০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ডেল ১৬, নিকন ZR আর ওনি ভোল্ট ২: এক সপ্তাহের গ্যাজেট মানচিত্র পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩৫) চীনের নতুন স্ট্যাটাস সিম্বল: আর্ক’টেরিক্সের এক হাজার ডলারের জ্যাকেট প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৩৬) স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এ উইল বায়ারস এখন জাদুকর—টেবিল রিড ভিডিওতে উচ্ছ্বসিত সহশিল্পীরা ভারতীয় কর্মীদের রাশিয়ায় চলাচল সহজ করা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করার ব্যাপারে সম্মতি ক্লেবার মেনডোনসা ফিলহোর ‘দ্য সিক্রেট এজেন্ট’: একটি মজাদার রাজনৈতিক থ্রিলার কষ্ট না হলে বিশ্বাস জন্মায় না: এক্রিভিয়া প্রতিষ্ঠাতা রেক্সহেপ রেক্সহেপির পথচলার গল্প ইউক্রেনজুড়ে রুশ ড্রোন–মিসাইলের নজিরবিহীন হামলা স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের সঙ্গে অসদাচরণের জেরে এমএমসিএইচ চিকিৎসক সাময়িক বরখাস্ত

সুদানে ভয়াবহ ভূমিধসে অন্তত ১ হাজার মানুষের প্রাণহানি

ভূমিধসের ঘটনা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলের দূরবর্তী মার্রা পর্বতমালায় ভয়াবহ ভূমিধসে অন্তত এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মি। রবিবার টানা কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির কারণে এই ভূমিধস ঘটে। এতে উত্তর দারফুর অঙ্গরাজ্যের তারাসিন গ্রাম প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দাবি, পুরো গ্রামে কেবল একজন মানুষ জীবিত বেঁচে আছেন।

আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন

ঘটনার পর বিদ্রোহী সংগঠনটি জাতিসংঘসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে জরুরি মানবিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। অনেক মানুষ ইতোমধ্যেই নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে মার্রা পর্বতমালায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। কারণ, সুদানি সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে যুদ্ধ তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছিল।

স্থানীয় প্রতিক্রিয়া

দারফুরের সেনাবাহিনী-সমর্থিত গভর্নর মিন্নি মিনাওয়ি এই ভূমিধসকে “মানবিক বিপর্যয়” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

পটভূমি: গৃহযুদ্ধ ও সংকট

২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানি সেনা ও আরএসএফের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এর ফলে দেশজুড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে এবং পশ্চিম দারফুরে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন হিসাব থাকলেও গত বছর এক মার্কিন কর্মকর্তা অনুমান করেছিলেন, এই যুদ্ধে প্রায় এক লাখ পঞ্চাশ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যেই প্রায় এক কোটি বিশ লাখ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

ভূমিধসের এলাকায় নিয়ন্ত্রণ

যে অঞ্চলে ভূমিধস ঘটেছে, সেটি সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মির নিয়ন্ত্রণে। গোষ্ঠীর কিছু অংশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা সেনাবাহিনীর পাশে থেকে আরএসএফের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। অনেক দারফুরি মনে করেন, আরএসএফ ও তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা পরিকল্পিতভাবে দারফুরকে একটি আরব-শাসিত ভূখণ্ডে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ডেল ১৬, নিকন ZR আর ওনি ভোল্ট ২: এক সপ্তাহের গ্যাজেট মানচিত্র

সুদানে ভয়াবহ ভূমিধসে অন্তত ১ হাজার মানুষের প্রাণহানি

১১:৪০:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভূমিধসের ঘটনা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলের দূরবর্তী মার্রা পর্বতমালায় ভয়াবহ ভূমিধসে অন্তত এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মি। রবিবার টানা কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির কারণে এই ভূমিধস ঘটে। এতে উত্তর দারফুর অঙ্গরাজ্যের তারাসিন গ্রাম প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দাবি, পুরো গ্রামে কেবল একজন মানুষ জীবিত বেঁচে আছেন।

আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন

ঘটনার পর বিদ্রোহী সংগঠনটি জাতিসংঘসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে জরুরি মানবিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। অনেক মানুষ ইতোমধ্যেই নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে মার্রা পর্বতমালায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। কারণ, সুদানি সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে যুদ্ধ তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছিল।

স্থানীয় প্রতিক্রিয়া

দারফুরের সেনাবাহিনী-সমর্থিত গভর্নর মিন্নি মিনাওয়ি এই ভূমিধসকে “মানবিক বিপর্যয়” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

পটভূমি: গৃহযুদ্ধ ও সংকট

২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানি সেনা ও আরএসএফের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এর ফলে দেশজুড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে এবং পশ্চিম দারফুরে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন হিসাব থাকলেও গত বছর এক মার্কিন কর্মকর্তা অনুমান করেছিলেন, এই যুদ্ধে প্রায় এক লাখ পঞ্চাশ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যেই প্রায় এক কোটি বিশ লাখ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

ভূমিধসের এলাকায় নিয়ন্ত্রণ

যে অঞ্চলে ভূমিধস ঘটেছে, সেটি সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মির নিয়ন্ত্রণে। গোষ্ঠীর কিছু অংশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা সেনাবাহিনীর পাশে থেকে আরএসএফের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। অনেক দারফুরি মনে করেন, আরএসএফ ও তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা পরিকল্পিতভাবে দারফুরকে একটি আরব-শাসিত ভূখণ্ডে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করছে।