পরিণীতা ছবির ২০ বছর পূর্তিতে অভিনেত্রী রাইমা সেন শুটিংয়ের নানা স্মৃতি ফিরে দেখলেন। ছবিতে তিনি কোয়েলের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, যে চরিত্রে তার প্রাণবন্ত উপস্থিতি ছবিতে আলাদা মাত্রা যোগ করেছিল। রাইমা জানালেন, সঞ্জয় দত্তের প্রতি তার বাস্তব জীবনের আকর্ষণই তাকে সহজে চরিত্রে ডুবে যেতে সাহায্য করেছিল।
ছবির কাহিনি ঘিরে ছিল বিদ্যা বালান, সাইফ আলি খান ও সঞ্জয় দত্তের প্রেমের টানাপোড়েন। তবে রাইমার প্রাণবন্ত কোয়েল চরিত্র ছবিতে হালকা ও মিষ্টি আবহ তৈরি করেছিল, যা আজও দর্শকদের মনে রয়ে গেছে।
প্রাকৃতিক অভিনয় ও সঞ্জয় দত্তের প্রতি আকর্ষণ
এক সাক্ষাৎকারে রাইমা জানান, একটি দৃশ্যে তিনি দরজা খুলে গিরীশকে দেখেন এবং স্বাভাবিকভাবেই লজ্জায় লাল হয়ে যান। কারণ, ছবিতে কোয়েল চরিত্রটি গিরীশের প্রতি আকৃষ্ট ছিল। রাইমা স্বীকার করেন, বাস্তবে ছোটবেলা থেকেই সঞ্জয় দত্তের প্রতি তার মুগ্ধতা ছিল। সেই ব্যক্তিগত অনুভূতিই পর্দায় সহজভাবে ফুটে উঠেছিল।
বিদ্যা বালানের পাশে এক নতুন বন্ধুত্ব
পরিণীতা ছিল বিদ্যা বালানের বলিউডে বড়সড় অভিষেক। যদিও তিনি এর আগে বাংলা সিনেমা ‘ভালো থেকো’তে অভিনয় করেছিলেন। রাইমা স্মরণ করেন, বিদ্যা সেটে কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। বয়সে কাছাকাছি হলেও বিদ্যা তাকে ছোট বোনের মতো দেখতেন, দিতেন পরামর্শ ও সমর্থন। শুটিংয়ের সময় থেকেই তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, যা এখনও অটুট।
সম্প্রতি পরিণীতা-সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে দেখা হওয়ার পর বিদ্যা আবারও তাকে মিস করার কথা জানিয়েছেন। রাইমা আবেগভরে মনে করলেন, ২০ বছর আগে বিদ্যার সঙ্গে তার প্রথম শিরডি সফর, যা এবার নতুন করে স্মৃতিতে ফিরে এসেছে।
সাইফ আলি খানের সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্ত
রাইমার চরিত্রে সাইফ আলি খানের শেখরের সঙ্গে দৃশ্য কম ছিল। কিন্তু যতটুকু সময় সেটে কেটেছে, তা ছিল আনন্দে ভরা। রাইমা জানালেন, সাইফের দারুণ রসবোধ ও প্রাণবন্ত আচরণ পুরো শুটিংকে প্রাণবন্ত করে তুলত। তার জন্য একটিও দিন একঘেয়ে লাগেনি।
দুই দশক পরও পরিণীতা ছবিটি ১৯৬২ সালের কলকাতার আবহ ফিরিয়ে এনে দর্শকদের মুগ্ধ করছে। আর রাইমা সেনের আন্তরিক অভিনয় ছবির স্মরণীয় অংশ হয়ে আছে।
রাইমা সেনের স্মৃতিচারণ: সঞ্জয় দত্তের প্রতি সেদিনের অনুরাগ
-
সারাক্ষণ রিপোর্ট
- ১১:৪৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
- 33
জনপ্রিয় সংবাদ