০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উপসাগরে নতুন অস্থিরতা: কাতারের নিরাপত্তা ও কূটনীতির সংকট

দোহায় হামাস-ইরান বৈঠক ও ইসরায়েলি হামলা

ইসরায়েল দোহায় হামাস নেতাদের ওপর হামলা চালানোর মাত্র পাঁচ দিন আগে, একই ব্যক্তিরা কাতারের রিটজ-কার্লটন হোটেলে ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। এ ঘটনা কাতারের সমালোচকদের বহুদিনের অভিযোগকে উসকে দেয়— একদিকে মার্কিন ও ইসরায়েলের শত্রু সংগঠনগুলো দোহায় প্রকাশ্যে বৈঠক করছে, অন্যদিকে কাছেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি।

প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে বছরে কয়েক শো কোটি ডলার আয়ের ওপর ভর করে কাতার দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে এক ধরনের পিছনের দরজার ভূমিকা পালন করে এসেছে। অনেক সময় এই ভূমিকা রাখতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছাতেই। দেশটি বিশাল অর্থ ব্যয় করে কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছে— প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যবহারের জন্য একটি জেট উপহার দেওয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক লবিং পর্যন্ত।

তবে চলতি গ্রীষ্মে ইরান ও ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দোহা নিরাপত্তাহীনতার নতুন বাস্তবতায় পৌঁছেছে। ইরানের হামলা আটকানো সম্ভব হলেও, ৯ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের অপ্রত্যাশিত হামলায় কয়েকজন হামাস কর্মকর্তা ও এক কাতারি নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। এতে উপসাগরীয় রাজতন্ত্রগুলো উদ্বেগে পড়ে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য তারা যে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে, তা আদৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে কি না।

পশ্চিমা সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন

দোহা-ভিত্তিক নিরাপত্তা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যাটালিস্ট কনসালটিংয়ের সাবেক কর্মকর্তা রাশিদ আল মোহনাদি বলেন, “বোমা পড়ার মুহূর্ত থেকেই মানুষ পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।”

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্প কাতারের গাজা শান্তি প্রক্রিয়ায় ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের হামলা আর ঘটবে না। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে বলেন, ইসরায়েলের অধিকার আছে সন্ত্রাসীদের যেখানেই হোক টার্গেট করার।

উপসাগরীয় প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্প কাতারের জটিল অবস্থান স্বীকার করে বলেন, “অনেকে কাতারকে বোঝে না। তারা আমাদের বড় মিত্র। কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান তাদের জীবনকে জটিল করে তুলেছে।” এ প্রেক্ষাপটে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) সোমবার জরুরি বৈঠকে তাদের পারস্পরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে — ১৯৯১ সালে কুয়েত আক্রমণ ও ২০১১ সালের আরব বসন্তের পর এটি তৃতীয়বার।

একই সময়ে সৌদি আরব পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে। যদিও এসব পদক্ষেপ প্রতীকী, তবে তা উদ্বেগের মাত্রা নির্দেশ করে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারী জানান, দেশটি নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করছে, একই সঙ্গে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও ধরে রাখছে।

কাতারের কূটনৈতিক কৌশল

সৌদি আরব সীমান্তবর্তী ছোট উপদ্বীপ, কাতার বিশাল গ্যাসভাণ্ডারের কারণে ধনী হয়েছে। প্রায় তিন দশক আগে থেকেই দেশটির শাসক পরিবার কূটনৈতিক পরাশক্তি হওয়ার স্বপ্ন আঁকতে শুরু করে।

১৯৯৬ সালে চালু হয় আল-জাজিরা টেলিভিশন, যা আরব বিশ্বে গণতান্ত্রিক বিতর্কের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করলেও সশস্ত্র গোষ্ঠীর বক্তব্য প্রচারের কারণে বিতর্কিত হয়। বর্তমানে এটি গাজা যুদ্ধের মানবিক বিপর্যয়ের প্রধান চিত্র তুলে ধরছে। তবে ইসরায়েল একে প্রচারণার অভিযোগে নিষিদ্ধ করেছে।

একই সময়ে নির্মিত হয় আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি — যা পরে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটিতে পরিণত হয়। কাতার কয়েক শো কোটি ডলারের মার্কিন অস্ত্রও কিনেছে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র একে ন্যাটো-বহির্ভূত প্রধান মিত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

মধ্যস্থতায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা

২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র কাতারকে তালেবান নেতাদের আশ্রয় দিতে অনুরোধ করে, যাদের সঙ্গে আফগান যুদ্ধে লড়াই চলছিল। ২০২১ সালে দোহা শান্তি আলোচনা আয়োজন করে এবং পশ্চিমাপন্থী আফগানদের সরিয়ে নিতে প্রধান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে।

হামাস-কেও কাতার প্রায় এক দশক ধরে আশ্রয় দিয়ে আসছে— এটি যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতিক্রমে। দোহা ২০২৩ সালের নভেম্বরে এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতেও সাহায্য করেছে।

কাতার-ইসরায়েল টানাপোড়েন

আন্তর্জাতিক সংকট গ্রুপের কর্মকর্তা মাইকেল ওয়াহিদ হান্নাহ বলেন, “হামাস এখানে রয়েছে কারণ যুক্তরাষ্ট্রও এ ব্যবস্থা মেনে নিয়েছে এবং সুবিধাজনক মনে করেছে।” তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি মন্ত্রীরা কাতারের সমালোচনা বাড়িয়েছে, হামাসকে চাপ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

অতীতে ইসরায়েলও কাতারের ভূমিকার সুবিধা নিয়েছে। ওয়াশিংটনের অনুরোধে এবং ইসরায়েলের সমর্থনে কাতার গাজায় প্রতিমাসে কয়েক কোটি ডলার পাঠিয়েছে, যাতে মানবিক সংকট লাঘব হয়। যদিও বেশিরভাগ অর্থ দরিদ্র পরিবারগুলোর কাছে গেছে, কিছু অর্থ হামাস সামরিক কাজে ব্যয় হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে কাতার ও নেতানিয়াহু উভয়েই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সাম্প্রতিক হামলা কাতারের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক ভারসাম্যকে নড়বড়ে করেছে। দেশটি একদিকে পশ্চিমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের শত্রু সংগঠনগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক রাখছে। এই দ্বৈত অবস্থান এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি চাপের মুখে পড়েছে।

উপসাগরে নতুন অস্থিরতা: কাতারের নিরাপত্তা ও কূটনীতির সংকট

০৭:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দোহায় হামাস-ইরান বৈঠক ও ইসরায়েলি হামলা

ইসরায়েল দোহায় হামাস নেতাদের ওপর হামলা চালানোর মাত্র পাঁচ দিন আগে, একই ব্যক্তিরা কাতারের রিটজ-কার্লটন হোটেলে ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। এ ঘটনা কাতারের সমালোচকদের বহুদিনের অভিযোগকে উসকে দেয়— একদিকে মার্কিন ও ইসরায়েলের শত্রু সংগঠনগুলো দোহায় প্রকাশ্যে বৈঠক করছে, অন্যদিকে কাছেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি।

প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে বছরে কয়েক শো কোটি ডলার আয়ের ওপর ভর করে কাতার দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে এক ধরনের পিছনের দরজার ভূমিকা পালন করে এসেছে। অনেক সময় এই ভূমিকা রাখতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছাতেই। দেশটি বিশাল অর্থ ব্যয় করে কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছে— প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যবহারের জন্য একটি জেট উপহার দেওয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক লবিং পর্যন্ত।

তবে চলতি গ্রীষ্মে ইরান ও ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দোহা নিরাপত্তাহীনতার নতুন বাস্তবতায় পৌঁছেছে। ইরানের হামলা আটকানো সম্ভব হলেও, ৯ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের অপ্রত্যাশিত হামলায় কয়েকজন হামাস কর্মকর্তা ও এক কাতারি নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। এতে উপসাগরীয় রাজতন্ত্রগুলো উদ্বেগে পড়ে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য তারা যে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে, তা আদৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে কি না।

পশ্চিমা সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন

দোহা-ভিত্তিক নিরাপত্তা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যাটালিস্ট কনসালটিংয়ের সাবেক কর্মকর্তা রাশিদ আল মোহনাদি বলেন, “বোমা পড়ার মুহূর্ত থেকেই মানুষ পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।”

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্প কাতারের গাজা শান্তি প্রক্রিয়ায় ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের হামলা আর ঘটবে না। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে বলেন, ইসরায়েলের অধিকার আছে সন্ত্রাসীদের যেখানেই হোক টার্গেট করার।

উপসাগরীয় প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্প কাতারের জটিল অবস্থান স্বীকার করে বলেন, “অনেকে কাতারকে বোঝে না। তারা আমাদের বড় মিত্র। কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান তাদের জীবনকে জটিল করে তুলেছে।” এ প্রেক্ষাপটে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) সোমবার জরুরি বৈঠকে তাদের পারস্পরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে — ১৯৯১ সালে কুয়েত আক্রমণ ও ২০১১ সালের আরব বসন্তের পর এটি তৃতীয়বার।

একই সময়ে সৌদি আরব পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে। যদিও এসব পদক্ষেপ প্রতীকী, তবে তা উদ্বেগের মাত্রা নির্দেশ করে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারী জানান, দেশটি নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করছে, একই সঙ্গে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও ধরে রাখছে।

কাতারের কূটনৈতিক কৌশল

সৌদি আরব সীমান্তবর্তী ছোট উপদ্বীপ, কাতার বিশাল গ্যাসভাণ্ডারের কারণে ধনী হয়েছে। প্রায় তিন দশক আগে থেকেই দেশটির শাসক পরিবার কূটনৈতিক পরাশক্তি হওয়ার স্বপ্ন আঁকতে শুরু করে।

১৯৯৬ সালে চালু হয় আল-জাজিরা টেলিভিশন, যা আরব বিশ্বে গণতান্ত্রিক বিতর্কের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করলেও সশস্ত্র গোষ্ঠীর বক্তব্য প্রচারের কারণে বিতর্কিত হয়। বর্তমানে এটি গাজা যুদ্ধের মানবিক বিপর্যয়ের প্রধান চিত্র তুলে ধরছে। তবে ইসরায়েল একে প্রচারণার অভিযোগে নিষিদ্ধ করেছে।

একই সময়ে নির্মিত হয় আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি — যা পরে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটিতে পরিণত হয়। কাতার কয়েক শো কোটি ডলারের মার্কিন অস্ত্রও কিনেছে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র একে ন্যাটো-বহির্ভূত প্রধান মিত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

মধ্যস্থতায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা

২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র কাতারকে তালেবান নেতাদের আশ্রয় দিতে অনুরোধ করে, যাদের সঙ্গে আফগান যুদ্ধে লড়াই চলছিল। ২০২১ সালে দোহা শান্তি আলোচনা আয়োজন করে এবং পশ্চিমাপন্থী আফগানদের সরিয়ে নিতে প্রধান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে।

হামাস-কেও কাতার প্রায় এক দশক ধরে আশ্রয় দিয়ে আসছে— এটি যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতিক্রমে। দোহা ২০২৩ সালের নভেম্বরে এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতেও সাহায্য করেছে।

কাতার-ইসরায়েল টানাপোড়েন

আন্তর্জাতিক সংকট গ্রুপের কর্মকর্তা মাইকেল ওয়াহিদ হান্নাহ বলেন, “হামাস এখানে রয়েছে কারণ যুক্তরাষ্ট্রও এ ব্যবস্থা মেনে নিয়েছে এবং সুবিধাজনক মনে করেছে।” তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি মন্ত্রীরা কাতারের সমালোচনা বাড়িয়েছে, হামাসকে চাপ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

অতীতে ইসরায়েলও কাতারের ভূমিকার সুবিধা নিয়েছে। ওয়াশিংটনের অনুরোধে এবং ইসরায়েলের সমর্থনে কাতার গাজায় প্রতিমাসে কয়েক কোটি ডলার পাঠিয়েছে, যাতে মানবিক সংকট লাঘব হয়। যদিও বেশিরভাগ অর্থ দরিদ্র পরিবারগুলোর কাছে গেছে, কিছু অর্থ হামাস সামরিক কাজে ব্যয় হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে কাতার ও নেতানিয়াহু উভয়েই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সাম্প্রতিক হামলা কাতারের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক ভারসাম্যকে নড়বড়ে করেছে। দেশটি একদিকে পশ্চিমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের শত্রু সংগঠনগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক রাখছে। এই দ্বৈত অবস্থান এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি চাপের মুখে পড়েছে।