হামলার ঘটনা
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় এক রাজনৈতিক সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা এ তথ্য এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন। হামলাটি ঘটে একটি স্টেডিয়ামের পার্কিং এলাকায়, যেখানে বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি)-এর শত শত সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন।
সমাবেশের প্রেক্ষাপট
হামলাটি বিএনপি-এম-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সাজিদ তারিনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশের পর ঘটে। ওই সমাবেশে দলটির প্রতিষ্ঠাতা আতাউল্লাহ মেংগলের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হচ্ছিল।

তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা
বেলুচিস্তান স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানায়, উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে এবং প্রমাণ সংগ্রহ শুরু করে।
সরকারের প্রতিক্রিয়া
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগটি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি মানবতার শত্রুদের এক কাপুরুষোচিত কাজ। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীদের এই অশুভ উদ্দেশ্য কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না।
তদন্ত ও দায় স্বীকার
এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে দেশটির ইতিহাসে বেলুচিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্রোহ ও সশস্ত্র সহিংসতার কেন্দ্রস্থল।

সহিংসতার পটভূমি
বেলুচিস্তানে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়ছে পাকিস্তানি বাহিনী। সহিংসতা ২০২৪ সালে আরও বেড়ে যায়, ওই বছরে ৭৮২ জন নিহত হয়। মার্চ মাসে বেলুচ লিবারেশন আর্মি একটি ট্রেন দখল করে যাত্রীদের জিম্মি করে এবং তিন দিনের অবরোধে কর্তব্যে অনুপস্থিত সেনা সদস্যদের হত্যা করে।
২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় বিভিন্ন সশস্ত্র হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ অন্তত ৪৩০ জন নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার বান্নুতে ছয়জন সৈন্য নিহত হন, যখন এক আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরক-ভর্তি গাড়ি নিয়ে সামরিক ঘাঁটির ফটকে আঘাত হানে।
কোয়েটার এই আত্মঘাতী হামলা পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভঙ্গুর বাস্তবতাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। বেলুচিস্তানের চলমান সহিংসতা ও সশস্ত্র বিদ্রোহ দেশটির রাজনীতি ও স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়কি আপনার জন্য এই কাঠামোই যথেষ্ট?
সারাক্ষণ রিপোর্ট 




















