সমীকার বা সমক্রিয়া বলেছেন। সম অর্থাৎ সমান ক্রিয়া অর্থাৎ করা। সুতরাং সমক্রিয়ার অর্থ হচ্ছে সমান করা।
সমীকরণ ও তার শ্রেণী বিভাগ
সমীকরণ শব্দটি ব্রহ্মগুপ্ত তাঁর ব্রাহ্মস্ফুট সিদ্ধান্তে চান্তে সমকরণ বা সমীকরণ বলেছেন। আরও সহজে বলা হয় “সম”। টীকাকার পৃথকস্বামী সমীকরণকে “সাম্য” বলেছেন। শ্রীপতি বলেছেন সদৃশ-করণ, দৃষ্টান্তস্বরূপ সিদ্ধান্তশেখরের চতুর্দশ অধ্যায়ের প্রথম শোকটির উদ্ধৃতি দেওয়া হল।
কাবস্বর্ণকুটককৃতি প্রকৃতি প্রভেদা
নব্যক্তবর্ণসদৃশীকরণে চ বীজে
তে মধ্যমাহরণভাবিতকে চ বৃদ্ধা
নিস্মংশয়ং ভবতি দৈববিদাং গুরুত্বম,।
অর্থাৎ “ধন ঋণ কুট্টক, বর্গপ্রকৃতি, অব্যক্ত সমীকরণ, অনেকবর্ণ সমীকরণ, মধ্যমাহরণ এবং ভাবিত প্রভৃতি জ্ঞাত হইলে দৈববিৎদের মধ্যে তাহার গুরুত্ব হয়।”
এ প্রসঙ্গে শুধু ব্রহ্মগুপ্তের শ্লোকটি উদ্ধৃত করছি বর্ণ প্রমাণ ভাবিত যাতো ভবতীষ্টবর্ণ সঙ্ খ্যৈবম,। সিদ্ধতি বিনাহপি ভাবিত সমকরণাত, কিং কৃতং তদতঃ।
যাইহোক আমরা দেখলাম ইংরাজীতে যাকে equation বলা হয়েছে ভারতীয়রা সমীকরণ, সমীকার বা সমক্রিয়া বলেছেন। সম অর্থাৎ সমান ক্রিয়া অর্থাৎ করা। সুতরাং সমক্রিয়ার অর্থ হচ্ছে সমান করা।
সমীকরণ গঠন করতে গিয়ে পৃথুদকস্বামী বলেছেন অজ্ঞাত রাশির পরিবর্তে যাবৎ তাবৎ বসাও। তারপর গুণ, ভাগ ইত্যাদি দুইটি পক্ষ করে দুই পক্ষ সমান কর। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সমীকরণটি কিভাবে লেখা হত?
বাকশালীর পাণ্ডুলিপিতে সমীকরণ লেখা হত এই ভাবে
![]()
এটিকে আধুনিক বীজগণিতের ভাষায় প্রকাশ করলে দাঁড়ায়
![]()
(চলবে)
প্রদীপ কুমার মজুমদার 



















