কোপেনহেগেনে চার ঘণ্টা বিমান চলাচল বন্ধ
ডেনমার্কের ব্যস্ততম কোপেনহেগেন বিমানবন্দর প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের আকাশসীমায় ড্রোন উড়তে দেখা যাওয়ার পর রাত ৮টা ২৬ মিনিটে (স্থানীয় সময়) সব ধরনের উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় প্রায় ৫০টি ফ্লাইটকে বিকল্প বিমানবন্দরে পাঠানো হয়।
কোপেনহেগেন পুলিশ জানিয়েছে, দুই থেকে তিনটি বড় ড্রোন আকাশে দেখা গেছে। তবে এগুলো জব্দ করা যায়নি। ডেনমার্ক পুলিশের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ইয়াকব হ্যানসেন বলেন, “আমরা এখনো জানি না এগুলো কী ধরনের ড্রোন। তদন্ত চলছে।”
অসলোতেও বিমান চলাচলে বিঘ্ন
নরওয়ের অসলো বিমানবন্দরও একই কারণে সোমবার রাত থেকে বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১২টা (স্থানীয় সময়) থেকে আকাশসীমা বন্ধ রাখা হয় এবং ফ্লাইটগুলোকে কাছাকাছি বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর ভোর ৩টা ২২ মিনিটে বিমান চলাচল আবার শুরু হয়।
নরওয়ের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অ্যাভিনর জানায়, এটি নিরাপত্তাজনিত কারণে জরুরি পদক্ষেপ ছিল।
দুই দেশের যৌথ তদন্ত
ডেনমার্ক ও নরওয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাগুলো পরস্পর যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। দুই দেশের মধ্যে যৌথভাবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত
কোপেনহেগেন বিমানবন্দর পুনরায় চালু হলেও ফ্লাইট বিলম্ব ও কিছু বাতিল হওয়া অব্যাহত থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। যাত্রীদের এয়ারলাইনসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ইউরোপীয় আকাশপথে সাম্প্রতিক অস্থিরতা
সম্প্রতি ইউরোপের বিমানবন্দরগুলোতে একের পর এক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। গত শুক্রবার সাইবার হামলার কারণে লন্ডনের হিথ্রোসহ বার্লিন ও ব্রাসেলস বিমানবন্দরে চেক-ইন ও বোর্ডিং সিস্টেম অচল হয়ে পড়েছিল। এর ফলে সপ্তাহজুড়ে যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত থাকে।
এছাড়া, ২০১৮ সালে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের রানওয়ের ওপর ড্রোন উড়তে দেখা গেলে ছুটির মৌসুমে লাখো যাত্রী বিপাকে পড়ে এবং শত শত ফ্লাইট স্থগিত হয়েছিল।
ডেনমার্ক ও নরওয়ের বিমানবন্দর দুটিতে ড্রোন আতঙ্কে বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার ঘটনা আবারও ইউরোপীয় আকাশপথের দুর্বলতা সামনে এনেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের হুমকি মোকাবিলায় ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।