সহিংসতার পটভূমি
খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ বুধবার তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় প্রায় ১,০০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
সহিংসতা শুরু হয়েছিল এক পাহাড়ি স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে। এ সময় তিনজন আদিবাসী যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
সদর থানার মামলা
খাগড়াছড়ি সদর থানায় করা মামলায় ৬০০-৭০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে—
- ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন,
- ভাঙচুর ও দাঙ্গা,
- পুলিশের ওপর হামলা।
এই মামলা দায়ের করেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহরিয়ার। থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গুইমারার দুই মামলা
অন্য দুটি মামলা দায়ের হয়েছে গুইমারা থানায়। এগুলো দায়ের করা হয়েছে—
- একটি হত্যাকাণ্ড,
- পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায়।
গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী জানান, এসব মামলায় প্রায় ৩০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে বর্তমানে উপজেলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অভিযুক্ত ধর্ষক কারাগারে
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শয়ন শীলকে বুধবার আদালতে হাজির করা হয়। ছয় দিনের রিমান্ড শেষে খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

প্রশাসনের বক্তব্য
ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, খাগড়াছড়ি শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এখনো ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে।
এদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গণমাধ্যমকে খাগড়াছড়ির উত্তেজনা নিয়ে তথ্যনির্ভর সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















