০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
ইউটিউবে রেকর্ড ভিউ, তবু ‘বেবি শার্ক’ নির্মাতার আয় সীমিত কেন” চীনের এআই দৌড়ে তীব্র প্রতিযোগিতা, লোকসানে কেঁপে উঠল বাইদু গোপন সসের নিরাপত্তায় নতুন জোর দিচ্ছে রেইজিং কেইন’স  সিডনিতে জমজমাট ২০২৫ এআরআইএ অ্যাওয়ার্ড, এগিয়ে নিনাজারাচি ও ডম ডোলা তাইওয়ানের স্যাটেলাইট যুগের সূচনা: স্পেসএক্স উৎক্ষেপণে বড় অগ্রগতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৯) শেয়ারবাজারে টানা উত্থান, বিনিয়োগকারীদের মনোভাব আরও ইতিবাচক সিরাজগঞ্জে ব্র্যাক–ফিলিপস ফাউন্ডেশনের নতুন চার হেলথ সেন্টার প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমলেও আস্থার লড়াইয়ে এগোচ্ছে চীন কাশ্মীরি মানেই সন্ত্রাসী নন- ওমর আব্দুল্লাহ

বাকৃবি প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট: ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’ প্রসঙ্গ

একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত বা ‘কম্বাইন্ড’ ডিগ্রি ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীনের সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় কম্বাইন্ড ডিগ্রির সমাধানে গঠিত কমিটির ছয় দফা সুপারিশ সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করা হয়


শিক্ষকদের আটকে রাখা ও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়া

সভা শেষে শিক্ষার্থীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর জন্য প্রস্তুত থাকলেও পরে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় তারা প্রায় ৩০০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে মিলনায়তনে আটকে রাখে।
আটকদের মধ্যে ছিলেন বৃদ্ধ, হৃদরোগী, ডায়াবেটিস রোগী এবং গর্ভবতী নারী শিক্ষিকা।

শিক্ষকরা বারবার আলোচনার প্রস্তাব দিলেও শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে। দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা তারা তীব্র গরম ও অনাহারে অবস্থান করেন। এমনকি জেলা প্রশাসক ও পুলিশের হস্তক্ষেপও ব্যর্থ হয়।


গেট ভাঙা ও ধাক্কাধাক্কি

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, উত্তেজনা বাড়লে অডিটরিয়ামের দক্ষিণ ও মুক্তমঞ্চ দিকের গেটের তালা ভেঙে দেওয়া হয়। এতে শিক্ষকরা বাইরে আসেন।
তবে এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে এবং কয়েকজন আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আহতদের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে।


বহিরাগত প্ররোচনা অভিযোগ

প্রশাসনের দাবি, শিক্ষকদের স্বজন, কর্মচারী ও শুভানুধ্যায়ীদের ‘বহিরাগত’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করা হয়েছে। এতে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা হয়।
গেটের তালা ভাঙার সঙ্গে কারা জড়িত—শিক্ষক-স্বজন, কর্মচারী না বহিরাগত—তা তদন্তে বের করা হবে। বহিরাগত কেউ জড়িত থাকলে প্রশাসনের সহায়তায় তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।


ভাঙচুর ও ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার পরও স্বার্থান্বেষী মহলের উস্কানিতে ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, যা ষড়যন্ত্রের অংশ।
এ অবস্থায় ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইনে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা আহ্বান করা হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়—

  • বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা জেলা প্রশাসনের হাতে ন্যস্ত থাকবে
  • পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে

তদন্ত ও শাস্তির ঘোষণা

রেজিস্ট্রারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ক্ষুণ্নকারী বা হামলাকারী যে-ই হোক না কেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং তদন্ত শেষে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।


জনপ্রিয় সংবাদ

ইউটিউবে রেকর্ড ভিউ, তবু ‘বেবি শার্ক’ নির্মাতার আয় সীমিত কেন”

বাকৃবি প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট: ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’ প্রসঙ্গ

১২:১৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত বা ‘কম্বাইন্ড’ ডিগ্রি ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীনের সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় কম্বাইন্ড ডিগ্রির সমাধানে গঠিত কমিটির ছয় দফা সুপারিশ সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করা হয়


শিক্ষকদের আটকে রাখা ও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়া

সভা শেষে শিক্ষার্থীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর জন্য প্রস্তুত থাকলেও পরে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় তারা প্রায় ৩০০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে মিলনায়তনে আটকে রাখে।
আটকদের মধ্যে ছিলেন বৃদ্ধ, হৃদরোগী, ডায়াবেটিস রোগী এবং গর্ভবতী নারী শিক্ষিকা।

শিক্ষকরা বারবার আলোচনার প্রস্তাব দিলেও শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে। দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা তারা তীব্র গরম ও অনাহারে অবস্থান করেন। এমনকি জেলা প্রশাসক ও পুলিশের হস্তক্ষেপও ব্যর্থ হয়।


গেট ভাঙা ও ধাক্কাধাক্কি

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, উত্তেজনা বাড়লে অডিটরিয়ামের দক্ষিণ ও মুক্তমঞ্চ দিকের গেটের তালা ভেঙে দেওয়া হয়। এতে শিক্ষকরা বাইরে আসেন।
তবে এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে এবং কয়েকজন আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আহতদের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে।


বহিরাগত প্ররোচনা অভিযোগ

প্রশাসনের দাবি, শিক্ষকদের স্বজন, কর্মচারী ও শুভানুধ্যায়ীদের ‘বহিরাগত’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করা হয়েছে। এতে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা হয়।
গেটের তালা ভাঙার সঙ্গে কারা জড়িত—শিক্ষক-স্বজন, কর্মচারী না বহিরাগত—তা তদন্তে বের করা হবে। বহিরাগত কেউ জড়িত থাকলে প্রশাসনের সহায়তায় তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।


ভাঙচুর ও ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার পরও স্বার্থান্বেষী মহলের উস্কানিতে ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, যা ষড়যন্ত্রের অংশ।
এ অবস্থায় ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইনে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা আহ্বান করা হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়—

  • বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা জেলা প্রশাসনের হাতে ন্যস্ত থাকবে
  • পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে

তদন্ত ও শাস্তির ঘোষণা

রেজিস্ট্রারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ক্ষুণ্নকারী বা হামলাকারী যে-ই হোক না কেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং তদন্ত শেষে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।