গভর্নরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গভর্নর ক্যাথি হোকুল। এদিন তিনি ইস্ট উইলিয়ামসবার্গের এম.এস. ৫৮২ স্কুলে উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন নীরব সবুজ রঙের মাসকট ফ্র্যাঙ্কি ফোকাস। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হোকুল বলেন, “তোমরা আরও মনোযোগী হবে, শিক্ষকরা ভালোভাবে পড়াতে পারবেন, আর শেষ পর্যন্ত তোমরা অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবে।”
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানিয়ে নেওয়া
আশঙ্কার বিপরীতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বড় আতঙ্ক দেখা যায়নি। ছোটখাটো কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে—
- • অনেকেই ইমেইলে পাঠানো ক্লাস শিডিউল প্রিন্ট বা কাগজে লিখে আনতে ভুলে গিয়েছিল।
- • অভিভাবকরাও হোঁচট খান; সন্তান অনুপস্থিত চিহ্নিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে কল করা বা লোকেশন ট্র্যাকার ব্যবহার করা সম্ভব ছিল না।
স্কুলের প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ
সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে প্রশাসক ও কর্মীদের ওপর। শত শত ফোন সংগ্রহ ও সিল করে রেখেও শিক্ষার্থীদের সময়মতো ক্লাসে পাঠাতে হয়েছে।
- • অনেক স্কুলে ম্যাগনেট-লকযুক্ত ইয়ন্ড্র পাউচ ব্যবহার করা হয়।
- • কিছু স্কুলে নাম লেখা বাবল-র্যাপ ব্যাগে ফোন রেখে বিকেলে ফেরত দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা মজা করে বলেছে, “এখানে তো এয়ারোস্পেস পড়াশোনার ছাত্র আছে, তারা নিশ্চয়ই এগুলো খুলে ফেলবে।” তবুও বেশিরভাগই নিয়ম মেনে চলেছে।
বাস্তব অভিজ্ঞতা
ম্যানহাটনের পশ্চিম ৪৯তম স্ট্রিটে অবস্থিত আরবান অ্যাসেম্বলি গেটওয়ে স্কুল ফর টেকনোলজি ও বিজনেস অব স্পোর্টস স্কুলে প্রথম দিনটি শান্তিপূর্ণ কেটেছে। ফটোসাংবাদিক কলিন শ্যাপ্পি জানান, শিক্ষার্থীরা বেশ ‘চিল’ ছিল।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ক্রিস্টিনা দ্বোরাকোভস্কায়া আগে থেকেই একবার মহড়া চালান, যেখানে জরুরি অবস্থায় মাত্র পাঁচ মিনিটে ৪০০ ফোন ফেরত দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়। কিছু শিক্ষার্থী ফোন না আনার ভান করলেও চেকপোস্টে ধরা পড়ে যায়।
প্রথম দিনে নিউইয়র্কের স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধ কার্যক্রম প্রত্যাশার তুলনায় অনেক মসৃণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা ধীরে ধীরে নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন, আর সামগ্রিকভাবে শৃঙ্খলা বজায় থাকায় বড় কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি।