০২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিমানবন্দরের জন্য নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’ মিয়ানমারের কালোবাজারি যুদ্ধ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করছে ফেড সুদের হার কমাল, আরও কমানোর ইঙ্গিত; নতুন গভর্নর মিরানের ভিন্ন মত এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনা: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মামলা বোয়িং ও হানিওয়েলের বিরুদ্ধে “ভারতের আরবান কোম্পানির শেয়ার বাজারে অভিষেক: প্রথম দিনেই ৭৪% উল্লম্ফন, বাজারমূল্য ছুঁল ৩ বিলিয়ন ডলার” ভারতের চালের মজুত সর্বকালের সর্বোচ্চ, গমেও চার বছরের রেকর্ড ব্রিটেনের সিদ্ধান্ত: এই সপ্তাহান্তে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি জাপান ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে না যে সাক্ষাৎকারটি নেয়নি মোদির উত্তরসূরি নিয়ে জল্পনা সত্ত্বেও ক্ষমতায় দৃঢ় অবস্থান

বিমানবন্দরের জন্য নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

সমকালের একটি শিরোনাম “বিমানবন্দরের জন্য নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’”

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার এয়ার গার্ড অব বাংলাদেশ (এজিবি) নামে নতুন বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে এর কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা যাচাইয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট এই কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এই বাহিনী গঠনে সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ৩৯৭ কোটি টাকা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অনুবিভাগের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। কমিটিকে এজিবি গঠনের জন্য সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বাহিনী গঠনের প্রস্তাব আসে। পরে সেটির যৌক্তিকতা যাচাইয়ের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। বিষয়টি এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি সমকালকে বলেন, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানবন্দরগুলোতে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এয়ার গার্ড গঠন সময়ের দাবি। প্রথমে এটি বাহিনী হিসেবে কাজ শুরু করবে, পরে অধিদপ্তরে রূপান্তর করা হবে।

জানতে চাইলে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির প্রধান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) আতাউর রহমান খান বলেন, সবে তো কাজ শুরু হলো। গণমাধ্যমে বলার মতো এখনও কোনো তথ্য নেই। জানা গেছে, ১৯৮৫ সাল থেকে দেশে বেসামরিক বিমান চলাচল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বর্তমানে বিমানবন্দরের ভেতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিমানবাহিনীর সদস্যরা এবং বাইরের নিরাপত্তা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন দেখভাল করছে। এ ছাড়া এভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা যাত্রীদের এবং তাদের জিনিসপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চত করা, নিষিদ্ধ আইটেম যেমন অস্ত্র, বিস্ফোরক ও অবৈধ ড্রাগের জন্য স্ক্রিনিং করা, বিমান এবং লাগেজের নিরাপত্তা পরীক্ষা পরিচালনা করা, এয়ারপোর্ট টহল কার্যক্রম, নিরাপত্তা হুমকি রোধ ও শনাক্ত করা, যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করা, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “৭ হাজারের বেশি সদস্যকে পদচ্যুত ও বহিষ্কার করেছে বিএনপি: তারেক রহমান”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর দলের ৭ হাজারের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

পোস্টে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘ইতোমধ্যেই বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ হাজারের বেশি দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের দায়ে কেউ পদচ্যুত হয়েছেন, আবার অনেকেই দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘বহুমুখী অপপ্রচারের মাঝেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না, তবে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এগুলো ছিল অপরিহার্য। শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং সেটিই আমাদের শক্তি।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিজেদের সদস্যদের দায়বদ্ধ করার মাধ্যমেই বিএনপি প্রমাণ করল যে তারা সততার ব্যাপারে আন্তরিক। ক্ষমতাসীনদের কাছে তারা যেসব মানদণ্ড দাবি করে, নিজেদেরকেও ঠিক সেই একই মানদণ্ডে দাঁড় করায়।’

তারেক রহমান উল্লেখ করেন, আগামী দিনের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে বিএনপি তৃণমূল থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে যাচ্ছে। গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও মজবুত করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চায় দলটি।

তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই—বিশেষত তরুণদের, যারা রাজনীতিকে কেবল ক্ষমতার খেলা হিসেবে দেখতে চায় না; বরং দেখতে চায় সবার অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা একটি মহৎ ক্ষেত্র হিসেবে।’

বিএনপিকে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিকায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তারেক রহমান জানান, দল জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিসহ ৩১ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে দলের নীতিমালা গড়ে উঠেছে।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “উন্নয়নের নামে একেকটি শহর টাইম বোমা হয়ে দাঁড়িয়েছে”

উন্নয়নের নামে দেশের একেকটি শহর টাইম বোমা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মূল কারণ অপরিকল্পিত উন্নয়ন। আর এই অপরিকল্পিত নগরায়ন এখনই ঠেকানো জরুরি বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) কার্যালয়ে ‘শহরায়ণ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এবং পিআরআইয়ের গবেষণা থেকে এ আলোচনা করা হয়।

এ সময় জানানো হয়, দেশের প্রধান দুই নগরী ঢাকা ও চট্টগ্রামের পৌরসভা গঠিত হয় প্রায় একই সময়ে – ১৮৬০-এর দশকে। কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই কেন্দ্রীয় পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে, তাও মাত্র ১০ শতাংশ এলাকার জন্য। চলমান এই অপরিকল্পিত নগরায়ণে ক্ষুব্ধ মেয়র, সিটি কাউন্সিলর, নাগরিক সমাজ এমনকি কিছু সরকারি কর্মকর্তাও।

সেমিনারে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উদাহরণ টেনে বক্তারা বলেন, গাজীপুর শহরের বিশৃঙ্খল নগর উন্নয়নের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা ২০২৪ সালের মার্চ মাসে একটি খসড়া মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে। তাতে বলা হয়েছে, একটি সুপরিকল্পিত, নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন একটি নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিলুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইয়ের পরিচালক ড. আহমাদ আহসান।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “ফেব্রুয়ারিতে উৎসবমুখর নির্বাচনের অঙ্গীকার”

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মৌনির সাতুরির নেতৃত্বাধীন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্যদের (এমইপি) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, পরিষ্কার, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। কিছু শক্তি এখনো নির্বাচন স্থগিতের চেষ্টা করলেও অন্তর্বর্তী সরকার নির্ধারিত সময় অনুযায়ী তা নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা ইতিমধ্যে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছি। রমজানের ঠিক আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে এটি অনুষ্ঠিত হবে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিন দশকেরও বেশি সময় পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন শুরু হওয়ায় তরুণ ও জনসাধারণের মধ্যে উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা রেকর্ডসংখ্যায় ভোট দেবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো তাদের মধ্যে অনেকে ভোট দেবেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ একটি নতুন সূচনা প্রত্যক্ষ করবে। এটি আমাদের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময় করেন। সফররত আইনপ্রণেতারা আশা করেন, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হতে পারে। একজন আইনপ্রণেতা গত ১৪ মাসে প্রধান উপদেষ্টা এবং তার দলের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
একজন ডাচ্‌ এমইপি মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ এমন কয়েকটি দেশের মধ্যে থাকতে পারে, যেখানে সবকিছু সঠিক পথে এগোচ্ছে।

অধ্যাপক ইউনূস ইইউ-এর অবিচল সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানান। সমপ্রতি ত্রাণ ঘাটতির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্যাম্পের স্কুলগুলো পুনরায় চালু করতে বিশেষভাবে সহায়তার আহ্বান জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী অন্তর্বর্তী সরকারের বাস্তবায়নাধীন শ্রম সংস্কারের কথা তুলে ধরে বলেন, এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক জোরদারে সহায়ক হবে।

 

বিমানবন্দরের জন্য নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

বিমানবন্দরের জন্য নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

০১:২৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “বিমানবন্দরের জন্য নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’”

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার এয়ার গার্ড অব বাংলাদেশ (এজিবি) নামে নতুন বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে এর কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা যাচাইয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট এই কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এই বাহিনী গঠনে সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ৩৯৭ কোটি টাকা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অনুবিভাগের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। কমিটিকে এজিবি গঠনের জন্য সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বাহিনী গঠনের প্রস্তাব আসে। পরে সেটির যৌক্তিকতা যাচাইয়ের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। বিষয়টি এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি সমকালকে বলেন, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানবন্দরগুলোতে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এয়ার গার্ড গঠন সময়ের দাবি। প্রথমে এটি বাহিনী হিসেবে কাজ শুরু করবে, পরে অধিদপ্তরে রূপান্তর করা হবে।

জানতে চাইলে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির প্রধান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) আতাউর রহমান খান বলেন, সবে তো কাজ শুরু হলো। গণমাধ্যমে বলার মতো এখনও কোনো তথ্য নেই। জানা গেছে, ১৯৮৫ সাল থেকে দেশে বেসামরিক বিমান চলাচল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বর্তমানে বিমানবন্দরের ভেতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিমানবাহিনীর সদস্যরা এবং বাইরের নিরাপত্তা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন দেখভাল করছে। এ ছাড়া এভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা যাত্রীদের এবং তাদের জিনিসপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চত করা, নিষিদ্ধ আইটেম যেমন অস্ত্র, বিস্ফোরক ও অবৈধ ড্রাগের জন্য স্ক্রিনিং করা, বিমান এবং লাগেজের নিরাপত্তা পরীক্ষা পরিচালনা করা, এয়ারপোর্ট টহল কার্যক্রম, নিরাপত্তা হুমকি রোধ ও শনাক্ত করা, যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করা, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “৭ হাজারের বেশি সদস্যকে পদচ্যুত ও বহিষ্কার করেছে বিএনপি: তারেক রহমান”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর দলের ৭ হাজারের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

পোস্টে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘ইতোমধ্যেই বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ হাজারের বেশি দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের দায়ে কেউ পদচ্যুত হয়েছেন, আবার অনেকেই দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘বহুমুখী অপপ্রচারের মাঝেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না, তবে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এগুলো ছিল অপরিহার্য। শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং সেটিই আমাদের শক্তি।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিজেদের সদস্যদের দায়বদ্ধ করার মাধ্যমেই বিএনপি প্রমাণ করল যে তারা সততার ব্যাপারে আন্তরিক। ক্ষমতাসীনদের কাছে তারা যেসব মানদণ্ড দাবি করে, নিজেদেরকেও ঠিক সেই একই মানদণ্ডে দাঁড় করায়।’

তারেক রহমান উল্লেখ করেন, আগামী দিনের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে বিএনপি তৃণমূল থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে যাচ্ছে। গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও মজবুত করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চায় দলটি।

তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই—বিশেষত তরুণদের, যারা রাজনীতিকে কেবল ক্ষমতার খেলা হিসেবে দেখতে চায় না; বরং দেখতে চায় সবার অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা একটি মহৎ ক্ষেত্র হিসেবে।’

বিএনপিকে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিকায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তারেক রহমান জানান, দল জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিসহ ৩১ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে দলের নীতিমালা গড়ে উঠেছে।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “উন্নয়নের নামে একেকটি শহর টাইম বোমা হয়ে দাঁড়িয়েছে”

উন্নয়নের নামে দেশের একেকটি শহর টাইম বোমা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মূল কারণ অপরিকল্পিত উন্নয়ন। আর এই অপরিকল্পিত নগরায়ন এখনই ঠেকানো জরুরি বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) কার্যালয়ে ‘শহরায়ণ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এবং পিআরআইয়ের গবেষণা থেকে এ আলোচনা করা হয়।

এ সময় জানানো হয়, দেশের প্রধান দুই নগরী ঢাকা ও চট্টগ্রামের পৌরসভা গঠিত হয় প্রায় একই সময়ে – ১৮৬০-এর দশকে। কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই কেন্দ্রীয় পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে, তাও মাত্র ১০ শতাংশ এলাকার জন্য। চলমান এই অপরিকল্পিত নগরায়ণে ক্ষুব্ধ মেয়র, সিটি কাউন্সিলর, নাগরিক সমাজ এমনকি কিছু সরকারি কর্মকর্তাও।

সেমিনারে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উদাহরণ টেনে বক্তারা বলেন, গাজীপুর শহরের বিশৃঙ্খল নগর উন্নয়নের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা ২০২৪ সালের মার্চ মাসে একটি খসড়া মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে। তাতে বলা হয়েছে, একটি সুপরিকল্পিত, নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন একটি নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিলুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইয়ের পরিচালক ড. আহমাদ আহসান।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “ফেব্রুয়ারিতে উৎসবমুখর নির্বাচনের অঙ্গীকার”

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মৌনির সাতুরির নেতৃত্বাধীন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্যদের (এমইপি) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, পরিষ্কার, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। কিছু শক্তি এখনো নির্বাচন স্থগিতের চেষ্টা করলেও অন্তর্বর্তী সরকার নির্ধারিত সময় অনুযায়ী তা নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা ইতিমধ্যে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছি। রমজানের ঠিক আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে এটি অনুষ্ঠিত হবে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিন দশকেরও বেশি সময় পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন শুরু হওয়ায় তরুণ ও জনসাধারণের মধ্যে উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা রেকর্ডসংখ্যায় ভোট দেবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো তাদের মধ্যে অনেকে ভোট দেবেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ একটি নতুন সূচনা প্রত্যক্ষ করবে। এটি আমাদের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময় করেন। সফররত আইনপ্রণেতারা আশা করেন, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হতে পারে। একজন আইনপ্রণেতা গত ১৪ মাসে প্রধান উপদেষ্টা এবং তার দলের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
একজন ডাচ্‌ এমইপি মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ এমন কয়েকটি দেশের মধ্যে থাকতে পারে, যেখানে সবকিছু সঠিক পথে এগোচ্ছে।

অধ্যাপক ইউনূস ইইউ-এর অবিচল সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানান। সমপ্রতি ত্রাণ ঘাটতির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্যাম্পের স্কুলগুলো পুনরায় চালু করতে বিশেষভাবে সহায়তার আহ্বান জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী অন্তর্বর্তী সরকারের বাস্তবায়নাধীন শ্রম সংস্কারের কথা তুলে ধরে বলেন, এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক জোরদারে সহায়ক হবে।