ভারতীয় একমাত্রার অনির্ণেয় সমীকরণ সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা করেছেন এবং তিনি ক্যে’র মন্তব্যকে ধূলিসাৎ করেছেন।
আর্যভটের এক মাত্রার সমীকরণ সম্পর্কে এন. কে. মজুমদার তাঁর গবেষণামূলক প্রবন্ধে (Aryabhatas rule in relation to the indeterminate equation of the first degree, B. C. M. S. No.-3, 1911-12, pp 11-19) বলেছেন, আর্যভট কখনই ইউক্লিড বা অন্যান্য গ্রীক বা আলেকজান্দ্রীয় গণিতবিদদের নিকট এ ব্যাপারে ঋণী ছিলেন না। এন. কে. মজুমদার এ ব্যাপারে ক্যে, হাঁথ প্রমুখদের বিচার বিশ্লেষণকে সমালোচনা করেছেন।
দ্বিতীয় ভাস্করাচার্যের লীলাবতীর ইংরাজী অনুবাদ কোলেক্রক সাহেবের করেন। এটি আবার হারাণচন্দ্র ব্যানার্জি ‘দ্বিতীয় সংস্করণে কিছুটা টীকা যোগ করেন এবং এই টাকাতে হারাণচন্দ্র ব্যানাি বলেছেন, বিতত ভগ্নাংশের অভিসারিত্ব সম্পর্কে (Convergents of the Conti-nued fraction) প্রচ্ছন্নভাবে দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য আলোচনা করেছেন। নলিনী বিহারী মিত্র তাঁর দুটি প্রবন্ধে ([a] Modern Review, Vol 18, June–Dec., 1913. P 506-508 on Indeterminate equations of the first degree,
[b] Modern Review, Vol xvii, no 1, P-75) কো’র মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন এবং ভারতীয় এক মাত্রার সমীকরণ সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা করেছেন।
সারদাকান্ত গাঙ্গুলী তাঁর প্রবন্ধ সমূহে [(a) India’s Contribution to the theory of Indeterminate equation of the first degree, Journal of the Indian Mathematical Society, Vol 19, 1932. pp 110-120, 129-140, 153-169. (ii) Journal of the Bihar and Orissa Research Society, March 1926, (iii) American Mathematical monthly, Vol 34, 37, (iv) Isis, Vol 12, 1929], ভারতীয় একমাত্রার অনির্ণেয় সমীকরণ সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা করেছেন এবং তিনি ক্যে’র মন্তব্যকে ধূলিসাৎ করেছেন। তাছাড়াও বলেছেন ভারতীয় পদ্ধতিতে গ্রীক বা চীনা পদ্ধতির প্রভাব নেই। প্রবোধ চন্দ্র সেনগুপ্ত এবং ডব্লিউ. ই. ক্লার্ক শুধুমাত্র আর্যভটীয়ের ইংরাজী অনুবাদ করেছেন।
(চলবে)
প্রদীপ কুমার মজুমদার 



















