০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মার্কিন সয়াবিন কৃষকদের সংকট: চীনের অর্ডার স্থগিত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটার মোভিলে সয়াবিন চাষি ব্রেন্ট কোলস ফসল ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাধারণত ফসল তোলার কয়েক মাসের মধ্যেই তার উৎপাদনের তিন-চতুর্থাংশ চীনে রপ্তানি হয়ে যেত। কিন্তু এবার চীনা ক্রেতারা কোনো ধরনের অর্ডার দেয়নি। এই অচলাবস্থা তাকে গভীর উদ্বেগে ফেলেছে।

কৃষকদের সংগ্রাম ও সংরক্ষণের সমস্যা

কোলসের ৬৫০ হেক্টরের সয়াবিন এখনো বিক্রি হয়নি। তিনি বাধ্য হয়ে ভুট্টার জন্য রাখা সাইলোতে সয়াবিন মজুত করছেন। অন্যান্য কৃষকরা নতুনভাবে গ্রেইন ব্যাগার ও স্টোরেজ কিনতে বাধ্য হয়েছেন, কারণ ঝড়ে বিপুলসংখ্যক সাইলো ধ্বংস হয়ে গেছে। কোলস বলেন, বাড়তি স্টোরেজ থাকায় তিনি তুলনামূলক ভাগ্যবান।

চীনের কেনাকাটা স্থগিত

চীন ফেব্রুয়ারি থেকে মার্কিন সয়াবিন কেনা বন্ধ রেখেছে। এর পেছনে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীনের চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্ব।
শুক্রবার ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে টিকটক অপারেশন ও শুল্ক ইস্যু নিয়ে কথা হওয়ার কথা। কৃষি রপ্তানি ও মার্কিন কৃষকদের সঙ্কট সেখানে আলোচনায় আসবে কি না তা স্পষ্ট নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি চীনের কৌশল এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা দুটোই প্রকাশ করছে।

ট্রিভিয়াম চায়নার পরিচালক ইভেন পে বলেন, চীন আসলে “এক ধরনের পরীক্ষা চালাচ্ছে”। যদি যুদ্ধের পরিস্থিতি হয়, তবে খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চীন চায় চরম অবস্থায় টিকে থাকতে পারবে কি না তা বুঝতে। পাশাপাশি তারা যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে কোণঠাসা না হওয়ার কৌশলও দেখছে।

ব্রাজিল ও দক্ষিণ আমেরিকার দিকে ঝুঁকছে চীন

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র চীনে প্রায় ১২.৮ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন রপ্তানি করেছে, যা মোট রপ্তানির এক-চতুর্থাংশ। কিন্তু একই সময়ে চীন ব্রাজিল থেকে প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন কিনেছে। বর্তমানে তাদের আমদানির ২১% যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
বেইজিংভিত্তিক আগ্রাডার কনসালটিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা জনি শিয়াং জানান, চীন এ বছর ব্রাজিল থেকে সয়াবিন কেনায় বেশ “আক্রমণাত্মক” ভূমিকা নিয়েছে। পাশাপাশি আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে থেকেও স্থায়ীভাবে সোয়ামিল সরবরাহ পাচ্ছে। তার মতে, চীনের যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক প্রত্যাহার করে কি না তার ওপর।

বিকল্প বাজার খোঁজার চেষ্টা

প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে চীন মার্কিন সয়াবিন কিনত, কারণ তখন ব্রাজিলের ফসল শেষ হয়ে যায়। তবে এবার শুল্কবাধার কারণে চীন একেবারে এড়িয়ে যাবে কি না তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চীনের সরবরাহ টিকবে না, অন্যদিকে ট্রিভিয়ামের পে মনে করেন চীনের রাজনৈতিক ভাষ্য ভিন্ন কিছু ইঙ্গিত করছে।

চীনের যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত শি ফেং সম্প্রতি বলেছেন, কৃষি সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে হলে “ক্ষতিকর উপাদান দূর করতে হবে” এবং প্রোটেকশনিজম দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় “অন্ধকার ছায়া ফেলেছে।”

মার্কিন কৃষকদের কঠিন বাস্তবতা

মার্কিন কৃষকদের জন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এ সপ্তাহে কৃষি দপ্তর ২০১৩ সালের পর সবচেয়ে কম সয়াবিন রপ্তানি পূর্বাভাস দিয়েছে—১.৬৫ বিলিয়ন বুশেল। নর্থ ডাকোটায় কৃষি রাজ্যের অর্থনীতির এক-চতুর্থাংশেরও বেশি জুড়ে আছে, আর সেখানকার ৯০% সয়াবিন রপ্তানি হয়—প্রধানত চীনে।
দক্ষিণ বা পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো যেমন ইলিনয় সহজেই ইউরোপ ও মেক্সিকোয় সরবরাহ ঘুরিয়ে দিতে পারে, নর্থ ডাকোটার কৃষকরা রেলনির্ভর অবকাঠামোয় আটকে আছেন যা মূলত চীনের জন্য তৈরি।

পূর্বের অভিজ্ঞতা ও সরকারের সহায়তা

২০১৮ সালের বাণিজ্যযুদ্ধেও কৃষকরা একই সমস্যায় পড়েছিলেন। তখনও কিছুটা কেনাকাটা হলেও ক্ষতি পূরণে সরকার কৃষকদের ২৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়। পরে ফেজ ওয়ান বাণিজ্য চুক্তি হলেও চীন প্রতিশ্রুত লক্ষ্য পূরণ করেনি এবং ক্রয় ঘুরিয়ে নেয় ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আমেরিকার দিকে।

বহুমুখীকরণের প্রয়াস

মার্কিন সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল নতুন ক্রেতা খুঁজছে—ইউরোপ, এশিয়ার অন্যান্য দেশ এবং মিশরে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি মিলেছে। তবে কোনো দেশই চীনের সমান ক্রয়ক্ষমতা রাখে না।
গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র সয়াবিন প্রক্রিয়াজাতকরণে নতুন কারখানায় বিনিয়োগ করেছে। নর্থ ডাকোটাও ২০২৪ সালে ক্যাসেলটনে একটি নতুন প্লান্ট চালু করার পর চীনের ওপর নির্ভরশীলতা ৮০% থেকে কমিয়ে ৫০%-এ এনেছে। তবে প্রক্রিয়াজাত সোয়ামিলের জন্যও রপ্তানি বাজার প্রয়োজন।

কৃষকদের সতর্কবার্তা

নর্থ ডাকোটা সয়াবিন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাস্টিন শার্লক বলেন, দীর্ঘমেয়াদি এই অচলাবস্থা আমেরিকান কৃষিক্ষেত্রে স্থায়ী ক্ষতি ডেকে আনবে। জমির মূল্য কমে যাবে, কৃষকরা উৎপাদন কমাতে বাধ্য হবেন।
তিনি বলেন, “গ্রাহক না থাকলে উৎপাদন বন্ধ করতে হবে, জমি আবাদ থেকে বাদ দিতে হবে। এখন শুধু আশা আর প্রার্থনাই বাকি, কিন্তু এটা কোনো কার্যকর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নয়।”

আমেরিকান সয়াবিন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যালেব র‍্যাগল্যান্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছেন, “মার্কিন কৃষকরা এখন বাণিজ্য ও আর্থিক খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছেন। সবচেয়ে বড় ক্রেতার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বিরোধ টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।”

চীনের দীর্ঘতম অর্ডার বন্ধের এই ধাক্কা মার্কিন কৃষকদের জন্য বড় বিপর্যয় তৈরি করেছে। শুল্ক, উৎপাদন ব্যয় ও সীমিত বিকল্প বাজার—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, দ্রুত সমাধান না এলে মার্কিন কৃষির ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে পড়বে।

মার্কিন সয়াবিন কৃষকদের সংকট: চীনের অর্ডার স্থগিত

০৮:০৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটার মোভিলে সয়াবিন চাষি ব্রেন্ট কোলস ফসল ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাধারণত ফসল তোলার কয়েক মাসের মধ্যেই তার উৎপাদনের তিন-চতুর্থাংশ চীনে রপ্তানি হয়ে যেত। কিন্তু এবার চীনা ক্রেতারা কোনো ধরনের অর্ডার দেয়নি। এই অচলাবস্থা তাকে গভীর উদ্বেগে ফেলেছে।

কৃষকদের সংগ্রাম ও সংরক্ষণের সমস্যা

কোলসের ৬৫০ হেক্টরের সয়াবিন এখনো বিক্রি হয়নি। তিনি বাধ্য হয়ে ভুট্টার জন্য রাখা সাইলোতে সয়াবিন মজুত করছেন। অন্যান্য কৃষকরা নতুনভাবে গ্রেইন ব্যাগার ও স্টোরেজ কিনতে বাধ্য হয়েছেন, কারণ ঝড়ে বিপুলসংখ্যক সাইলো ধ্বংস হয়ে গেছে। কোলস বলেন, বাড়তি স্টোরেজ থাকায় তিনি তুলনামূলক ভাগ্যবান।

চীনের কেনাকাটা স্থগিত

চীন ফেব্রুয়ারি থেকে মার্কিন সয়াবিন কেনা বন্ধ রেখেছে। এর পেছনে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীনের চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্ব।
শুক্রবার ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে টিকটক অপারেশন ও শুল্ক ইস্যু নিয়ে কথা হওয়ার কথা। কৃষি রপ্তানি ও মার্কিন কৃষকদের সঙ্কট সেখানে আলোচনায় আসবে কি না তা স্পষ্ট নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি চীনের কৌশল এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা দুটোই প্রকাশ করছে।

ট্রিভিয়াম চায়নার পরিচালক ইভেন পে বলেন, চীন আসলে “এক ধরনের পরীক্ষা চালাচ্ছে”। যদি যুদ্ধের পরিস্থিতি হয়, তবে খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চীন চায় চরম অবস্থায় টিকে থাকতে পারবে কি না তা বুঝতে। পাশাপাশি তারা যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে কোণঠাসা না হওয়ার কৌশলও দেখছে।

ব্রাজিল ও দক্ষিণ আমেরিকার দিকে ঝুঁকছে চীন

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র চীনে প্রায় ১২.৮ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন রপ্তানি করেছে, যা মোট রপ্তানির এক-চতুর্থাংশ। কিন্তু একই সময়ে চীন ব্রাজিল থেকে প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন কিনেছে। বর্তমানে তাদের আমদানির ২১% যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
বেইজিংভিত্তিক আগ্রাডার কনসালটিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা জনি শিয়াং জানান, চীন এ বছর ব্রাজিল থেকে সয়াবিন কেনায় বেশ “আক্রমণাত্মক” ভূমিকা নিয়েছে। পাশাপাশি আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে থেকেও স্থায়ীভাবে সোয়ামিল সরবরাহ পাচ্ছে। তার মতে, চীনের যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক প্রত্যাহার করে কি না তার ওপর।

বিকল্প বাজার খোঁজার চেষ্টা

প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে চীন মার্কিন সয়াবিন কিনত, কারণ তখন ব্রাজিলের ফসল শেষ হয়ে যায়। তবে এবার শুল্কবাধার কারণে চীন একেবারে এড়িয়ে যাবে কি না তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চীনের সরবরাহ টিকবে না, অন্যদিকে ট্রিভিয়ামের পে মনে করেন চীনের রাজনৈতিক ভাষ্য ভিন্ন কিছু ইঙ্গিত করছে।

চীনের যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত শি ফেং সম্প্রতি বলেছেন, কৃষি সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে হলে “ক্ষতিকর উপাদান দূর করতে হবে” এবং প্রোটেকশনিজম দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় “অন্ধকার ছায়া ফেলেছে।”

মার্কিন কৃষকদের কঠিন বাস্তবতা

মার্কিন কৃষকদের জন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এ সপ্তাহে কৃষি দপ্তর ২০১৩ সালের পর সবচেয়ে কম সয়াবিন রপ্তানি পূর্বাভাস দিয়েছে—১.৬৫ বিলিয়ন বুশেল। নর্থ ডাকোটায় কৃষি রাজ্যের অর্থনীতির এক-চতুর্থাংশেরও বেশি জুড়ে আছে, আর সেখানকার ৯০% সয়াবিন রপ্তানি হয়—প্রধানত চীনে।
দক্ষিণ বা পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো যেমন ইলিনয় সহজেই ইউরোপ ও মেক্সিকোয় সরবরাহ ঘুরিয়ে দিতে পারে, নর্থ ডাকোটার কৃষকরা রেলনির্ভর অবকাঠামোয় আটকে আছেন যা মূলত চীনের জন্য তৈরি।

পূর্বের অভিজ্ঞতা ও সরকারের সহায়তা

২০১৮ সালের বাণিজ্যযুদ্ধেও কৃষকরা একই সমস্যায় পড়েছিলেন। তখনও কিছুটা কেনাকাটা হলেও ক্ষতি পূরণে সরকার কৃষকদের ২৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়। পরে ফেজ ওয়ান বাণিজ্য চুক্তি হলেও চীন প্রতিশ্রুত লক্ষ্য পূরণ করেনি এবং ক্রয় ঘুরিয়ে নেয় ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আমেরিকার দিকে।

বহুমুখীকরণের প্রয়াস

মার্কিন সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল নতুন ক্রেতা খুঁজছে—ইউরোপ, এশিয়ার অন্যান্য দেশ এবং মিশরে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি মিলেছে। তবে কোনো দেশই চীনের সমান ক্রয়ক্ষমতা রাখে না।
গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র সয়াবিন প্রক্রিয়াজাতকরণে নতুন কারখানায় বিনিয়োগ করেছে। নর্থ ডাকোটাও ২০২৪ সালে ক্যাসেলটনে একটি নতুন প্লান্ট চালু করার পর চীনের ওপর নির্ভরশীলতা ৮০% থেকে কমিয়ে ৫০%-এ এনেছে। তবে প্রক্রিয়াজাত সোয়ামিলের জন্যও রপ্তানি বাজার প্রয়োজন।

কৃষকদের সতর্কবার্তা

নর্থ ডাকোটা সয়াবিন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাস্টিন শার্লক বলেন, দীর্ঘমেয়াদি এই অচলাবস্থা আমেরিকান কৃষিক্ষেত্রে স্থায়ী ক্ষতি ডেকে আনবে। জমির মূল্য কমে যাবে, কৃষকরা উৎপাদন কমাতে বাধ্য হবেন।
তিনি বলেন, “গ্রাহক না থাকলে উৎপাদন বন্ধ করতে হবে, জমি আবাদ থেকে বাদ দিতে হবে। এখন শুধু আশা আর প্রার্থনাই বাকি, কিন্তু এটা কোনো কার্যকর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নয়।”

আমেরিকান সয়াবিন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যালেব র‍্যাগল্যান্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছেন, “মার্কিন কৃষকরা এখন বাণিজ্য ও আর্থিক খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছেন। সবচেয়ে বড় ক্রেতার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বিরোধ টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।”

চীনের দীর্ঘতম অর্ডার বন্ধের এই ধাক্কা মার্কিন কৃষকদের জন্য বড় বিপর্যয় তৈরি করেছে। শুল্ক, উৎপাদন ব্যয় ও সীমিত বিকল্প বাজার—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, দ্রুত সমাধান না এলে মার্কিন কৃষির ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে পড়বে।