সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একসঙ্গে ওঠা ছবিগুলো পশ্চিমা গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। বিশেষ করে মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভ্যান জোনস মন্তব্য করেছেন, এই দৃশ্য “প্রত্যেক আমেরিকানের শরীরে শীতল স্রোত বইয়ে দেওয়া উচিত”।
পশ্চিমা প্রতিক্রিয়া
মার্কিন গণমাধ্যম ছবিগুলোকে শুধু প্রোটোকল নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন বাস্তবতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছে। ভ্যান জোনস বলেছেন, “ওরা এটিকে বহুমেরুকেন্দ্রিক বিশ্ব বলছে। আমি বলি, পশ্চিম এখন একধরনের ফাঁদে আটকা পড়েছে।”

নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার ইঙ্গিত
মোদি, শি এবং পুতিনের একত্রে উপস্থিতি আন্তর্জাতিক শক্তির ভারসাম্যে পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছে। এশিয়া ও ইউরেশিয়ার এই তিন নেতা যখন একই মঞ্চে দাঁড়ালেন, তখন তা পশ্চিমা দেশগুলোকে স্পষ্ট করে মনে করিয়ে দিয়েছে যে বহুপাক্ষিক শক্তির কেন্দ্র ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে।
আমেরিকান উদ্বেগ
বিশ্লেষকদের মতে, এই জোট যদি ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় হয়, তবে পশ্চিমা প্রভাব সীমিত হতে পারে। জোনসের মন্তব্য মূলত সেই আশঙ্কাই প্রতিফলিত করে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, “যদি এই নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও গভীর হয়, তবে তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।”

সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সাম্প্রতিক বৈঠক শুধুই কূটনৈতিক শিষ্টাচারের প্রকাশ নয়, বরং ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সমীকরণের একটি সতর্ক সংকেত। পশ্চিমা দেশগুলোর দৃষ্টিতে, মোদি-শি-পুতিনের এই ছবি এক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার প্রতীক হয়ে উঠছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















