০৮:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রয়োজন স্মার্ট গ্রাম, শুধু বড় শহরের মেগাপ্রকল্প নয় জাপানে স্ট্যান্ড-আপ কমেডির জোয়ার: বিদেশি ও দ্বিভাষী শিল্পীদের হাতে নতুন হাসির পথ ডায়ানা ড্যানিয়েলের জন্য একটি নতুন সকাল প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৩৭) বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো প্যারিস থেকে তেঙ্গাহ: একটি ফরাসি রেট্রো থিমের বাসা অন্ধকার ভ্রমণের উত্থান: অতীতের ক্ষত দেখতেই কেন বাড়ছে পর্যটকের ভিড় সেনেগালে দুর্নীতি দমন না রাজনৈতিক প্রতিশোধ? ফায়ে–সোঙ্কো সরকারের কড়াকড়িতে বিতর্ক তুঙ্গে মরক্কোর দাখলা অ্যাটলান্টিক বন্দর: আফ্রিকা-সাহেল বাণিজ্যের নতুন প্রবেশদ্বার বিশ্বের ৯৯% চিপ প্রযুক্তির নায়ক: সেমিকন্ডাক্টর কিংবদন্তি চি-তাং সা’র অস্থি চীনে সমাহিত

ওয়াগনার মালিতে: রুশ হস্তক্ষেপের সীমাবদ্ধতার প্রতিচ্ছবি

তিম্বুক্তুর পাণ্ডুলিপি ফেরত ও সরকারের প্রচার

আগস্টের শুরুতে মালির ঐতিহাসিক নগরী তিম্বুক্তুতে ২০০টিরও বেশি প্রাচীন পাণ্ডুলিপির কেস ফিরে আসে। ২০১২ সালে জঙ্গিদের হাত থেকে বাঁচাতে এগুলো সরিয়ে রাখা হয়েছিল। ২০২১ সালের মে মাসে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা জান্তা সরকার এবং কয়েক মাস পর আসা রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ এই ফেরত আসাকে নিজেদের সাফল্য হিসেবে দাবি করে। তাদের মতে, পশ্চিমা শক্তি ব্যর্থ হলেও মালির দীর্ঘদিনের অস্থিরতা এখন তারা সামাল দিতে পেরেছে।

নিরাপত্তাহীনতার বাস্তব চিত্র

কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি ভিন্ন। সাহেল অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো মালিতেও নিরাপত্তা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। সুদান বা মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যেমন সম্পদ লুট করে রুশরা লাভবান হয়েছিল, মালিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। বরং তাদের নৃশংস পদ্ধতি সেনাবাহিনীর ভেতর ক্ষোভ তৈরি করেছে। ১১ আগস্ট এই ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসে, যখন ওয়াগনার-বিরোধী মত দেওয়া বহু সেনা কর্মকর্তা ও জেনারেলকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

আসিমি গোইতার উত্থান ও প্রাথমিক জনপ্রিয়তা

অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আসিমি গোইতা, যিনি সম্প্রতি ২০৩০ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা করেছেন, প্রথমে জনগণের সমর্থন পেয়েছিলেন। ফরাসি প্রভাব থেকে মুক্তি এবং মালির সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকারে মানুষ আশাবাদী হয়েছিল। তারা আশা করেছিল ওয়াগনার সেনারা ফরাসিদের চেয়ে বেশি লড়াকু হবে এবং স্থানীয় কমান্ড মেনে চলবে।

প্রাথমিক সাফল্য ও ব্যর্থতার সূচনা

২০২৩ সালে ওয়াগনার সেনারা উত্তরাঞ্চলের কিদাল শহর পুনর্দখল করতে মালির সেনাদের সাহায্য করে। তবে সেটিই ছিল সর্বোচ্চ সাফল্য। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১২-২০২১ পর্যন্ত বছরে গড়ে ৭৩৬ জন নিহত হলেও ২০২২-২০২৪-এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় বছরে গড়ে ৩,১৩৫ জনে। শুধু চলতি বছরেই প্রায় ২,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে। জেএনআইএম নামের জঙ্গি নেটওয়ার্ক দেশজুড়ে প্রভাব বাড়াচ্ছে এবং কায়েসের মতো অর্থনৈতিক কেন্দ্রেও হামলা চালাচ্ছে।

ওয়াগনারের ব্যর্থ কৌশল

ওয়াগনার আসার আগেই নিরাপত্তাহীনতা ছিল। তবে তাদের কাজের ধরন পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংস্থা ‘দ্য সেনট্রি’র ২৭ আগস্ট প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, বেসামরিক মানুষ হত্যা করে জনগণের সমর্থন পাওয়া যায় না। এক সেনা স্বীকার করেছেন, সন্দেহভাজনদের যাচাই না করেই হত্যা করা হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক বছরে বেসামরিক মৃত্যুর ৮০% হয়েছে মালির সেনা ও ওয়াগনারের হাতে, জঙ্গিদের নয়।

ওয়াগনার স্থানীয় গ্রামগুলোকে অবরুদ্ধ করে ‘খোলা আকাশের কারাগারে’ পরিণত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তারা যে মিলিশিয়াকে জাতিগত নিধনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে সমর্থন দিয়েছে। এতে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গিরা একত্রে ওয়াগনার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে।

সেনাবাহিনীর মধ্যে ক্ষোভ ও অবিশ্বাস

ওয়াগনারের কার্যক্রমে মালির সেনাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তারা সেনাদের প্রতি বর্ণবাদী আচরণ করে, সেনাদের সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয় এবং নির্দেশ অমান্য করে। আহত হলে রুশদের আগে সরিয়ে নেওয়া হয়, যা স্থানীয় সেনাদের ক্ষুব্ধ করছে। এক কর্মকর্তা বলেছেন, “ওরা ফরাসিদের চেয়েও খারাপ। আমরা আগুন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আগুনেই পড়েছি।”

অর্থনৈতিক স্বার্থেও ব্যর্থতা

মালির স্বর্ণখনির নিয়ন্ত্রণ নিতে ওয়াগনার সফল হয়নি। সরকার পশ্চিমা কোম্পানির বড় খনিগুলো হস্তান্তর করেনি। বরং সরকার এই রুশ উপস্থিতিকে চাপ হিসেবে ব্যবহার করে স্বর্ণশিল্প থেকে বেশি রাজস্ব আদায় করছে। ছোট আকারের খনিগুলোতেও ওয়াগনার প্রবেশ করতে পারেনি। প্রথমে তাদের খরচ মালির বাজেট থেকে মেটানো হলেও এখন ধারণা করা হচ্ছে, এতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় হচ্ছে।

জনপ্রিয়তা হারানো ও নতুন সমীকরণ

প্রথমে রুশ উপস্থিতি নিয়ে আশাবাদী হলেও এখন মালির সাধারণ মানুষ হতাশ। একজন অধ্যাপক বলেছেন, “আমি ভেবেছিলাম রাশিয়ানরা পরিবর্তন আনবে, কিন্তু এখন আমি ভীষণ হতাশ।” রাজধানী বামাকোর এক শ্রমিকের মতে, ওয়াগনার ৮০% জনপ্রিয়তা হারিয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা

জান্তা সরকারের ভেতরে ফাটল দেখা দিতে পারে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট গোইতা রাশিয়ার বাইরে বিকল্প খুঁজছেন। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি নিরাপত্তা সহযোগিতা ও খনিজ চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছে। তুরস্কের ড্রোন সরবরাহ এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর সক্রিয় ভূমিকাও প্রভাব ফেলছে।

ওয়াগনার থেকে আফ্রিকা কর্পসে রূপান্তর

ওয়াগনারের নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর দুই বছর পর রাশিয়া গ্রুপটিকে নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বছর জুনে এর নাম পাল্টে ‘আফ্রিকা কর্পস’ রাখা হয় এবং মস্কোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত করা হয়। এটি ওয়াগনারের সীমাবদ্ধতার স্বীকার। এখন প্রশ্ন হলো, মালির জান্তা কেন ঝুঁকিপ্রবণ রাশিয়ার উপর নির্ভর করবে, যখন তাদের সামনে আমেরিকা ও আঞ্চলিক শক্তির মতো অন্য বিকল্প আছে?

জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রয়োজন স্মার্ট গ্রাম, শুধু বড় শহরের মেগাপ্রকল্প নয়

ওয়াগনার মালিতে: রুশ হস্তক্ষেপের সীমাবদ্ধতার প্রতিচ্ছবি

০৯:২৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তিম্বুক্তুর পাণ্ডুলিপি ফেরত ও সরকারের প্রচার

আগস্টের শুরুতে মালির ঐতিহাসিক নগরী তিম্বুক্তুতে ২০০টিরও বেশি প্রাচীন পাণ্ডুলিপির কেস ফিরে আসে। ২০১২ সালে জঙ্গিদের হাত থেকে বাঁচাতে এগুলো সরিয়ে রাখা হয়েছিল। ২০২১ সালের মে মাসে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা জান্তা সরকার এবং কয়েক মাস পর আসা রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ এই ফেরত আসাকে নিজেদের সাফল্য হিসেবে দাবি করে। তাদের মতে, পশ্চিমা শক্তি ব্যর্থ হলেও মালির দীর্ঘদিনের অস্থিরতা এখন তারা সামাল দিতে পেরেছে।

নিরাপত্তাহীনতার বাস্তব চিত্র

কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি ভিন্ন। সাহেল অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো মালিতেও নিরাপত্তা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। সুদান বা মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যেমন সম্পদ লুট করে রুশরা লাভবান হয়েছিল, মালিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। বরং তাদের নৃশংস পদ্ধতি সেনাবাহিনীর ভেতর ক্ষোভ তৈরি করেছে। ১১ আগস্ট এই ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসে, যখন ওয়াগনার-বিরোধী মত দেওয়া বহু সেনা কর্মকর্তা ও জেনারেলকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

আসিমি গোইতার উত্থান ও প্রাথমিক জনপ্রিয়তা

অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আসিমি গোইতা, যিনি সম্প্রতি ২০৩০ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা করেছেন, প্রথমে জনগণের সমর্থন পেয়েছিলেন। ফরাসি প্রভাব থেকে মুক্তি এবং মালির সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকারে মানুষ আশাবাদী হয়েছিল। তারা আশা করেছিল ওয়াগনার সেনারা ফরাসিদের চেয়ে বেশি লড়াকু হবে এবং স্থানীয় কমান্ড মেনে চলবে।

প্রাথমিক সাফল্য ও ব্যর্থতার সূচনা

২০২৩ সালে ওয়াগনার সেনারা উত্তরাঞ্চলের কিদাল শহর পুনর্দখল করতে মালির সেনাদের সাহায্য করে। তবে সেটিই ছিল সর্বোচ্চ সাফল্য। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১২-২০২১ পর্যন্ত বছরে গড়ে ৭৩৬ জন নিহত হলেও ২০২২-২০২৪-এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় বছরে গড়ে ৩,১৩৫ জনে। শুধু চলতি বছরেই প্রায় ২,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে। জেএনআইএম নামের জঙ্গি নেটওয়ার্ক দেশজুড়ে প্রভাব বাড়াচ্ছে এবং কায়েসের মতো অর্থনৈতিক কেন্দ্রেও হামলা চালাচ্ছে।

ওয়াগনারের ব্যর্থ কৌশল

ওয়াগনার আসার আগেই নিরাপত্তাহীনতা ছিল। তবে তাদের কাজের ধরন পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংস্থা ‘দ্য সেনট্রি’র ২৭ আগস্ট প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, বেসামরিক মানুষ হত্যা করে জনগণের সমর্থন পাওয়া যায় না। এক সেনা স্বীকার করেছেন, সন্দেহভাজনদের যাচাই না করেই হত্যা করা হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক বছরে বেসামরিক মৃত্যুর ৮০% হয়েছে মালির সেনা ও ওয়াগনারের হাতে, জঙ্গিদের নয়।

ওয়াগনার স্থানীয় গ্রামগুলোকে অবরুদ্ধ করে ‘খোলা আকাশের কারাগারে’ পরিণত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তারা যে মিলিশিয়াকে জাতিগত নিধনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে সমর্থন দিয়েছে। এতে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গিরা একত্রে ওয়াগনার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে।

সেনাবাহিনীর মধ্যে ক্ষোভ ও অবিশ্বাস

ওয়াগনারের কার্যক্রমে মালির সেনাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তারা সেনাদের প্রতি বর্ণবাদী আচরণ করে, সেনাদের সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয় এবং নির্দেশ অমান্য করে। আহত হলে রুশদের আগে সরিয়ে নেওয়া হয়, যা স্থানীয় সেনাদের ক্ষুব্ধ করছে। এক কর্মকর্তা বলেছেন, “ওরা ফরাসিদের চেয়েও খারাপ। আমরা আগুন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আগুনেই পড়েছি।”

অর্থনৈতিক স্বার্থেও ব্যর্থতা

মালির স্বর্ণখনির নিয়ন্ত্রণ নিতে ওয়াগনার সফল হয়নি। সরকার পশ্চিমা কোম্পানির বড় খনিগুলো হস্তান্তর করেনি। বরং সরকার এই রুশ উপস্থিতিকে চাপ হিসেবে ব্যবহার করে স্বর্ণশিল্প থেকে বেশি রাজস্ব আদায় করছে। ছোট আকারের খনিগুলোতেও ওয়াগনার প্রবেশ করতে পারেনি। প্রথমে তাদের খরচ মালির বাজেট থেকে মেটানো হলেও এখন ধারণা করা হচ্ছে, এতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় হচ্ছে।

জনপ্রিয়তা হারানো ও নতুন সমীকরণ

প্রথমে রুশ উপস্থিতি নিয়ে আশাবাদী হলেও এখন মালির সাধারণ মানুষ হতাশ। একজন অধ্যাপক বলেছেন, “আমি ভেবেছিলাম রাশিয়ানরা পরিবর্তন আনবে, কিন্তু এখন আমি ভীষণ হতাশ।” রাজধানী বামাকোর এক শ্রমিকের মতে, ওয়াগনার ৮০% জনপ্রিয়তা হারিয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা

জান্তা সরকারের ভেতরে ফাটল দেখা দিতে পারে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট গোইতা রাশিয়ার বাইরে বিকল্প খুঁজছেন। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি নিরাপত্তা সহযোগিতা ও খনিজ চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছে। তুরস্কের ড্রোন সরবরাহ এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর সক্রিয় ভূমিকাও প্রভাব ফেলছে।

ওয়াগনার থেকে আফ্রিকা কর্পসে রূপান্তর

ওয়াগনারের নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর দুই বছর পর রাশিয়া গ্রুপটিকে নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বছর জুনে এর নাম পাল্টে ‘আফ্রিকা কর্পস’ রাখা হয় এবং মস্কোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত করা হয়। এটি ওয়াগনারের সীমাবদ্ধতার স্বীকার। এখন প্রশ্ন হলো, মালির জান্তা কেন ঝুঁকিপ্রবণ রাশিয়ার উপর নির্ভর করবে, যখন তাদের সামনে আমেরিকা ও আঞ্চলিক শক্তির মতো অন্য বিকল্প আছে?