০২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
রুশ বোমারু নিয়ে যৌথ টহল: জাপান সীমান্তে চিন–রাশিয়ার শক্তি প্রদর্শনে বাড়ছে উত্তেজনা ভারতের জোরালো প্রবৃদ্ধি ও প্রযুক্তি চাহিদা এশিয়ার উন্নয়ন সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করল: এডিবি এয়ার ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা সংকট: অনুমতি ছাড়াই আট ফ্লাইট পরিচালনার ঘটনায় বড়সড় অনিয়মের স্বীকারোক্তি অ্যামাজনের রেকর্ড বিনিয়োগ: ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে ৩৫ বিলিয়ন ডলার ঢালছে টেক জায়ান্ট আদানি এন্টারপ্রাইজের ২.৮ বিলিয়ন ডলারের রাইটস ইস্যুতে ব্যাপক সাড়া, চাহিদা ছাড়াল বরাদ্দ স্পেনে চীনা ইভি ঢেউ: ইউরোপে বিওয়াইডির নতুন ঘাঁটি চীনা প্রতিষ্ঠান পুডুর রোবট কুকুরের মাধ্যমে নতুন প্রবৃদ্ধির পথে অগ্রসরতা এশিয়ার ধনী বিনিয়োগকারীদের ক্রিপ্টোতে ক্রমবর্ধমান আস্থা টোকিও বিশ্বের সবচেয়ে দামী বিলাসবহুল হোটেলগুলোর শহর চীনের নতুন ফ্র্যাকিং প্রযুক্তি কি ওপেকের জন্য উদ্বেগের কারণ?

যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন না আনলে সেমিকন্ডাক্টর আমদানিতে শুল্ক আরোপ করবেন ট্রাম্প

নতুন সিদ্ধান্তের ঘোষণা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যেসব কোম্পানি তাদের সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে সরাচ্ছে না, তাদের আমদানির ওপর শিগগিরই শুল্ক আরোপ করা হবে। বৃহস্পতিবার বড় প্রযুক্তি কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে নৈশভোজের আগে তিনি এ কথা জানান।

শুল্কনীতির প্রভাব

এই বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের শুল্কের হুমকি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি করেছে। এর ফলে আর্থিক বাজারে অস্থিরতা এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বেড়েছে।

ট্রাম্পের বক্তব্য

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “চিপস এবং সেমিকন্ডাক্টর—যেসব কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে আসছে না, তাদের ওপর আমরা শুল্ক বসাবো। খুব শিগগিরই এ শুল্ক আরোপ হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “শুল্ক খুব বেশি নয়, তবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হবে। যদি কোনো কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে আসে বা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করে, তবে তাদের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে না।”

শুল্ককে কূটনীতির হাতিয়ার

ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই শুল্ককে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির মূল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। তিনি এর মাধ্যমে বাণিজ্যচুক্তি নতুনভাবে সাজাতে, রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে এবং বিদেশি দেশ ও কোম্পানির কাছ থেকে ছাড় আদায় করতে চেয়েছেন।

প্রযুক্তি কোম্পানির অবস্থান

ট্রাম্প উল্লেখ করেন, অ্যাপলের সিইও টিম কুক তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে থাকবেন। সম্প্রতি অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রে আগামী চার বছরে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এতে বোঝা যায়, দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের প্রতি প্রযুক্তি খাত কিছুটা নরম হয়েছে।

পূর্বের ঘোষণা

গত মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে সেমিকন্ডাক্টর আমদানির ওপর। তবে যেসব কোম্পানি ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন করছে বা ভবিষ্যতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এ শুল্ক প্রযোজ্য হবে না।

আন্তর্জাতিক কোম্পানির বিনিয়োগ

তাইওয়ানের চিপ জায়ান্ট টিএসএমসি, দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ইলেকট্রনিকস এবং এসকে হাইনিক্স (SK Hynix) যুক্তরাষ্ট্রে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

আইনি চ্যালেঞ্জ

ট্রাম্প শুল্কনীতির কারণে আইনি জটিলতার মুখোমুখি হয়েছেন। সম্প্রতি নিম্ন আদালত তার আরোপিত অনেক শুল্ক বাতিল করে দিয়েছে। এ অবস্থায় তার প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টকে দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছে। এই শুল্কগুলো ১৯৭৭ সালের জরুরি আইন অধীনে আরোপ করা হয়েছিল এবং ট্রাম্পের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যনীতির কেন্দ্রে ছিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

রুশ বোমারু নিয়ে যৌথ টহল: জাপান সীমান্তে চিন–রাশিয়ার শক্তি প্রদর্শনে বাড়ছে উত্তেজনা

যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন না আনলে সেমিকন্ডাক্টর আমদানিতে শুল্ক আরোপ করবেন ট্রাম্প

০৩:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নতুন সিদ্ধান্তের ঘোষণা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যেসব কোম্পানি তাদের সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে সরাচ্ছে না, তাদের আমদানির ওপর শিগগিরই শুল্ক আরোপ করা হবে। বৃহস্পতিবার বড় প্রযুক্তি কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে নৈশভোজের আগে তিনি এ কথা জানান।

শুল্কনীতির প্রভাব

এই বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের শুল্কের হুমকি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি করেছে। এর ফলে আর্থিক বাজারে অস্থিরতা এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বেড়েছে।

ট্রাম্পের বক্তব্য

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “চিপস এবং সেমিকন্ডাক্টর—যেসব কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে আসছে না, তাদের ওপর আমরা শুল্ক বসাবো। খুব শিগগিরই এ শুল্ক আরোপ হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “শুল্ক খুব বেশি নয়, তবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হবে। যদি কোনো কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে আসে বা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করে, তবে তাদের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে না।”

শুল্ককে কূটনীতির হাতিয়ার

ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই শুল্ককে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির মূল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। তিনি এর মাধ্যমে বাণিজ্যচুক্তি নতুনভাবে সাজাতে, রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে এবং বিদেশি দেশ ও কোম্পানির কাছ থেকে ছাড় আদায় করতে চেয়েছেন।

প্রযুক্তি কোম্পানির অবস্থান

ট্রাম্প উল্লেখ করেন, অ্যাপলের সিইও টিম কুক তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে থাকবেন। সম্প্রতি অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রে আগামী চার বছরে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এতে বোঝা যায়, দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের প্রতি প্রযুক্তি খাত কিছুটা নরম হয়েছে।

পূর্বের ঘোষণা

গত মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে সেমিকন্ডাক্টর আমদানির ওপর। তবে যেসব কোম্পানি ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন করছে বা ভবিষ্যতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এ শুল্ক প্রযোজ্য হবে না।

আন্তর্জাতিক কোম্পানির বিনিয়োগ

তাইওয়ানের চিপ জায়ান্ট টিএসএমসি, দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ইলেকট্রনিকস এবং এসকে হাইনিক্স (SK Hynix) যুক্তরাষ্ট্রে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

আইনি চ্যালেঞ্জ

ট্রাম্প শুল্কনীতির কারণে আইনি জটিলতার মুখোমুখি হয়েছেন। সম্প্রতি নিম্ন আদালত তার আরোপিত অনেক শুল্ক বাতিল করে দিয়েছে। এ অবস্থায় তার প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টকে দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছে। এই শুল্কগুলো ১৯৭৭ সালের জরুরি আইন অধীনে আরোপ করা হয়েছিল এবং ট্রাম্পের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যনীতির কেন্দ্রে ছিল।