চলমান বর্ষা মৌসুমে হিমাচল প্রদেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। রাজ্য জরুরি কার্যক্রম কেন্দ্রের (SEOC) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জুন থেকে ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সময়কালে বন্যা ও ভূমিধসে মোট ৩৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি সম্পদে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

জেলা ভিত্তিক মৃত্যুর হিসাব
বর্ষাজনিত দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মান্ডি জেলায়—৩৭ জন। এরপর রয়েছে কাংগ্রা (৩১), কুল্লু (২৫), চাম্বা (২১), শিমলা (২১), কিন্নৌর (১৪), হামিরপুর (১৩), বিলাসপুর (১১), উনা (১০), সিরমৌর (৭), সোলান (৭) এবং লাহৌল-স্পিতি (৬)।
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি
প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্ষার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ১৬৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে চাম্বা ও মান্ডিতে ২২ জন করে, কাংগ্রা ও সোলানে ১৯ জন করে, শিমলায় ১৮ জন, কিন্নৌরে ১৪ জন, কুল্লুতে ১৩ জন, উনায় ১২ জন, সিরমৌরে ১১ জন, বিলাসপুরে ৭ জন, হামিরপুরে ৩ জন এবং লাহৌল-স্পিতিতে ৩ জন মারা যান।

অবকাঠামো ও সম্পদ ক্ষতি
বর্ষায় সড়ক, সেতু, ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মোট ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৪,০৭,৯০৬.৯০ লাখ রুপি বলে উল্লেখ করেছে কর্তৃপক্ষ।
কুল্লুতে উদ্ধার অভিযান
কুল্লুর আখাড়া বাজার এলাকায় ভূমিধসের ধ্বংসস্তূপ থেকে শনিবার আরও চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই এলাকার মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) ও স্থানীয় প্রশাসন একযোগে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।

এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিমাচল প্রদেশের জনজীবন, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















