সুপার ফোরে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ
এশিয়া কাপ ২০২৫–এর সুপার ফোরে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের স্পিনার শেখ মাহেদি হাসান জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষের নাম দেখে দল বাড়তি ভাবনায় যাচ্ছে না। তিনি বলেন, দল শুরু থেকেই স্বাভাবিক থাকতে চায় এবং প্রতিটি ম্যাচকে একেবারে সাধারণ ম্যাচ হিসেবেই ধরছে।
মাহেদির বার্তা: প্রতিপক্ষ নয়, ম্যাচের পরিস্থিতি মুখ্য
অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় মাহেদি বলেছেন, “শুরু থেকেই আমরা স্বাভাবিক থাকি। বাড়তি ভাবনার কিছু নেই—আমরা কেবল একটা ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। প্রতিপক্ষ ভারত হোক বা অস্ট্রেলিয়া—এটা আমাদের চিন্তা নয়।” তাঁর মতে, ‘বিশ্বাস’ বা ‘ভয়’ নয়—সবকিছুই নির্ভর করছে ম্যাচের পরিস্থিতির ওপর।
শুরুটা জোরালো: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস
সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টানা আট ম্যাচের টি২০ এশিয়া কাপ জয়ধারা থামিয়েছে লঙ্কানদের। এই জয় দলের ড্রেসিংরুমে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে, যদিও মাহেদি মনে করেন, অতীত ফল এখন আর বড় ফ্যাক্টর নয়।
পরিসংখ্যান: ইতিহাস ভারতের পক্ষেই
টি২০আইে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে। ১৭ ম্যাচে ভারতের জয় ১৬টি; বহু-দেশীয় টুর্নামেন্টের সব সাক্ষাৎেও জিতেছে ভারত। বাংলাদেশের একমাত্র টি২০আই জয় এসেছে ২০১৯ সালের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। তবু মাহেদির মত, এসব পরিসংখ্যান মাঠের দিনের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে না।
কৌশল ও কন্ডিশন: ধীর উইকেটে স্পিনই ভরসা
কাগজে-কলমে সুর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে ভারতের ব্যাটিং-গভীরতা ও পেস আক্রমণ এগিয়ে। শুবমান গিল, হার্দিক পান্ডিয়াদের মতো ম্যাচ-উইনার আছে দলে। তবে দুবাইয়ের ধীর কন্ডিশনে বাংলাদেশ স্পিন আক্রমণেই ভরসা রাখছে। মাহেদি ও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ মিলে এমন কন্ডিশনে ভারতের ব্যাটিং লাইনে চাপ দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছেন, কারণ টার্নিং ট্র্যাকে গুণগত স্পিনের বিপক্ষে ভারত কখনো কখনো সমস্যায় পড়ে।
ড্রেসিংরুমের মানসিকতা: ‘হাইপ’ থেকে দূরে
সমর্থক ও সামাজিক মাধ্যমে ‘ডেভিড বনাম গোলিয়াথ’ আখ্যান যতই জোরালো হোক, টিম ম্যানেজমেন্ট ও খেলোয়াড়রা সেটি বাইরে রাখতেই আগ্রহী। মাহেদি স্পষ্ট করেছেন, “হাইপ তৈরি করে মিডিয়া বা দর্শক। আমরা প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের মতোই স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে চাই।”
সম্ভাব্য চিত্র: কার্ডে কী লেখা
এই ম্যাচে জয় পেলে ভারত ফাইনালের পথে দৃঢ় অবস্থানে যাবে। বিপরীতে, বাংলাদেশ আরেকটি ‘আপসেট’ করতে পারলে গ্রুপের সমীকরণ উলটপালট হয়ে যাবে এবং এশিয়ান ক্রিকেটে ‘জায়ান্ট–স্লেয়ার’ হিসেবে তাদের খ্যাতি আরও পোক্ত হবে। খেলায় তাই কৌশলগত ধৈর্য, স্পিনের ধার এবং পরিস্থিতি বোঝার ক্ষমতাই দুই দলের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে।