১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও লাভে এগিয়ে টয়োটা, ট্রাম্পের শুল্কের মাঝেও বিক্রিতে রেকর্ড মার্থা ওয়াশিংটন থেকে মেলানিয়া ট্রাম্প: যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডিদের পোশাকে ইতিহাস, রাজনীতি ও শক্তির প্রতিচ্ছবি চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলির ঘটনায় কী জানা যাচ্ছে; দলগুলো কেন ক্যাডার রাখে? ট্রাম্প যখন যুদ্ধ শেষের দম্ভ দেখাচ্ছেন, চীন তখন নীরবে শান্তির পথে কাজ করছে অটিজম চিকিৎসার অপ্রতিষ্ঠিত পথে প্রতিটি পরিবার সাত দশক পর ব্রিটিশ মিউজিক্যালে নতুন জীবন পেল প্রিয় ভালুক সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান শৈশবের গভীর ক্ষত থেকে লেখা এক রন্ধনশিল্পীর আত্মস্বীকারোক্তি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৪) ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-১৩)

  • নাঈম হক
  • ০৯:০০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 62

১৯৪০ সালে জাপানি বাহিনীর বিনাযুদ্ধে ফরাসি ইন্দো-চীন দখল দুই দেশের সম্পকের অবনতিতে ঘৃতাহুতির কাজ করে।

১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইয়াল্টায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ইয়ান্ট। কনফারেন্সে গৃহীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তমালা অনুযায়ি সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৪৫ ভালের এপ্রিল মাসে জাপান-সোভিয়েত ইউনিয়ন চুক্তি বাতিল হয়ে যায় এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে জাপান আক্রমণ করে। অর্থাৎ জাপানের সঙ্গে “অনাক্রমণ চুক্তি” হওয়ার দরুণ চীন প্রায় চার বছর ঘরে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে যে নিয়মিত সামরিক ও অন্যান্য চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও স্বস্তি আনে।

কারণ, চীন-সোভিয়েত ইউনিয়ন চুক্তির সাপ্লাই পেরে আসছিলো, সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এক অর্থে, এই “অনাক্রমণ মাধ্যমে চীনকে উদার হতে সমর্থন এবং সামরিক ও অন্যান্য সাপ্লাই প্রদানের মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন চীনে আর প্রভাব বিস্তার করছে আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত অস্বস্তিকর বোধ করছিল। অবশ্য ১৯৪০-১৯৪১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র জাপানের বিরুদ্ধে বিবিধ রকমের বয়কট জারি শুরু করে।

জাপান তার প্রয়োজনীয় জ্বালানির যে আশি শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করত, ১৯৪১ সালের জুন মাসে, ইন্দো-চীন দখলের পরে, জাপানকে ইস্পাতসহ জ্বালানি বফজানি একেবারে বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন জ্ঞাপন করে। তাছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের ভাড়াটে সৈনিকরা (মার্সিনারি) যেমন, “ফ্লাইং টাইগারস”, চীনকে আকাশযুদ্ধে সরাসরি সাহায্য প্রদান শুরু করে।

“মার্কো-পোলো ব্রিজ ইনসিডেন্টের’ অজুহাতে চীনের সঙ্গে জাপানের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া এবং কেবলমাত্র জাপানের সঙ্গে অন্যায় অ-সম চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চীনকে বাধ্য করার জাপানি প্রয়াসের কারণে ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র-জাপান সম্পর্ক চরম অবস্থায় বিরাজ করে। ১৯৪০ সালে জাপানি বাহিনীর বিনাযুদ্ধে ফরাসি ইন্দো-চীন দখল দুই দেশের সম্পকের অবনতিতে ঘৃতাহুতির কাজ করে। ১৯৪১ সালে কিছু বড়ো মাপের ঘটনা ঘটে; ১৯৪১ সালের সাত ডিসেম্বর জাপান মার্কিন নৌ-ঘাঁটি পার্ল হার্বার আক্রমণ করে।

সমসাময়িককালে জাপান ফিলিপাইন, গুয়াম, ব্রিটিশ মালয় ও সিঙ্গাপুরে ব্রিটিশ ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এবং দুর্ভাগ্য যে জাপানের বিরুদ্ধে স্থল, নৌ ও আকাশে বিট্রিশ বাহিনী খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না। এমন এক পরিস্থিতে জাপান ১৯৪১ সালের আঠারোই ডিসেম্বর ব্রিটিশ হংকং আক্রমণ করে। পার্ল হার্বার ঘটনার প্রায় অব্যবহিত পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে পদার্পন করে ও জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

(চলবে)

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও লাভে এগিয়ে টয়োটা, ট্রাম্পের শুল্কের মাঝেও বিক্রিতে রেকর্ড

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-১৩)

০৯:০০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

১৯৪০ সালে জাপানি বাহিনীর বিনাযুদ্ধে ফরাসি ইন্দো-চীন দখল দুই দেশের সম্পকের অবনতিতে ঘৃতাহুতির কাজ করে।

১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইয়াল্টায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ইয়ান্ট। কনফারেন্সে গৃহীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তমালা অনুযায়ি সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৪৫ ভালের এপ্রিল মাসে জাপান-সোভিয়েত ইউনিয়ন চুক্তি বাতিল হয়ে যায় এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে জাপান আক্রমণ করে। অর্থাৎ জাপানের সঙ্গে “অনাক্রমণ চুক্তি” হওয়ার দরুণ চীন প্রায় চার বছর ঘরে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে যে নিয়মিত সামরিক ও অন্যান্য চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও স্বস্তি আনে।

কারণ, চীন-সোভিয়েত ইউনিয়ন চুক্তির সাপ্লাই পেরে আসছিলো, সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এক অর্থে, এই “অনাক্রমণ মাধ্যমে চীনকে উদার হতে সমর্থন এবং সামরিক ও অন্যান্য সাপ্লাই প্রদানের মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন চীনে আর প্রভাব বিস্তার করছে আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত অস্বস্তিকর বোধ করছিল। অবশ্য ১৯৪০-১৯৪১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র জাপানের বিরুদ্ধে বিবিধ রকমের বয়কট জারি শুরু করে।

জাপান তার প্রয়োজনীয় জ্বালানির যে আশি শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করত, ১৯৪১ সালের জুন মাসে, ইন্দো-চীন দখলের পরে, জাপানকে ইস্পাতসহ জ্বালানি বফজানি একেবারে বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন জ্ঞাপন করে। তাছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের ভাড়াটে সৈনিকরা (মার্সিনারি) যেমন, “ফ্লাইং টাইগারস”, চীনকে আকাশযুদ্ধে সরাসরি সাহায্য প্রদান শুরু করে।

“মার্কো-পোলো ব্রিজ ইনসিডেন্টের’ অজুহাতে চীনের সঙ্গে জাপানের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া এবং কেবলমাত্র জাপানের সঙ্গে অন্যায় অ-সম চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চীনকে বাধ্য করার জাপানি প্রয়াসের কারণে ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র-জাপান সম্পর্ক চরম অবস্থায় বিরাজ করে। ১৯৪০ সালে জাপানি বাহিনীর বিনাযুদ্ধে ফরাসি ইন্দো-চীন দখল দুই দেশের সম্পকের অবনতিতে ঘৃতাহুতির কাজ করে। ১৯৪১ সালে কিছু বড়ো মাপের ঘটনা ঘটে; ১৯৪১ সালের সাত ডিসেম্বর জাপান মার্কিন নৌ-ঘাঁটি পার্ল হার্বার আক্রমণ করে।

সমসাময়িককালে জাপান ফিলিপাইন, গুয়াম, ব্রিটিশ মালয় ও সিঙ্গাপুরে ব্রিটিশ ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এবং দুর্ভাগ্য যে জাপানের বিরুদ্ধে স্থল, নৌ ও আকাশে বিট্রিশ বাহিনী খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না। এমন এক পরিস্থিতে জাপান ১৯৪১ সালের আঠারোই ডিসেম্বর ব্রিটিশ হংকং আক্রমণ করে। পার্ল হার্বার ঘটনার প্রায় অব্যবহিত পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে পদার্পন করে ও জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

(চলবে)