডেল চালুর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে পরিত্যক্ত আবাসন প্রকল্প বন্ধ করার লক্ষ্য নিয়েছে। এই উদ্যোগে ডেভেলপারদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা আসছে ২০২৬ সালের বাজেটের পর।
নতুন মডেল ও সরকারের পরিকল্পনা
আবাসন ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এনগা কোর মিং জানিয়েছেন, “বিল্ড-দেন-সেল” মডেল বাস্তবায়নে সফল ডেভেলপাররা সরকারের প্রণোদনা পাবেন। এ বিষয়টি ১৩তম মালয়েশিয়া পরিকল্পনায় (13MP) অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
মন্ত্রী জানান, এই নীতি ২০২৬ সালের বাজেটের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে সক্রিয় পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের পরিত্যক্ত আবাসন প্রকল্প চিরতরে বন্ধ করা।
রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও অর্থায়নের চ্যালেঞ্জ
মন্ত্রী মনে করেন, “বিল্ড-দেন-সেল” মডেলের জন্য নীতিগত কাঠামো ইতিমধ্যেই রয়েছে। এখন মূল বিষয় হলো রাজনৈতিক সদিচ্ছা। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, বেশিরভাগ ডেভেলপার এই মডেলে ব্যাংক থেকে সহজে ঋণ পাবেন না। ফলে বাস্তবায়নে সঠিক নীতি সহায়তা অপরিহার্য।
আরবান রিনিউয়াল বিল: শহর পুনর্গঠনের উদ্যোগ
নিজের বক্তব্যে মন্ত্রী নগর পুনর্গঠন বিলের গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই বিল মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের পুরনো ও অবহেলিত শহরগুলোকে নবজীবন দেবে।
তার ভাষায়, নগর পুনর্গঠন কোনো বিলাসিতা নয়, বরং জাতীয় অগ্রাধিকার। মানুষকে জরাজীর্ণ ও অনিরাপদ ভবনে বসবাস করতে দেওয়া যায় না।
সফল উদাহরণ ও ইতিবাচক প্রভাব
মন্ত্রী উদাহরণ হিসেবে রাজাক ম্যানশন ও রেসিডেন্সি কেরিঞ্চি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। এসব পুনর্গঠন প্রকল্প স্থানীয়দের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে এবং সম্পত্তির মূল্যও বেড়েছে।
এছাড়া, তিনি জানান, বিলটি কার্যকর করতে ফেডারেল ও প্রাদেশিক পর্যায়ে মধ্যস্থতা কমিটি থাকবে। সরকারের প্রত্যক্ষ তদারকিতে সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত ফলাফল নিশ্চিত করা হবে।
স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততা
এ পর্যন্ত সরকার ১০৫টিরও বেশি পরামর্শ সভা করেছে। এতে প্রাদেশিক সরকার, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ, শিল্প প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন এবং বাসিন্দাদের সংগঠনগুলো অংশ নিয়েছে।
মন্ত্রী সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, আসন্ন অধিবেশনে এই বিলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পাঠ সমর্থন করার জন্য।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















